চাপ কি চাপ | চাপ কাকে বলে | মানসিক চাপ কমানোর উপায়

চাপ এমন একটি বিষয়, যা মানুষের জীবনের প্রতিটি ধাপে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। এটি কখনো শারীরিক, কখনো মানসিক আবার কখনো সামাজিক রূপে আমাদের সামনে আসে। সাধারণত চাপ বলতে বোঝানো হয় এমন এক প্রকার অবস্থা, যখন একজন মানুষ বা পরিবেশের উপর কোনো ধরনের বল প্রয়োগ করা হয় অথবা মানসিকভাবে অতিরিক্ত চাপ অনুভূত হয়। দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, শিক্ষার চাপ, পারিবারিক সমস্যা কিংবা সামাজিক প্রতিযোগিতা—সব মিলিয়েই চাপ মানুষের জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার শারীরিক দিক থেকেও চাপের গুরুত্ব রয়েছে, যেমন বায়ুচাপ, রক্তচাপ কিংবা পানির চাপ, যা প্রকৃতি ও জীবনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। তাই চাপ শুধু মানসিক বা শারীরিক সমস্যার নাম নয়, এটি একটি বৈজ্ঞানিক, সামাজিক ও মানসিক বাস্তবতা, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। সঠিকভাবে চাপকে বুঝে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই জীবন হবে অনেক বেশি সুন্দর, স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ।

চাপ কি চাপ, চাপ কাকে বলে, মানসিক চাপ কমানোর উপায়

চাপ কাকে বলে

চাপ বলতে বোঝায় কোনো বস্তুর উপর নির্দিষ্ট ক্ষেত্রফলে লম্বভাবে প্রয়োগিত বলের পরিমাণ। অর্থাৎ, যখন একটি বস্তুতে বল প্রয়োগ করা হয়, তখন সেই বল বস্তুর উপরিভাগে সমানভাবে বা নির্দিষ্ট অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই বলের প্রভাবই হলো চাপ। চাপ নির্ণয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সূত্র রয়েছে—

চাপ = বল ÷ ক্ষেত্রফল

এখানে বল যত বেশি হবে, চাপ তত বাড়বে। আবার একই বল যদি ছোট এলাকায় প্রয়োগ করা হয়, তবে চাপ অনেক বেশি হবে, আর যদি বড় এলাকায় প্রয়োগ করা হয়, তবে চাপ তুলনামূলক কম হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি পেরেকের ধারালো মাথা দেয়ালে সহজে প্রবেশ করে, কারণ বল ছোট ক্ষেত্রফলে পড়ে এবং চাপ বেড়ে যায়। অন্যদিকে, যদি একই বল একটি ভোঁতা জিনিসের উপর প্রয়োগ করা হয়, তবে বড় ক্ষেত্রফলে বল ছড়িয়ে পড়ে বলে চাপ কম হয় এবং সেটি সহজে প্রবেশ করতে পারে না।

চাপ শুধু পদার্থবিদ্যার একটি মৌলিক ধারণা নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। যেমন রক্তচাপ, বায়ুচাপ, পানির চাপ ইত্যাদি। তাই চাপ হলো এমন একটি পরিমাপ, যা দেখায় একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রফলে কতটা বল কাজ করছে এবং এর প্রভাব কেমন হবে।

মানসিক চাপ কি

মানসিক চাপ হলো এমন একটি অবস্থা, যখন কোনো ব্যক্তি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ভয়, উদ্বেগ বা সমস্যার কারণে মানসিক অস্বস্তি অনুভব করে। এটি মূলত মনস্তাত্ত্বিক চাপ, যা শরীর ও মনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপের কারণ হতে পারে কাজের বাড়তি চাপ, অর্থনৈতিক সমস্যা, পারিবারিক অশান্তি, শিক্ষাগত প্রতিযোগিতা কিংবা সামাজিক নানা দায়িত্ব।

মানসিক চাপের লক্ষণগুলো হলো— মন খারাপ থাকা, অস্থিরতা, রাগ বৃদ্ধি, ঘুমের সমস্যা, মাথাব্যথা, মনোযোগে ঘাটতি ইত্যাদি। দীর্ঘ সময় মানসিক চাপ থাকলে এটি শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হজমে সমস্যা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।

সঠিক বিশ্রাম, ইতিবাচক চিন্তা, সময় ব্যবস্থাপনা, ব্যায়াম এবং প্রিয় কাজের সাথে যুক্ত থাকা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ, মানসিক চাপ হলো মানুষের মনের উপর সৃষ্টি হওয়া এক ধরনের অদৃশ্য বোঝা, যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই জীবন অনেক শান্তিপূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর হয়।

মানসিক চাপ কাকে বলে

মানসিক চাপ হলো এমন একটি মানসিক অবস্থা, যখন মানুষ কোনো সমস্যা, দুশ্চিন্তা, ভয়, অনিশ্চয়তা বা অতিরিক্ত দায়িত্বের কারণে মনের ভেতর অস্বস্তি ও ভার অনুভব করে। এটি এক ধরনের মানসিক টানাপোড়েন, যা মানুষকে অস্থির, উদ্বিগ্ন এবং কখনো কখনো হতাশ করে তোলে।

সাধারণত পড়াশোনার চাপ, চাকরির টেনশন, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আর্থিক সংকট কিংবা ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। মানসিক চাপের প্রভাব শুধু মনের উপর নয়, শরীরের উপরও পড়ে যেমন মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা, ক্ষুধামন্দা, ক্লান্তি ইত্যাদি।

অর্থাৎ, মানসিক চাপ হলো মানুষের মনের উপর সৃষ্ট দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার এক বিশেষ অবস্থা, যা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

মানসিক চাপ কমানোর উপায় 

আধুনিক জীবনে মানসিক চাপ একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা, পারিবারিক দায়িত্ব কিংবা আর্থিক টানাপোড়েন—সবকিছু মিলিয়ে মানুষের মনে নানা ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এই মানসিক চাপ যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখা যায়, তবে তা শরীর ও মনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তবে কিছু সচেতন অভ্যাস গড়ে তুললে মানসিক চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। নিচে বিস্তারিতভাবে মানসিক চাপ কমানোর কার্যকর উপায়গুলো তুলে ধরা হলো।

নিয়মিত ব্যায়াম করা

শরীরচর্চা শুধু শরীরের জন্য নয়, মনকেও শান্ত করে। হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম কিংবা সাইক্লিং করলে শরীরে এন্ডরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানুষকে আনন্দ দেয় এবং মানসিক চাপ কমায়। প্রতিদিন অন্তত ২০–৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা

ঘুমের ঘাটতি মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয় এবং নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি যোগায়। তাই প্রতিদিন অন্তত ৬–৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সময় ব্যবস্থাপনা শেখা

অধিকাংশ মানসিক চাপের অন্যতম কারণ হলো কাজের চাপ। কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভাগ করে নিলে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পন্ন করলে দুশ্চিন্তা কম হয়। অযথা সময় নষ্ট না করে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করা মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম উপায়।

ইতিবাচক চিন্তা করা

নেতিবাচক চিন্তা চাপকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই জীবনের প্রতিটি বিষয় ইতিবাচকভাবে দেখতে শেখা উচিত। ভালো দিকগুলো নিয়ে ভাবলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং মনের অস্থিরতা কমে যায়।

ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন

ধ্যান বা মেডিটেশন মনকে প্রশান্ত করে। প্রতিদিন কয়েক মিনিট নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করলে মানসিক চাপ দ্রুত হ্রাস পায়। গভীর শ্বাস নেওয়া ও ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে শরীর ও মন দুটোই শান্ত হয়।

প্রিয় কাজে সময় দেওয়া

গান শোনা, বই পড়া, ছবি আঁকা বা ভ্রমণ—যে কোনো প্রিয় কাজে সময় দিলে মনের চাপ হালকা হয়। কারণ প্রিয় কাজে মনোযোগ দিলে দুশ্চিন্তার চিন্তা সরে যায় এবং মন সতেজ হয়।

বিশ্বস্ত কারো সাথে কথা বলা

সমস্যার কথা মনে জমিয়ে রাখলে চাপ বাড়ে। তাই বন্ধু, পরিবার বা কোনো বিশ্বস্ত মানুষের সাথে মনের কথা শেয়ার করা উচিত। এতে মন হালকা হয় এবং নতুন সমাধানের পথও খুঁজে পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা

অতিরিক্ত ক্যাফেইন, চা, কফি বা জাঙ্ক ফুড মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল, মাছ ও পানি বেশি খেলে শরীর ও মন সতেজ থাকে।

নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া

মানসিক চাপ কমাতে নিজের জন্য সময় বের করা অত্যন্ত জরুরি। নিজের ইচ্ছামতো কাজ করা, ভ্রমণ করা বা বিশ্রাম নেওয়া মানসিক শান্তি আনে

মানসিক চাপ পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব নয়, তবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, ইতিবাচক মানসিকতা, সময় ব্যবস্থাপনা ও প্রিয় কাজে যুক্ত থাকার মাধ্যমে চাপকে সহজেই কমানো যায়। সঠিকভাবে জীবনযাপন করলে মানসিক চাপ শুধু কমবে না, বরং জীবনও হবে অনেক বেশি সুখী, সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ

মানসিক চাপ নিয়ে কিছু উক্তি

মানসিক চাপ নিয়ে কিছু প্রেরণাদায়ক ও চিন্তাশীল উক্তি নিচে দেওয়া হলো—

  • “মানসিক চাপ সমস্যাকে বাড়ায়, সমাধানকে নয়।”

  • “দুশ্চিন্তা হলো এমন এক বোঝা, যা আমরা নিজেরাই কাঁধে তুলে নিই।”

  • “চাপকে ভয় নয়, নিয়ন্ত্রণ করাই হলো সফলতার মূল।”

  • “মানসিক চাপ যত কম, জীবনের স্বাদ তত বেশি।”

  • “চিন্তা কখনো সমস্যার সমাধান দেয় না, বরং সমাধানের পথ আটকে দেয়।”

  • “যখন মন শান্ত থাকে, তখন যেকোনো সমস্যার সমাধান সহজ হয়।”

  • “মানসিক চাপ হলো অদৃশ্য শত্রু, যা শরীর ও মনের শক্তি নিঃশেষ করে।”

  • “নিজেকে সময় দিন, তাহলেই চাপ কমে যাবে।”

  • “অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ভবিষ্যৎ বদলাতে পারে না, বরং বর্তমান নষ্ট করে।”

  • “চাপ জীবনের অংশ, কিন্তু তাকে নিয়ন্ত্রণ করাই আসল দক্ষতা।”

চাপ সম্পর্কে ৫০ টি প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ চাপ কি?
উত্তরঃ চাপ হলো কোনো বস্তুর উপর লম্বভাবে ক্রিয়াশীল বলকে ঐ বস্তুর ক্ষেত্রফলের উপর ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে চাপ বলে।

প্রশ্নঃ চাপের সূত্র কি?
উত্তরঃ চাপ = বল ÷ ক্ষেত্রফল।

প্রশ্নঃ চাপের একক কি?
উত্তরঃ চাপের একক হলো পাসকেল (Pa)।

প্রশ্নঃ পাসকেল একক কিভাবে নির্ধারিত হয়?
উত্তরঃ ১ পাসকেল = ১ নিউটন বল ÷ ১ বর্গমিটার ক্ষেত্রফল।

প্রশ্নঃ চাপ কে প্রথম ব্যাখ্যা করেন?
উত্তরঃ ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইস পাসকেল চাপের মৌলিক ধারণা দেন।

প্রশ্নঃ বায়ুচাপ কি?
উত্তরঃ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে কোনো বস্তুর উপর যে বল ক্রিয়া করে তাকেই বায়ুচাপ বলে।

প্রশ্নঃ তরল চাপ কি?
উত্তরঃ কোনো তরল পদার্থ তার পাত্রের দেয়াল বা তলায় যে চাপ সৃষ্টি করে তাকে তরল চাপ বলে।

প্রশ্নঃ কঠিন বস্তুর চাপ কিভাবে তৈরি হয়?
উত্তরঃ কঠিন বস্তুর ভর ও তার ক্ষেত্রফলের উপর নির্ভর করে চাপ সৃষ্টি হয়।

প্রশ্নঃ ক্ষেত্রফল বেশি হলে চাপ কেমন হবে?
উত্তরঃ ক্ষেত্রফল বেশি হলে চাপ কম হয়।

প্রশ্নঃ ক্ষেত্রফল কম হলে চাপ কেমন হবে?
উত্তরঃ ক্ষেত্রফল কম হলে চাপ বেশি হয়।

প্রশ্নঃ দৈনন্দিন জীবনে চাপের উদাহরণ কি?
উত্তরঃ ছুরি বা ব্লেড দিয়ে কাটা, পেরেক দেয়ালে ঢোকানো ইত্যাদি চাপের উদাহরণ।

প্রশ্নঃ তরল চাপ কার সূত্রে ব্যাখ্যা করা হয়?
উত্তরঃ তরল চাপ পাসকেলের সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়।

প্রশ্নঃ পাসকেলের সূত্র কি বলে?
উত্তরঃ একটি বন্ধ তরলের উপর চাপ প্রয়োগ করলে তা সমানভাবে সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্নঃ গ্যাসের চাপ কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ গ্যাস অণুগুলো পাত্রের দেয়ালে ধাক্কা দিলে গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হয়।

প্রশ্নঃ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের মান কত?
উত্তরঃ সমুদ্র সমতলে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের মান প্রায় ১.০১৩×10⁵ Pa।

প্রশ্নঃ বায়ুচাপ মাপার যন্ত্রের নাম কি?
উত্তরঃ বায়ুচাপ মাপার যন্ত্র হলো ব্যারোমিটার।

প্রশ্নঃ তরল চাপ মাপার যন্ত্রের নাম কি?
উত্তরঃ তরল চাপ মাপার যন্ত্র হলো ম্যানোমিটার।

প্রশ্নঃ রক্তচাপ কি?
উত্তরঃ মানুষের শরীরের রক্ত ধমনীর দেয়ালে যে চাপ সৃষ্টি করে তাকে রক্তচাপ বলে।

প্রশ্নঃ রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের নাম কি?
উত্তরঃ রক্তচাপ মাপার যন্ত্র হলো স্পাইগমোম্যানোমিটার।

প্রশ্নঃ রক্তচাপের স্বাভাবিক মান কত?
উত্তরঃ সাধারণত ১২০/৮০ mmHg কে স্বাভাবিক রক্তচাপ ধরা হয়।

প্রশ্নঃ চাপের প্রভাব কিসের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ চাপের প্রভাব নির্ভর করে প্রয়োগকৃত বল ও ক্ষেত্রফলের উপর।

প্রশ্নঃ গভীরতার সাথে তরল চাপ কেমন পরিবর্তিত হয়?
উত্তরঃ গভীরতা বাড়লে তরল চাপ বাড়ে।

প্রশ্নঃ পানির নিচে ডুবুরিদের শরীরে চাপ কেন বেশি হয়?
উত্তরঃ পানির গভীরতায় তরল চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবুরিদের শরীরে বেশি চাপ পড়ে।

প্রশ্নঃ হাতির পায়ের ক্ষেত্রফল বড় কেন?
উত্তরঃ হাতির ওজন বেশি হওয়ায় চাপ কমানোর জন্য পায়ের ক্ষেত্রফল বড়।

প্রশ্নঃ বরফের উপর স্লেজ কেন সহজে চলে?
উত্তরঃ স্লেজের ক্ষেত্রফল বেশি হওয়ায় চাপ কম পড়ে এবং বরফ সহজে ভাঙে না।

প্রশ্নঃ ধারালো চাকু কেন সহজে কাটতে পারে?
উত্তরঃ চাকুর ধার কম ক্ষেত্রফলে বেশি চাপ সৃষ্টি করে, তাই সহজে কাটতে পারে।

প্রশ্নঃ উচ্চচাপ এলাকা বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ যেখানে বায়ুচাপ তুলনামূলক বেশি থাকে তাকে উচ্চচাপ এলাকা বলে।

প্রশ্নঃ নিম্নচাপ এলাকা বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ যেখানে বায়ুচাপ তুলনামূলক কম থাকে তাকে নিম্নচাপ এলাকা বলে।

প্রশ্নঃ আবহাওয়ার সাথে চাপের সম্পর্ক কি?
উত্তরঃ উচ্চচাপ এলাকায় সাধারণত পরিষ্কার আকাশ থাকে, আর নিম্নচাপ এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।

প্রশ্নঃ টায়ারের মধ্যে চাপ কেন প্রয়োজন?
উত্তরঃ টায়ারের ভেতরে বাতাসের চাপ গাড়ির ওজন বহন করতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ প্রেশার কুকার কিভাবে কাজ করে?
উত্তরঃ প্রেশার কুকারের ভেতরে চাপ বাড়লে পানির স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায় এবং খাবার দ্রুত রান্না হয়।

প্রশ্নঃ সাবমেরিন কিভাবে পানির নিচে নামে?
উত্তরঃ সাবমেরিন ভেতরের ট্যাঙ্কে পানি ভর্তি করে নিজের ওজন বাড়িয়ে চাপ ব্যবহার করে নিচে নামে।

প্রশ্নঃ বিমানে চাপ নিয়ন্ত্রণ কেন করা হয়?
উত্তরঃ উচ্চ আকাশে বায়ুচাপ কমে যায়, তাই যাত্রীদের স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য বিমানের ভেতরে চাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

প্রশ্নঃ চাপের সাথে বলের পার্থক্য কি?
উত্তরঃ বল হলো টান বা ঠেলার ক্রিয়া, আর চাপ হলো বলের ক্ষেত্রফলের উপর প্রভাব।

প্রশ্নঃ ডাইভিং স্যুট কেন পুরু হয়?
উত্তরঃ ডুবুরিদের শরীরকে পানির অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা করতে ডাইভিং স্যুট পুরু করা হয়।

প্রশ্নঃ পাহাড়ে উঠলে কানে ব্যথা কেন হয়?
উত্তরঃ উচ্চতায় বায়ুচাপ কমে যায়, ফলে ভেতরের চাপ ও বাইরের চাপের অমিলের কারণে কানে ব্যথা হয়।

প্রশ্নঃ প্রেসার কুকারে সিটি কেন বাজে?
উত্তরঃ ভেতরে অতিরিক্ত চাপ হলে সেফটি ভাল্ব দিয়ে বাষ্প বের হয় এবং সিটি বাজে।

প্রশ্নঃ গভীর সমুদ্রে মাছ কিভাবে বাঁচে?
উত্তরঃ গভীর সমুদ্রের মাছের শরীর অভ্যন্তরীণ চাপকে বাইরের চাপের সমান করে রাখতে পারে।

প্রশ্নঃ চাপ কমাতে কোন কৌশল ব্যবহার হয়?
উত্তরঃ ক্ষেত্রফল বাড়ানো হলে চাপ কমানো যায়।

প্রশ্নঃ চাপ বাড়াতে কোন কৌশল ব্যবহার হয়?
উত্তরঃ ক্ষেত্রফল কমানো হলে চাপ বাড়ানো যায়।

প্রশ্নঃ ফুটবলের বায়ুচাপ কেন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়?
উত্তরঃ সঠিক বায়ুচাপ না থাকলে বল লাফায় না বা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

প্রশ্নঃ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পরিবর্তনের কারণে কোন যন্ত্র কাজ করে?
উত্তরঃ ব্যারোমিটার ও অ্যানিমোমিটার চাপ পরিবর্তনের কারণে কাজ করে।

প্রশ্নঃ চিকিৎসায় চাপ কোথায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ রক্তচাপ মাপা, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও স্যালাইনে চাপ ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্নঃ শিল্পে চাপের ব্যবহার কোথায়?
উত্তরঃ প্রেশার কুকার, হাইড্রোলিক প্রেস, স্প্রে মেশিনে চাপ ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্নঃ হাইড্রোলিক প্রেস কিভাবে কাজ করে?
উত্তরঃ ছোট ক্ষেত্রফলে প্রয়োগকৃত চাপ পাসকেলের সূত্রে বড় ক্ষেত্রফলে গিয়ে অনেক শক্তি উৎপন্ন করে।

প্রশ্নঃ চাপের SI একক ছাড়া আর কি একক আছে?
উত্তরঃ mmHg, bar, atm ইত্যাদিও চাপের একক।

প্রশ্নঃ ১ atm কত পাসকেল সমান?
উত্তরঃ ১ atm = ১.০১৩×10⁵ Pa।

প্রশ্নঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে গেলে বায়ুচাপ কেমন হয়?
উত্তরঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে গেলে বায়ুচাপ কমে যায়।

প্রশ্নঃ মানুষের জীবনে চাপ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ চাপ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক, চিকিৎসা, পরিবেশ ও দৈনন্দিন জীবনের কাজে অপরিহার্য।


আপনি চাইলে আমি এগুলোকে আরও আর্টিকেল আকারে সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিতে পারি। চাইবেন কি?



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url