সুশাসন কি | সুশাসন কাকে বলে | সুশাসন বলতে কি বুঝায়

সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে, তবে সাধারণত এটি একটি সংগঠিত ও নির্দিষ্ট নীতি বা পদ্ধতির অনুসরণের মাধ্যমে একটি সমাজ বা সংস্থা পরিচালিত বা নির্বাহিত করার বৈশিষ্ট্য সূচিত করে। এটি শাসনের একটি উচ্চ মানক যা অন্যান্য সংস্থা বা সমাজের মৌলিক মূল ধারণার উপর ভিত্তি করে। সুশাসনের আদর্শ ভাবে শাসকের দায়িত্ব প্রতিরূপ ও দেশের উন্নতি ও সামাজিক সমৃদ্ধির দিকে মৌলিকভাবে আবদ্ধ থাকা উচিত।

সুশাসন পদ্ধতি বা নীতি হলো একটি সরকার বা সংস্থার কার্যক্রম বা কার্যপ্রণালীর উন্নত ও কার্যকর পরিচালনা নিশ্চিত করার পদ্ধতি বা নীতি। এটি প্রধানত একটি সংস্থা, সরকার, বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নতির সাধারণ দিকের প্রস্তুতি, পরিচালনা, এবং পরিচালনার মান উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করে। এটির সাথে সাথে সম্পর্কিত ধারণা ও মান্যতা বিভিন্ন সংস্থা ও সামাজিক পদ্ধতির মধ্যে ভিন্নতা প্রদর্শন করে। এর সুশাসন পদ্ধতি বা নীতি বিশেষ অবলম্বনের সাথে সাথে প্রকৃতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য, ও সমাজের মানবাধিকার সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নির্ভর করে।

সুশাসনের মূল লক্ষ্য হ'ল একটি সামর্থক ও শাসন যন্ত্রকমূলক প্রণালী নিয়ে সমাজের প্রচেষ্টা করা যা সমাজের সদস্যদের সুখ, সুরক্ষা, ও উন্নতি নিশ্চিত করে। এটি আদলে ও তীব্রতা সহ শাসনের গঠন ও পরিচালনার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুশাসনের সঠিক প্রযুক্তি, উপায়, ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাজ ও দেশের সাধারণ উন্নতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সরকার, প্রতিষ্ঠান, এবং সংস্থা কার্যরত।

সুশাসন বলতে  কি বুঝায়, Good governance,

সুশাসন বলতে কি বুঝায়

সুশাসন একটি গভীরভাবে উত্থানশীল এবং সমৃদ্ধ সমাজ নির্মাণের কী প্রধান উপায়। এটি সমাজের সকল সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মৌলিক পালন মানকে দেখা সরকারের দায়িত্ব। সুশাসন শব্দটি একটি ব্যাখ্যামূলক উপায় যাতে আমরা একটি সুপ্রভাত ও সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে পারি তার উপর প্রধানত মনোনিবেশ করে এবং এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি বিভাগে গভীরভাবে প্রতিষ্ঠান করে তুলে।

সুশাসন সমাজের মৌলিক মূল্য ও অধিকারের সুরক্ষা, সামাজিক ও প্রশাসনিক পদ্ধতি ও ক্রমবর্ধমান সুস্থ বা সাক্ষর সমাজের স্থায়িত্বের মানকে নিশ্চিত করে। সুশাসন একটি শক্তিশালী সমাজ গড়ে তুলে এবং সামাজিক ন্যায় এবং সমাজের সমস্থ উন্নতির দিকে প্রগতি করে। এটি সমাজের নৈতিক, ব্যক্তিগত, এবং প্রত্যাশিত বিকাশের মানকে সঠিকভাবে নিয়ে যায় এবং আমরা এটি সকল সৃষ্টির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক মূল্য ও অধিকার সম্পর্কে সাবধানতা ধরে তোলি।

সুশাসন একটি পতনশীল অথবা একটি উন্নত সমাজের আবশ্যক বিশ্বাসীদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তি, সাহায্য, ও সাপ্তাহিক উপায় হিসেবে অন্য বিভিন্ন সমাজের সুস্থ বা সাক্ষর বা সুস্থ সমাজের প্রতিষ্ঠান করে। এটি মানুষের আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান বাড়াতে সাহায্য করে এবং তাদের মধ্যে নিজেকে উন্নত ও সুস্থ সমাজের একটি সদস্য হিসেবে ব্যবহার করে।

সুশাসন সমাজের মানবসম্পন্নতা, অর্থনৈতিক উন্নতি, এবং আরো অনেক বিভিন্ন সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রের একটি প্রধান উপায় যা আমাদের সমাজের উন্নতি এবং প্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। সুশাসন সমাজের মানবিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের গতি ও প্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি একটি প্রতিষ্ঠানের সুস্থ এবং সহযোগী সম্প্রদায় গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

সুশাসনের পূর্বশর্ত কি

সুশাসন বা ভালো শাসন কোনো দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র সরকারের কার্যকরতা নয়, বরং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একটি প্রক্রিয়া। সুশাসনের মাধ্যমে একটি দেশ ন্যায়সংগত ও স্থিতিশীল পরিবেশে বিকাশ করতে পারে, যেখানে সব নাগরিক সমানভাবে সুযোগ, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে।

সুশাসনের পূর্বশর্ত হলো সেই মৌলিক শর্তগুলো যা না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এর মধ্যে প্রধানগুলো হলো:

  • আইনের শাসন: সকল নাগরিক এবং সরকারি কর্মকর্তা আইন অনুযায়ী সমানভাবে পরিচালিত হবে। আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়ম বৃদ্ধি পায়।

  • স্বাধীন প্রতিষ্ঠান: বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্তভাবে কাজ করতে পারবে।

  • মানবাধিকার রক্ষা: নাগরিকদের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, শিক্ষার অধিকার এবং সামাজিক ন্যায় নিশ্চিত করা।

  • স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সরকারি নীতি ও কর্মসূচি জনগণের কাছে পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করা এবং প্রশাসন তাদের কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।

  • জনগণের অংশগ্রহণ: নীতি-নির্ধারণে নাগরিকরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে, যেমন ভোটাধিকার, স্থানীয় সমিতি ও সভার মাধ্যমে।

সুশাসন শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি একটি সামাজিক প্রক্রিয়া যেখানে নাগরিক, প্রতিষ্ঠান এবং সরকার একত্রিত হয়ে ন্যায় ও সমৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করে। সুশাসনের পূর্বশর্তগুলো পূরণ হলে একটি দেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায় নিশ্চিত করতে পারে।

সুশাসনের মূল ভিত্তি কি

সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো, যা নাগরিক, প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকে একত্রিত করে ন্যায়, স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। এই ভিত্তিগুলো পূরণ হলে দেশ সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা এবং জনগণের কল্যাণের দিকে এগোতে পারে।

সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো

  • আইনের শাসন: আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে। ক্ষমতাধরও আইন মানবে, যাতে অন্যায় ও অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করা যায়।

  • জনগণের অংশগ্রহণ: সুশাসন তখনই সম্ভব যখন নাগরিকরা নীতি-নির্ধারণ ও প্রশাসনের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। ভোটাধিকার, স্থানীয় সভা ও সমিতিতে অংশগ্রহণ এই ভিত্তি শক্তিশালী করে।

  • স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সরকারি সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা জনগণের কাছে পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হতে হবে এবং প্রশাসন তাদের কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।

  • মানবাধিকার রক্ষা: নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমতার অধিকার এবং সামাজিক ন্যায় নিশ্চিত করতে হবে।

  • স্বাধীন প্রতিষ্ঠান: বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্তভাবে কাজ করতে পারবে।

সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ কি

সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance

এটি বোঝায় একটি কার্যকর, স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত এবং জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা, যেখানে নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা হয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান জনগণের কল্যাণের জন্য সঠিকভাবে কাজ করে।

পৌরনীতি ও সুশাসন কাকে বলে

পৌরনীতি হলো নাগরিক হিসেবে একজন ব্যক্তির অধিকার, কর্তব্য, দায়িত্ব এবং সমাজে অংশগ্রহণের নীতি ও আচরণের مجموعি। এটি মানুষকে ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে এবং সমাজে আইন, ন্যায় ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

সুশাসন হলো এমন শাসন ব্যবস্থা যা স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক। এটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করে, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে।

সংক্ষেপে, পৌরনীতি একজন ভালো নাগরিক গড়ে তোলার ভিত্তি, আর সুশাসন সেই নাগরিক ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করে সমাজকে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ রাখে।

পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ১ম অধ্যায় mcq

পৌরনীতি ও সুশাসন হলো একটি দেশের নাগরিক ও শাসন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পৌরনীতি নাগরিকদের অধিকার, দায়িত্ব ও দায়িত্বশীল আচরণের জ্ঞান দেয়, যা তাদের ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। অন্যদিকে, সুশাসন এমন শাসন ব্যবস্থা যা স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত, কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক। এই অধ্যায়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থী বোঝে কিভাবে নাগরিক দায়িত্ব পালন ও সুশাসনের মূলনীতি মেনে চলার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ১ম অধ্যায়ের জন্য কিছু সম্ভাব্য MCQ (Multiple Choice Questions) নিচে দেওয়া হলো:

প্রশ্ন: পৌরনীতি কাকে বোঝায়?

ক) সরকার পরিচালনার বিজ্ঞান
খ) নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের জ্ঞান
গ) অর্থনৈতিক নীতি
ঘ) সাংস্কৃতিক ইতিহাস

প্রশ্ন: সুশাসনের মূল উদ্দেশ্য কী?

ক) ক্ষমতা বাড়ানো
খ) দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা
গ) নাগরিকের কল্যাণ ও স্বচ্ছ শাসন নিশ্চিত করা
ঘ) সরকারী সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধি করা

প্রশ্ন: সুশাসনের পূর্বশর্তের মধ্যে কোনটি অন্তর্ভুক্ত?

ক) আইনের শাসন
খ) জনগণের নীরবতা
গ) ক্ষমতার একনায়কত্ব
ঘ) কর বৃদ্ধি

প্রশ্ন: কোন প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

ক) ব্যাংক
খ) নির্বাচন কমিশন
গ) মার্কেটিং সংস্থা
ঘ) শিল্প প্রতিষ্ঠান

প্রশ্ন: একজন ভালো নাগরিকের বৈশিষ্ট্য কি?

ক) নিজের অধিকার লুকানো
খ) সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করা
গ) আইন অমান্য করা
ঘ) অন্যের অধিকার হরণ করা

প্রশ্ন: নাগরিকত্বের মূল উপাদান কী?

ক) অধিকার ও কর্তব্য
খ) সম্পদ ও ভূমি
গ) ক্ষমতা ও প্রভাব
ঘ) শৃঙ্খলা ও নিয়ম

প্রশ্ন: সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত কী?

ক) জনগণের অংশগ্রহণ
খ) ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ
গ) কর বৃদ্ধি
ঘ) সরকারের গোপনীয়তা

প্রশ্ন: আইনের শাসন বলতে কী বোঝায়?

ক) ক্ষমতাশালীদের আইন থেকে মুক্ত থাকা
খ) সবাইকে সমানভাবে আইন অনুসরণ করতে বাধ্য করা
গ) আইন প্রণয়ন বন্ধ করা
ঘ) বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা

প্রশ্ন: মানবাধিকার রক্ষায় কোনটি গুরুত্বপূর্ণ?

ক) নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা
খ) সরকারি গোপন নীতি
গ) কর বৃদ্ধি
ঘ) ক্ষমতার একনায়কত্ব

প্রশ্ন: সুশাসন ও পৌরনীতির মধ্যে সম্পর্ক কী?

ক) পৌরনীতি সুশাসনের জন্য মৌলিক ভিত্তি
খ) পৌরনীতি আর সুশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই
গ) সুশাসন পৌরনীতি বন্ধ করে
ঘ) সুশাসন পৌরনীতিকে প্রভাবিত করে না

প্রশ্ন: জনগণের অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত হয়?

ক) ভোটাধিকার এবং স্থানীয় সভা
খ) কর বৃদ্ধি
গ) ক্ষমতার একনায়কত্ব
ঘ) বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করা

প্রশ্ন: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝায়?

ক) রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সংস্থা
খ) সরকারি অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ
গ) ক্ষমতাশালীদের অধীনে সংস্থা
ঘ) কর আদায়ের সংস্থা

প্রশ্ন: সুশাসনের মূল ভিত্তি কোনটি নয়?

ক) স্বচ্ছতা
খ) জবাবদিহিতা
গ) ক্ষমতার একনায়কত্ব
ঘ) আইনের শাসন

প্রশ্ন: নাগরিক দায়িত্বের মধ্যে কোনটি অন্তর্ভুক্ত?

ক) আইন মেনে চলা
খ) অন্যের অধিকার হরণ করা
গ) গোপন নীতি অনুসরণ করা
ঘ) অবাধ ক্ষমতার ব্যবহার

প্রশ্ন: সুশাসনের লক্ষ্য কোনটি?

ক) দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন
খ) সরকারি গোপনীয়তা বৃদ্ধি
গ) নাগরিকের অধিকার হরণ
ঘ) ক্ষমতার অপব্যবহার

প্রশ্ন: নাগরিকত্বের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কী?

ক) সমাজের কল্যাণে অংশগ্রহণ
খ) সরকারি নীতি লুকানো
গ) অন্যের অধিকার হরণ
ঘ) ক্ষমতার অপব্যবহার

প্রশ্ন: সুশাসনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

ক) বিচার ব্যবস্থা
খ) ব্যবসায়িক সংস্থা
গ) ব্যক্তিগত অফিস
ঘ) শিল্প প্রতিষ্ঠান

প্রশ্ন: স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য করণীয় কী?

ক) সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা
খ) নীতিমালা গোপন রাখা
গ) জনগণের অংশগ্রহণ বন্ধ করা
ঘ) ক্ষমতার একনায়কত্ব

প্রশ্ন: নাগরিক অধিকার বলতে বোঝায়?

ক) আইন মেনে চলা এবং স্বাধীনতা ভোগ
খ) অন্যের অধিকার হরণ করা
গ) ক্ষমতার অপব্যবহার
ঘ) কর বৃদ্ধি

প্রশ্ন: সুশাসনের জন্য জনগণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ক) কারণ তারা সরকারের নীতি নির্ধারণে অংশ নেয়
খ) কারণ তারা ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে
গ) কারণ তারা বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে
ঘ) কারণ তারা কর বৃদ্ধি করে

প্রশ্ন: পৌরনীতি শিক্ষার মূল লক্ষ্য কী?

ক) ভালো নাগরিক গড়ে তোলা
খ) ক্ষমতার অপব্যবহার শেখানো
গ) কর বৃদ্ধি করা
ঘ) বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করা

প্রশ্ন: স্বাধীন সংস্থা কোন কাজ করবে না?

ক) রাজনৈতিক প্রভাব মেনে কাজ করা
খ) আইন মেনে চলা
গ) জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা
ঘ) সুশাসনে অবদান রাখা

প্রশ্ন: নাগরিকের অংশগ্রহণ কীভাবে প্রকাশ পায়?

ক) ভোট, স্থানীয় সভা ও সমিতি
খ) সরকারের নীতি লুকানো
গ) ক্ষমতার অপব্যবহার
ঘ) কর বৃদ্ধি

প্রশ্ন: মানবাধিকার রক্ষা না হলে কী ঘটে?

ক) সুশাসন দুর্বল হয়
খ) সমাজ উন্নত হয়
গ) নাগরিকের কল্যাণ বৃদ্ধি পায়
ঘ) স্বাধীনতা বৃদ্ধি পায়

প্রশ্ন: সুশাসনের সংজ্ঞা কোনটি সঠিক?

ক) স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত, কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক শাসন
খ) ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কর বৃদ্ধি
গ) সরকারি নীতি গোপন রাখা
ঘ) নাগরিকের অধিকার হরণ করা

প্রশ্ন: নাগরিক কর্তব্যের মধ্যে কোনটি অন্তর্ভুক্ত?

ক) আইন মানা
খ) অন্যের অধিকার হরণ করা
গ) সরকারি নীতি গোপন রাখা
ঘ) ক্ষমতার অপব্যবহার

প্রশ্ন: সুশাসনের মাধ্যমে কী নিশ্চিত হয়?

ক) জনগণের কল্যাণ ও ন্যায়
খ) সরকারের একনায়কত্ব
গ) কর বৃদ্ধি
ঘ) রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি

প্রশ্ন: স্বাধীন সংস্থার উদাহরণ কী?

ক) নির্বাচন কমিশন
খ) ব্যক্তিগত ব্যবসা
গ) শিল্প প্রতিষ্ঠান
ঘ) কর সংস্থা

প্রশ্ন: নাগরিকত্বের অধিকারগুলোর মধ্যে কোনটি রয়েছে?

ক) মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
খ) অন্যের অধিকার হরণ
গ) সরকারি গোপন নীতি লুকানো
ঘ) ক্ষমতার অপব্যবহার

প্রশ্ন: আইনের শাসন মানে কী?

ক) সকলের জন্য আইন প্রযোজ্য
খ) ক্ষমতাশালীরা আইন থেকে মুক্ত
গ) বিচার বন্ধ রাখা
ঘ) সরকার গোপন নীতি তৈরি

প্রশ্ন: সুশাসনের উদ্দেশ্য নয়? 

ক) জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো
খ) নাগরিকের অধিকার হরণ
গ) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
ঘ) দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন

প্রশ্ন: পৌরনীতি শিক্ষার লক্ষ্য কী?

ক) ভালো নাগরিক তৈরি করা
খ) সরকারের গোপন নীতি লুকানো
গ) ক্ষমতার অপব্যবহার শেখানো
ঘ) কর বৃদ্ধি করা

প্রশ্ন: নাগরিক অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো?

ক) ভোট, স্থানীয় সভা ও সমিতি
খ) সরকারি নীতি লুকানো
গ) ক্ষমতার অপব্যবহার
ঘ) বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করা

প্রশ্ন: মানবাধিকার রক্ষা না হলে কী হয়?

ক) সুশাসন দুর্বল হয়
খ) সমাজ উন্নত হয়
গ) নাগরিকের কল্যাণ বৃদ্ধি পায়
ঘ) স্বাধীনতা বৃদ্ধি পায়

প্রশ্ন: স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য করণীয় কী?

ক) সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা
খ) সরকারের গোপন নীতি লুকানো
গ) নাগরিকদের অংশগ্রহণ বন্ধ করা
ঘ) ক্ষমতার একনায়কত্ব

প্রশ্ন: সুশাসনের মূল ভিত্তি কোনটি নয়?

ক) আইনের শাসন
খ) জবাবদিহিতা
গ) ক্ষমতার একনায়কত্ব
ঘ) স্বচ্ছতা
উত্তর: গ) ক্ষমতার একনায়কত্ব

প্রশ্ন: নাগরিকের মৌলিক অধিকার কি?

ক) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
খ) অন্যের অধিকার হরণ
গ) সরকারি নীতি লুকানো
ঘ) কর বৃদ্ধি

প্রশ্ন: বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ক) কারণ এটি আইন ও ন্যায় নিশ্চিত করে
খ) কারণ এটি ক্ষমতার অপব্যবহার বাড়ায়
গ) কারণ এটি জনগণের অধিকার হরণ করে
ঘ) কারণ এটি সরকারের গোপন নীতি লুকায়

প্রশ্ন: নাগরিকের অংশগ্রহণ ছাড়া সুশাসন সম্ভব কি?

ক) সম্ভব নয়
খ) সম্ভব
গ) অংশগ্রহণের কোনো প্রয়োজন নেই
ঘ) শুধুমাত্র কর বৃদ্ধি হলে সম্ভব

প্রশ্ন: সুশাসনের মাধ্যমে সরকার কী নিশ্চিত করে?

ক) জনগণের কল্যাণ, স্বচ্ছতা ও ন্যায়
খ) ক্ষমতার অপব্যবহার
গ) রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি
ঘ) নাগরিক অধিকার হরণ

প্রশ্ন: স্বাধীন সংস্থা কোন কাজ করবে?

ক) রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে কাজ করা
খ) সরকারের গোপন নীতি লুকানো
গ) নাগরিক অধিকার হরণ
ঘ) ক্ষমতার অপব্যবহার

প্রশ্ন: পৌরনীতি শিক্ষার মাধ্যমে নাগরিক কী শিখে?

ক) দায়িত্ব পালন ও সমাজে অংশগ্রহণ
খ) ক্ষমতার অপব্যবহার
গ) অন্যের অধিকার হরণ
ঘ) কর বৃদ্ধি

প্রশ্ন: সুশাসনের জন্য নাগরিকদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব কোথায়?

ক) নীতি-নির্ধারণ ও সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা
খ) সরকারের গোপন নীতি লুকানো
গ) ক্ষমতার একনায়কত্ব
ঘ) বিচার ব্যবস্থা বন্ধ করা

প্রশ্ন: নাগরিকের দায়িত্বের মধ্যে কোনটি নেই?

ক) অন্যের অধিকার হরণ
খ) আইন মেনে চলা
গ) সমাজের কল্যাণে অংশগ্রহণ
ঘ) ভোটাধিকার ব্যবহার

প্রশ্ন: মানবাধিকার রক্ষা না হলে সুশাসনে কী প্রভাব পড়ে?

ক) দুর্বলতা ও অনিয়ম বৃদ্ধি পায়
খ) সমাজ সমৃদ্ধ হয়
গ) নাগরিকের কল্যাণ বৃদ্ধি পায়
ঘ) দেশের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়

প্রশ্ন: সুশাসনের সংজ্ঞা কোনটি?

ক) স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক শাসন
খ) ক্ষমতার একনায়কত্ব
গ) সরকারি গোপন নীতি
ঘ) নাগরিক অধিকার হরণ

প্রশ্ন: নাগরিকত্বের অধিকার ও দায়িত্বের সম্পর্ক কী?

ক) অধিকার পূর্ণ করতে হলে দায়িত্ব পালন অপরিহার্য
খ) অধিকার ও দায়িত্বের কোনো সম্পর্ক নেই
গ) দায়িত্ব পালন অধিকার হরণ করে
ঘ) দায়িত্ব পালন সীমিত নাগরিকত্ব দেয়

প্রশ্ন: সুশাসনের জন্য কোন বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

ক) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
খ) ক্ষমতার একনায়কত্ব
গ) কর বৃদ্ধি
ঘ) গোপন নীতি
উত্তর: ক) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা

সুশাসন সম্পর্কে সাধারণ কিছু  প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: সুশাসন কি?

উত্তর: সুশাসন হলো এমন শাসন ব্যবস্থা যা স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত, কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক।

প্রশ্ন: সুশাসনের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর: নাগরিকের কল্যাণ, ন্যায়, স্বচ্ছতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

প্রশ্ন: সুশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: আইনের শাসন, জনগণের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, মানবাধিকার রক্ষা এবং স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্ন: সুশাসনের পূর্বশর্ত কী?
উত্তর: আইনের শাসন, স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার রক্ষা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ।

প্রশ্ন: আইনের শাসন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সবাইকে সমানভাবে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, যেখানে ক্ষমতাধররাও আইন থেকে মুক্ত নয়।

প্রশ্ন: জনগণের অংশগ্রহণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: কারণ জনগণ নীতি-নির্ধারণে অংশ নিয়ে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করে।

প্রশ্ন: মানবাধিকার সুশাসনের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত?
উত্তর: নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে, তা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।

প্রশ্ন: স্বচ্ছতা কীভাবে সুশাসনকে শক্তিশালী করে?
উত্তর: সরকারি কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রকাশ করে নাগরিকদের বিশ্বাস ও ন্যায় নিশ্চিত করা।

প্রশ্ন: জবাবদিহিতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সরকার এবং প্রশাসন তাদের কাজের জন্য জনগণের কাছে দায়িত্বশীল হবে।

প্রশ্ন: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান কী?
উত্তর: রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে আইন ও নীতি কার্যকর করে সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

প্রশ্ন: সুশাসনের মাধ্যমে কোন ধরনের উন্নয়ন সম্ভব?
উত্তর: সামাজিক ন্যায়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নাগরিকের কল্যাণ।

প্রশ্ন: একজন নাগরিক কীভাবে সুশাসনে অবদান রাখতে পারে?
উত্তর: আইন মেনে চলা, ভোট দেওয়া, স্থানীয় সভায় অংশগ্রহণ এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন।

প্রশ্ন: নাগরিকত্বের অধিকার কী কী?
উত্তর: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমান সুযোগের অধিকার।

প্রশ্ন: নাগরিকত্বের দায়িত্ব কী কী?
উত্তর: আইন মেনে চলা, সমাজের কল্যাণে অংশগ্রহণ এবং অন্যের অধিকার রক্ষা।

প্রশ্ন: স্বাধীন বিচারব্যবস্থা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: কারণ এটি আইন ও ন্যায় নিশ্চিত করে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করে।

প্রশ্ন: সুশাসনের জন্য জনগণ কোন মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে?
উত্তর: ভোটাধিকার, স্থানীয় সভা, সমিতি এবং সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন: ক্ষমতার একনায়কত্ব কি সুশাসনের জন্য ভালো?
উত্তর: না, এটি সুশাসনের শত্রু কারণ এটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কমিয়ে দেয়।

প্রশ্ন: সুশাসন কবে দুর্বল হয়?
উত্তর: যখন আইন অমান্য করা হয়, স্বচ্ছতা নেই এবং জনগণের অংশগ্রহণ সীমিত।

প্রশ্ন: নাগরিক অধিকার হরণ হলে কী ঘটে?
উত্তর: সমাজে অনিয়ম বৃদ্ধি পায় এবং সুশাসন দুর্বল হয়।

প্রশ্ন: স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকার কী করতে পারে?
উত্তর: সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্ত খোলাখুলি প্রকাশ করা।

প্রশ্ন: জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: কারণ এটি সরকারের জবাবদিহিতা এবং নীতির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।

প্রশ্ন: সুশাসনের একটি উদাহরণ কী হতে পারে?
উত্তর: জনগণ আইন মেনে চলা, ভোট প্রদান এবং সরকারের নীতির ওপর নজর রাখা।

প্রশ্ন: নাগরিকের দায়িত্ব না মানলে কী হয়?
উত্তর: সুশাসন দুর্বল হয় এবং সমাজে অনিয়ম বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান ও সুশাসনের সম্পর্ক কী?
উত্তর: স্বাধীন প্রতিষ্ঠান সুশাসনের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।

প্রশ্ন: সুশাসনের জন্য করণীয় কী?
উত্তর: আইন মেনে চলা, স্বচ্ছতা বজায় রাখা, জনগণকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।

প্রশ্ন: নাগরিক দায়িত্ব পালন না করলে সমাজে কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর: অপরাধ, অনিয়ম এবং সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন: বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: কারণ এটি সকলের জন্য সমান ন্যায় নিশ্চিত করে।

প্রশ্ন: মানবাধিকার ও সুশাসনের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর: মানবাধিকার রক্ষা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়।

প্রশ্ন: ভোটাধিকার কীভাবে সুশাসনকে শক্তিশালী করে?
উত্তর: এটি সরকারের ওপর জনগণের নিয়ন্ত্রণ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।

প্রশ্ন: সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা কী লাভ করে?
উত্তর: নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, ন্যায় এবং সুযোগ সমতা।

প্রশ্ন: সুশাসনের লক্ষ্য নিয়ে একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: সরকারি নীতি স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়ন করে নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করা।

প্রশ্ন: সরকারের স্বচ্ছতা কমে গেলে কী হয়?
উত্তর: দুর্নীতি বৃদ্ধি পায় এবং জনগণের বিশ্বাস কমে।

প্রশ্ন: নাগরিকের অংশগ্রহণ ছাড়া সুশাসন সম্ভব কি?
উত্তর: সম্ভব নয়, কারণ জনগণ নীতিতে অংশ না নিলে জবাবদিহিতা হয় না।

প্রশ্ন: স্বাধীন সংস্থা কাদের ওপর নির্ভরশীল নয়?
উত্তর: রাজনৈতিক প্রভাবের ওপর নির্ভরশীল নয়।

প্রশ্ন: নাগরিক দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে কী অর্জিত হয়?
উত্তর: সমাজে ন্যায়, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি।

প্রশ্ন: আইন অমান্য করলে কী হয়?
উত্তর: অপরাধ ও অনিয়ম বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন: জনগণকে অংশগ্রহণের সুযোগ কমালে কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর: সরকারের জবাবদিহিতা কমে এবং সুশাসন দুর্বল হয়।

প্রশ্ন: সুশাসন এবং নাগরিক দায়িত্বের সম্পর্ক কী?
উত্তর: নাগরিক দায়িত্ব পালন ছাড়া সুশাসন কার্যকর হয় না।

প্রশ্ন: সুশাসনের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় কিভাবে নিশ্চিত হয়?
উত্তর: আইন মেনে চলা এবং মানবাধিকার রক্ষা করে।

প্রশ্ন: নাগরিক অধিকার ও দায়িত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর: অধিকার পূর্ণ করতে হলে দায়িত্ব পালন অপরিহার্য।

প্রশ্ন: স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য নাগরিকরা কী করতে পারে?
উত্তর: সরকারি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও মত প্রকাশ করা।

প্রশ্ন: বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা না থাকলে কী হয়?
উত্তর: আইন ও ন্যায় নিশ্চিত হয় না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন: সুশাসনের জন্য প্রধান নীতি কী?
উত্তর: আইনের শাসন, জনগণের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং মানবাধিকার রক্ষা।

প্রশ্ন: জনগণের কল্যাণের সাথে সুশাসনের সম্পর্ক কী?
উত্তর: সুশাসন নিশ্চিত করলে জনগণের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সুযোগ সমতা বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন: নাগরিকদের অংশগ্রহণ না থাকলে দেশের উন্নয়ন কীভাবে প্রভাবিত হয়?
উত্তর: উন্নয়ন মন্থর হয় এবং সমাজে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়।

প্রশ্ন: স্বচ্ছতা না থাকলে জনগণের কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর: বিশ্বাসহীনতা বৃদ্ধি পায় এবং দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন: সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা কীভাবে শক্তিশালী হয়?
উত্তর: অধিকার ও সুযোগ সমতা পেয়ে সমাজে সুরক্ষিত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারে।

প্রশ্ন: নাগরিক দায়িত্ব ও স্বাধীনতা একে অপরকে কীভাবে সমর্থন করে?
উত্তর: দায়িত্ব পালন করলে অধিকার সুরক্ষিত হয় এবং স্বাধীনতা কার্যকর হয়।

প্রশ্ন: সুশাসনের সফলতা কী দ্বারা নির্ধারিত হয়?
উত্তর: আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, মানবাধিকার রক্ষা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ দ্বারা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url