ইহরাম কি | ইহরাম কাকে বলে | ইহরাম বলতে কি বুঝায়

ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম হচ্ছে হজ, যা প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার পালন করা ফরজ। হজ পালনের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইহরাম। ইহরাম শুধু একটি বিশেষ পোশাক নয়; এটি একটি পবিত্র অবস্থা, একটি নিয়ত এবং আত্মশুদ্ধির প্রতীক। ইহরামের মাধ্যমে একজন মুসলমান নিজেকে দুনিয়াবি সমস্ত বিলাসিতা, পার্থিব পরিচয় ও পার্থক্য থেকে মুক্ত করে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিঃস্বার্থভাবে আত্মসমর্পণ করে। এই অবস্থা অর্জনের মাধ্যমে মুসলমান নারী-পুরুষ হজ বা উমরার উদ্দেশ্যে বিশেষ কিছু বিধি-নিষেধ মানার অঙ্গীকার করে থাকেন। ইহরাম পরিধান ও নিয়তের মাধ্যমে শুরু হয় আত্মিক এক ভ্রমণ—যা মানুষকে অহংকার, গর্ব, পার্থিব মোহ ও আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে দূরে রেখে বিনয়, তওবা ও আল্লাহর নৈকট্যের দিকে ধাবিত করে। এই ইহরাম অবস্থায় মানুষ জ্ঞান, হৃদয় ও আচরণে পরিশুদ্ধ হতে চেষ্টা করে, যাতে তার ইবাদত হয় খাঁটি এবং আল্লাহর দরবারে কবুলযোগ্য। তাই ইহরাম শুধু শরীরের নয়, বরং আত্মারও পোশাক—যা হজ ও উমরার রুহানিয়াতকে গভীরভাবে ধারণ করে।

ইহরাম কি | ইহরাম কাকে বলে | ইহরাম বলতে কি বুঝায়

ইহরাম কি

ইহরাম একটি পবিত্র অবস্থা, যা হজ বা উমরা পালন শুরুর পূর্বে মুসলমানদের গ্রহণ করতে হয়। এটি শুধু একটি বিশেষ ধরনের পোশাক নয়, বরং ইবাদতের জন্য মানসিক, শারীরিক ও আত্মিক প্রস্তুতির প্রতীক। ইহরামে প্রবেশের মাধ্যমে একজন মুসল্লি হজ বা উমরার নিয়ত করে এবং কিছু নির্দিষ্ট বিধি-নিষেধ মানার অঙ্গীকার করে।

ইহরাম বাধা কি

ইহরাম বাধা বলতে সেই সীমারেখাকে বোঝানো হয়, যেটি পেরোনোর আগে হজ বা উমরার নিয়ত করে ইহরামে প্রবেশ করা বাধ্যতামূলক। এই সীমাকে আরবিতে বলা হয় “মীকাত”। কেউ যদি মীকাত অঞ্চল অতিক্রম করে হজ বা উমরার ইচ্ছা নিয়ে থাকে, তবে তাকে ইহরাম ছাড়া তা করা বৈধ নয়। এটি ইসলামী শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম।

ইহরাম কাকে বলে

ইহরাম হল হজ বা উমরা আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ত ও পবিত্রতা সহকারে নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে একটি পবিত্র অবস্থায় প্রবেশ করা। পুরুষদের জন্য এটি দুটি সেলাইবিহীন সাদা কাপড় এবং নারীদের জন্য সাধারণ পর্দাশীল পোশাক। ইহরামে প্রবেশ করার পর কিছু কাজ হারাম হয়ে যায়, যেমনচুল কাটা, নখ কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার ইত্যাদি।

ইহরাম শব্দের অর্থ কি

ইহরাম শব্দটি আরবি "أحرام" (ইহরাম) ধাতু থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো "নিষিদ্ধ করা" বা "হারাম করা"। ইহরাম অবস্থা মানে হলো এমন একটি পবিত্র অবস্থায় প্রবেশ করা, যেখানে কিছু হালাল কাজ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যেমন—চুল কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার, যৌন সম্পর্ক ইত্যাদি। এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের প্রতীক।

ইহরাম বলতে কি বুঝায়

ইহরাম বলতে বোঝায় একজন মুসলমান যখন হজ বা উমরা পালনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী নিয়ত করে বিশেষ পোশাক পরে পবিত্র অবস্থায় প্রবেশ করেন। এই অবস্থায় তিনি কিছু বৈধ কাজ থেকেও বিরত থাকেন, যেমন চুল কাটা, নখ কাটা, ঝগড়া করা, সুগন্ধি ব্যবহার ইত্যাদি। ইহরাম হলো আত্মশুদ্ধি ও আনুগত্যের প্রতীক।

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ

ইহরামে প্রবেশ করার পর কিছু সাধারণ বৈধ কাজও নিষিদ্ধ হয়ে যায়, যেগুলো মেনে চলা ফরজ। নিচে ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কিছু কাজ উল্লেখ করা হলো:

  • চুল বা দাড়ি কাটা ও ছেঁড়া

  • নখ কাটা

  • সুগন্ধি ব্যবহার করা

  • শিকার করা বা শিকারে সাহায্য করা

  • যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা যৌন ইঙ্গিত

  • ঝগড়া-বিবাদ, খারাপ ভাষা ব্যবহার

  • সেলাইযুক্ত পোশাক পরা (পুরুষদের ক্ষেত্রে)

  • মুখ বা মাথা সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখা (পুরুষদের জন্য)

  • কোনো গাছপালা বা তৃণ ছেঁড়া (হারাম সীমার মধ্যে)

এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে একজন মুসলমান ইবাদতের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা ও আত্মসংযমের পরিচয় দেন।

ইহরামের কাপড়ের দাম

ইহরামের কাপড়ের দাম বিভিন্ন দেশের বাজার, মান এবং কাপড়ের কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে বাংলাদেশে পুরুষদের সাদা সেলাইবিহীন ইহরামের দুই টুকরো তোয়ালে কাপড়ের সেটের দাম প্রায় ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। উচ্চমানের ইহরাম কাপড় যেমন বেশি মোটা, তুলা-মিশ্রিত বা টার্কিশ তোয়ালে হলে এর দাম আরও বেশি হতে পারে। নারীদের ইহরামের জন্য সাধারণ পর্দাশীল সাদা পোশাক ব্যবহৃত হয়, যার দাম হয় সাধারণত ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।

ইহরামের কাপড়ের সাইজ

পুরুষদের ইহরামের কাপড় সাধারণত দুটি সাদা তোয়ালের মতো কাপড় দিয়ে তৈরি হয়—একটি নিচের অংশ (ইযার) ও একটি উপরের অংশ (রিদা)। এই কাপড়ের নির্দিষ্ট কোনো ইউনিভার্সাল সাইজ না থাকলেও সাধারণত নিচের অংশটি হয় প্রায় ৪৫–৫০ ইঞ্চি চওড়া ও ৯০–১০০ ইঞ্চি লম্বা, আর উপরের অংশটি হয় ৫০–৬০ ইঞ্চি চওড়া ও ১০০–১২০ ইঞ্চি লম্বা। তবে বাজারে বিভিন্ন উচ্চতা ও গঠনের মানুষদের উপযোগী করে ছোট-বড় সাইজেও ইহরাম কাপড় পাওয়া যায়। নারীদের ইহরাম সাইজ সাধারণত তাদের পর্দার পোশাক অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, যা ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক হয়ে থাকে।

ইহরামের কাপড় পরার নিয়ম

ইহরামের কাপড় পরার আগে গোসল বা অজু করে শরীর পবিত্র করতে হয় এবং সুন্নত মোতাবেক পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হয়। ইহরামের কাপড় পরার নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:

পুরুষদের জন্য

  • দুই টুকরো সাদা, সেলাইবিহীন তোয়ালে জাতীয় কাপড় পরতে হয়।

    • এক টুকরো কাপড় কোমরে জড়িয়ে নিচের অংশ ঢেকে রাখতে হয় (এটি ইযার বা লুঙ্গির মতো)।

    • অন্য টুকরো কাঁধের ওপর দিয়ে উপরের অংশ ঢেকে রাখতে হয় (এটি রিদা)।

  • কোনো সেলাইযুক্ত কাপড়, জুতা বা মাথা ঢাকার কিছু ব্যবহার করা যাবে না।

নারীদের জন্য

  • নারীরা সাধারণ পর্দাশীল সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরে, যা তাদের শরীর পুরোপুরি ঢাকে।

  • তারা সাধারণ মাথা ঢাকার জন্য ওড়না ব্যবহার করতে পারেন, তবে মুখ সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখা নিষেধ (তবে পর্দার জন্য নেকাব ব্যবহার করা জায়েজ যদি মুখে না লাগে)।

ইহরামের কাপড় পরে নির্দিষ্ট নিয়ত ও তালবিয়া পাঠের মাধ্যমে ইহরামে প্রবেশ সম্পন্ন হয়।

ইহরামের কাপড় কতটুকু লাগে

পুরুষদের ইহরামের জন্য সাধারণত দুটি সাদা তোয়ালার মতো কাপড় লাগে। প্রতিটি তোয়ালার দৈর্ঘ্য সাধারণত ৯০ থেকে ১০০ ইঞ্চি (প্রায় ৭.৫ থেকে ৮.৫ ফুট) এবং প্রস্থ ৪৫ থেকে ৫০ ইঞ্চির মতো হয়। অর্থাৎ মোট প্রায় ১৫ থেকে ১৭ ফুট সাদা কাপড় দরকার হয়। একটি তোয়ালা কোমর ঢাকার জন্য (ইযার) আরেকটি কাঁধ ঢাকার জন্য (রিদা) ব্যবহার করা হয়। নারীদের ইহরামের কাপড় সাধারণত একটি ঢিলেঢালা সাদা বা হালকা রঙের পোশাক, যা তাদের শরীর পুরোপুরি ঢেকে।

মহিলাদের ইহরামের কাপড় কয়টি

মহিলাদের ইহরামের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বিশেষ পোশাকের সংখ্যা নেই, তবে সাধারণত তারা আরামদায়ক, ঢিলেঢালা এবং পর্দাশীল সাদা বা হালকা রঙের কাপড় ব্যবহার করেন। ইহরামের সময় মহিলারা সাধারণত নিচের কয়েকটি কাপড় বা বস্ত্র পরেন

  • ঢিলেঢালা লুঙ্গি বা প্যান্ট (যা শরীর ঢেকে রাখে)

  • ঢিলেঢালা শাড়ি, আবায়া, বা লম্বা কুর্তা

  • ওড়না বা স্কার্ফ যা মাথা ঢেকে এবং চুল ঢেকে রাখে

সুতরাং মহিলাদের ইহরামের জন্য কাপড়ের সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়, বরং তারা এমন পর্দাশীল ও আরামদায়ক পোশাক ব্যবহার করেন যা শরীর ও মাথা ভালোভাবে ঢেকে রাখে এবং ইহরামের বিধি অনুসারে থাকে।

ইহরামের কাপড় কোথায় পাওয়া যায়

ইহরামের কাপড় সাধারণত বাংলাদেশের বড় শহরের ঈদ-মেলার বাজার, হজ-উমরা বিশেষ দোকান, ইসলামিক বাজার এবং বড় জামা-কাপড়ের দোকানে পাওয়া যায়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ প্রধান শহরে সহজে মিলবে। অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন Daraz, Ajkerdeal, ও অন্যান্য ই-কমার্স সাইট থেকেও বিভিন্ন দামের ও মানের ইহরাম কাপড় কেনা সম্ভব। হজের মৌসুমে বিশেষ দোকানগুলোতে সাশ্রয়ী ও মানসম্মত কাপড়ের প্রচুর স্টক থাকে।

ইহরাম কি?
ইহরাম হলো হজ বা উমরা পালন শুরু করার আগে নির্দিষ্ট নিয়ত ও পবিত্র অবস্থায় প্রবেশ করা।

ইহরাম পরিধানের উদ্দেশ্য কী?
আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করা।

ইহরাম শব্দের অর্থ কী?
“নিষিদ্ধ করা” বা “হারাম করা” অর্থে ব্যবহৃত একটি আরবি শব্দ।

ইহরাম কখন পরিধান করা হয়?
হজ বা উমরার মীকাত এলাকায় পৌঁছানোর পর।

ইহরাম বাধা বলতে কী বুঝায়?
যে সীমা অতিক্রম করার আগে ইহরাম বাধ্যতামূলক।

ইহরামে পরিধান করার কাপড়ের বৈশিষ্ট্য কী?
পুরুষদের জন্য সাদা, সেলাইবিহীন, দুই টুকরো কাপড়।

নারীদের জন্য ইহরাম কাপড় কেমন হয়?
ঢিলেঢালা, পর্দাশীল ও আরামদায়ক পোশাক।

ইহরামের সময় কোন কাজগুলো নিষিদ্ধ?
চুল কাটা, নখ কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার, শিকার করা, যৌন সম্পর্ক ইত্যাদি।

ইহরাম শুরুর নিয়ত কীভাবে করা হয়?
মীকাতে এসে ইহরামের নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করতে হয়।

ইহরামের নিয়ত করার সময় কী পড়তে হয়?
“লাব্বাইক আল্লাহুম্মা হজ্জা” বা “লাব্বাইক উমরাতান” তালবিয়া।

ইহরামের কাপড় পরার নিয়ম কী?
পুরুষরা দুই সেলাইবিহীন কাপড় পরবে, নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক।

ইহরাম অবস্থায় মুখ ঢাকার অনুমতি আছে কি?
পুরুষরা মুখ ঢাকতে পারে না, নারীরা সাধারণত মুখ ঢাকার প্রয়োজন নেই।

ইহরাম কতদিন ধরে থাকে?
হজের সময়সূচি অনুযায়ী সময়কাল পরিবর্তন হয়।

ইহরাম ভঙ্গ হলে কী করা হয়?
ফিদিয়া বা কফারা দান করতে হয়।

ইহরামে প্রবেশের আগে কী করা উচিত?
গোসল করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

ইহরাম অবস্থায় কি জুতা পরা যায়?
হালকা খোলা জুতা পরা যায়, পায়ের গোড়ালি ঢেকে যাবে না।

ইহরামের পোশাকের দাম কত?
প্রায় ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকা বা এর বেশি হতে পারে।

ইহরামের কাপড় কোথায় পাওয়া যায়?
বিশেষ ইসলামিক দোকান ও অনলাইন বাজারে।

ইহরামে চুল কাটা কেন নিষিদ্ধ?
আত্মসংযম ও ইহরামের পবিত্রতা রক্ষার জন্য।

ইহরামে নখ কাটা নিষিদ্ধ কেন?
শরীরের সম্পদ রক্ষা ও আত্মসংযমের শিক্ষা দেওয়ার জন্য।

ইহরামে শিকার করা কেন হারাম?
প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা এবং পবিত্র অবস্থার জন্য।

ইহরামে সুগন্ধি ব্যবহার কেন নিষেধ?
নিজেকে পার্থিব বিলাসিতা থেকে দূরে রাখা।

ইহরামে ঝগড়া বা বিরোধ করা কেন নিষেধ?
আত্মশুদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ ইবাদতের জন্য।

ইহরামের কাপড়ে সেলাই কেন চলবে না?
সেলাই থাকা মানে পোশাকে বাঁধা ও স্বাভাবিকতা, যা নিষিদ্ধ।

ইহরাম ভঙ্গের অন্যতম কারণ কী?
চুল বা নখ কাটা, যৌন সম্পর্ক স্থাপন।

ইহরামের কাপড়ের দৈর্ঘ্য কেমন হয়?
প্রায় ৯০ থেকে ১২০ ইঞ্চি লম্বা।

ইহরামের কাপড়ের চওড়া কত?
৪৫ থেকে ৬০ ইঞ্চি।

ইহরামের পোশাক পুরুষদের জন্য কেন সাদা?
সাদাভাবে সমানতা ও বিনয় প্রকাশের জন্য।

নারীরা কি মাথা ঢেকে ইহরাম করতে হবে?
হ্যাঁ, মাথা ঢেকে আনুগত্য ও পর্দা বজায় রাখতে হবে।

ইহরামের সময় কোনো বিশেষ খাদ্য নিষিদ্ধ?
না, খাদ্যের ওপর নিষেধ নেই, তবে পরিমিত খাওয়া উত্তম।

ইহরামের নিয়ত ছাড়া হজ বা উমরা করা যাবে?
না, নিয়ত ছাড়া ইহরাম বৈধ নয়।

ইহরামের কাপড় কেন সাধারণ মানুষের কাছেও বিক্রি হয়?
কারণ এটি সহজ এবং সাধারণ পবিত্র পোশাক।

ইহরাম ভঙ্গ হলে কী ধরনের কফারা দেওয়া হয়?
গরু, উট বা ছাগল কোরবানি করা।

ইহরামে দাঁড়ানোর শৃঙ্খলা কেমন হওয়া উচিত?
সাবধান, বিনয় এবং ধৈর্যশীল।

ইহরাম কি শুধু পোশাক পরার নাম?
না, এটি একটি পবিত্র অবস্থা ও নিয়মাবলী।

ইহরামের সময় যাত্রা করা কি ঠিক?
হজ বা উমরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা স্বাভাবিক।

ইহরাম ভঙ্গ হলে কী তাওবা করতে হয়?
হ্যাঁ, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া আবশ্যক।

ইহরামের কাপড়ের রং অন্য কি হতে পারে?
পুরুষদের জন্য সাধারণত শুধুই সাদা।

ইহরামের সময় মাথা কাটার বিধিনিষেধ কেন?
পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য।

ইহরামের সময় কি বাথরুম যাওয়া নিষেধ?
না, তবে সাবধানে ও শৃঙ্খলা মেনে।

ইহরাম শুরু করার সর্বোত্তম স্থান কোথায়?
মীকাত এলাকা।

ইহরাম কতবার পরতে হয়?
হজ ও উমরা প্রতিবারে একবার করে।

ইহরামে গায়ে হলুদ বা রঙ ব্যবহার করা যায়?
না, এটা নিষিদ্ধ।

ইহরামে পুরুষরা সেলাইযুক্ত জামা পরতে পারে?
না, চলবে না।

ইহরামে মহিলাদের জন্য মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক?
না, তবে শালীনতা রাখতে হবে।

ইহরামে ছেলেদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক কী?
দুটি সাদা তোয়ালে।

ইহরামে যে সমস্ত কাজ নিষিদ্ধ?
যৌনতা, চুল কাটা, নখ কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার।

ইহরাম কবে শেষ হয়?
হজ বা উমরার নির্দিষ্ট ইবাদত শেষ হলে।

ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করা যায়?
না, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ধরনের কাপড় পরা উচিত।

ইহরামে কোমর ঢাকার কাপড়ের নাম কী?
ইযার।

ইহরামে শরীর ঢাকার কাপড়ের নাম কী?
রিদা।

ইহরাম নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কী?
আত্মসংযম, পরিশুদ্ধতা ও আল্লাহর প্রতি ভক্তি।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url