বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ একটি ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং মানুষের বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ দেশ। আমাদের দেশের নানা দিক যেমন ভূগোল, ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, খেলাধুলা এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্বন্ধে প্রাথমিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান থাকা শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী এবং সাধারণ পাঠকের জন্য অপরিহার্য। তাই আমি বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক এই আর্টিকেল টি তৈরি করেছি।
এখানে প্রতিটি তথ্য ছোট, সংক্ষেপে এবং স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে, যাতে পাঠক দ্রুত শিখতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনে, শিক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আমি আশা করি, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে একজন পাঠক বাংলাদেশকে কেবল ভৌগোলিক বা রাজনৈতিক দিক থেকে নয়, বরং ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সমাজ ও অর্থনীতির সমন্বিত চিত্রে জানতে পারবে।
বাংলাদেশের ভূগোল
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, যা প্রধানত নদীমাতৃক এবং সমতলভূমিতে অবস্থিত। দেশের প্রধান নদীসমূহের মধ্যে পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও কর্ণফুলী উল্লেখযোগ্য। উত্তরে পাহাড়ি অঞ্চল, দক্ষিণে সমুদ্র সৈকত ও দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে।
দেশের নদী, মাটি এবং জলবায়ু কৃষি, জীবনধারা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের ভূগোল দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, বন্যা প্রবণতা এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান কোথায়?
উত্তর: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ, যা ভারতের পূর্বে ও মিয়ানমারের পশ্চিমে অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অক্ষাংশ কত ডিগ্রির মধ্যে অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশ ২০°৩৪′ উত্তর থেকে ২৬°৩৮′ উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দ্রাঘিমাংশ কত ডিগ্রির মধ্যে অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের দ্রাঘিমাংশ ৮৮°০১′ পূর্ব থেকে ৯২°৪১′ পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান কোন অঞ্চলে পড়ে?
উত্তর: বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাংশে, বঙ্গোপসাগরের তীরে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উত্তরে কোন দেশ অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের উত্তরে ভারত অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দক্ষিণে কী রয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পূর্বদিকে কোন দেশ অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের পূর্বদিকে মিয়ানমার অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পশ্চিমে কোন দেশ অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট আয়তন কত?
উত্তর: বাংলাদেশের আয়তন প্রায় ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের রাজধানী কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা দেশের মধ্যভাগে অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান কোন অক্ষাংশ রেখার কাছাকাছি?
উত্তর: বাংলাদেশ কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান জলবায়ুর উপর কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: বাংলাদেশের অবস্থান উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে হওয়ায় এখানে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত—এই তিনটি প্রধান ঋতু দেখা যায়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল কোন দিকে অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল দক্ষিণ দিকে, বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিম দৈর্ঘ্য প্রায় কত কিলোমিটার?
উত্তর: বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিম দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ প্রস্থ প্রায় কত কিলোমিটার?
উত্তর: বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ প্রস্থ প্রায় ৩০০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান কোন কারণে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: কারণ বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য সুবিধাজনক।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের চারপাশে কত দেশের সীমান্ত রয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশের সীমান্ত তিনটি দেশের সাথে যুক্ত—ভারত, মিয়ানমার ও বঙ্গোপসাগর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: বাংলাদেশের স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,৪২৭ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার?
উত্তর: বঙ্গোপসাগরের তীরে বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭১০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটির অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: উপকূলীয় অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে বন্দরনির্ভর বাণিজ্য, কৃষি ও মৎস্যসম্পদ উন্নত হয়েছে।
বাংলাদেশের আয়তন
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট আয়তন কত?
উত্তর: বাংলাদেশের মোট আয়তন প্রায় ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী বিশ্বের কত নম্বর দেশ?
উত্তর: আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় ৯২তম বৃহৎ দেশ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের স্থলভাগের আয়তন কত?
উত্তর: বাংলাদেশের স্থলভাগের আয়তন প্রায় ১,৩০,১৭০ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলভাগের আয়তন কত?
উত্তর: বাংলাদেশের জলভাগের আয়তন প্রায় ১৭,৪০০ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তন দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় কেমন?
উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আয়তনে বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও জনসংখ্যায় অন্যতম বৃহৎ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?
উত্তর: প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১,২০০ জনের বেশি মানুষ বাস করে, যা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তন ভারতের কোন রাজ্যের সমান প্রায়?
উত্তর: বাংলাদেশের আয়তন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে প্রায় মিল আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ কেমন?
উত্তর: আয়তনে ছোট হলেও প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন উর্বর মাটি, নদী ও গ্যাস বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল?
উত্তর: বাংলাদেশের আয়তন প্রায় ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের স্থল ও জলভাগের অনুপাত কত?
উত্তর: বাংলাদেশের স্থল ও জলভাগের অনুপাত প্রায় ৮৮:১২।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহত্তম বিভাগ কোনটি আয়তনের দিক থেকে?
উত্তর: আয়তনের দিক থেকে রাঙ্গামাটি জেলা অন্তর্ভুক্ত চট্টগ্রাম বিভাগ বৃহত্তম।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম বিভাগ কোনটি আয়তনের দিক থেকে?
উত্তর: আয়তনের দিক থেকে ময়মনসিংহ বিভাগ তুলনামূলকভাবে ছোট।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা কোনটি আয়তনের দিক থেকে?
উত্তর: রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা, যার আয়তন প্রায় ৬,১১৬ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম জেলা কোনটি আয়তনের দিক থেকে?
উত্তর: নারায়ণগঞ্জ জেলা আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের আয়তন কত?
উত্তর: উপকূলীয় অঞ্চলের আয়তন প্রায় ৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার, যা মোট আয়তনের এক-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বনভূমির আয়তন কত?
উত্তর: বাংলাদেশের বনভূমির আয়তন প্রায় ২.৫ মিলিয়ন হেক্টর, যা মোট আয়তনের প্রায় ১৭ শতাংশ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তন অর্থনৈতিক উন্নয়নে কীভাবে প্রভাব ফেলে?
উত্তর: সীমিত আয়তনের কারণে শিল্প ও কৃষি খাতের সম্প্রসারণে চ্যালেঞ্জ দেখা দিলেও জনসম্পদভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার চাপ কেমন?
উত্তর: বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি, যা বাসস্থান ও কর্মসংস্থানে চাপ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তন কি অতীতে পরিবর্তিত হয়েছে?
উত্তর: হ্যাঁ, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বর্তমান আয়তন নির্ধারিত হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আয়তন সম্পর্কে সংক্ষেপে কী বলা যায়?
উত্তর: ছোট আয়তনের হলেও বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদ, জনশক্তি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি দেশ।
বাংলাদেশের সীমানা
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট স্থল সীমানার দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার?
উত্তর: বাংলাদেশের স্থল সীমানার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,৪২৭ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে কী ধরনের সীমানা রয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশের দক্ষিণে রয়েছে সামুদ্রিক সীমানা, যা বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের স্থল সীমানা কোন কোন দেশের সঙ্গে যুক্ত?
উত্তর: বাংলাদেশের স্থল সীমানা ভারতের সঙ্গে এবং পূর্ব দিকে মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত।
প্রশ্ন: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,০৯৬ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭১ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্ত কতটি দেশের সঙ্গে মিলেছে?
উত্তর: বাংলাদেশের সীমান্ত দুই দেশের সঙ্গে মিলেছে—ভারত ও মিয়ানমার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার?
উত্তর: বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দক্ষিণ সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭১০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: ভারতের কোন রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে?
উত্তর: আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্ত সবচেয়ে বেশি কোন রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত যুক্ত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা কতটি?
উত্তর: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা মোট ৩২টি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তে কোন জেলা অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তে বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজার জেলা অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তে কোন জেলা অবস্থিত?
উত্তর: পশ্চিম সীমান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, যশোর ইত্যাদি জেলা অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্ত নির্ধারণ কবে হয়েছিল?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) এর সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত হয়।
প্রশ্ন: স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন কবে সম্পন্ন হয়?
উত্তর: স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন ২০১৫ সালে সম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নদীগুলোর গুরুত্ব কী?
উত্তর: সীমান্তবর্তী নদীগুলো বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পানিবন্টন, কৃষি ও যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্তে কি এনক্লেভ ছিল?
উত্তর: হ্যাঁ, আগে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে অনেক এনক্লেভ ছিল, যা ২০১৫ সালে বিনিময় সম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্তে কোন কোন স্থলবন্দর অবস্থিত?
উত্তর: হিলি, বেনাপোল, বুড়িমারী, আখাউড়া, বালোনগর ও টেকনাফ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্তের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য কেমন?
উত্তর: বাংলাদেশের সীমান্তে পাহাড়, সমতলভূমি, নদী ও বনভূমির বৈচিত্র্য রয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্ত কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: সীমান্ত বাংলাদেশের নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও প্রতিবেশী সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট সীমান্তবর্তী জেলার সংখ্যা কত?
উত্তর: বাংলাদেশের মোট সীমান্তবর্তী জেলা ৩২টি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সীমান্ত কোন কোন দেশের সঙ্গে যুক্ত?
উত্তর: বাংলাদেশের সীমান্ত ভারতের ও মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত।
প্রশ্ন: ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলার সংখ্যা কত?
উত্তর: ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলার সংখ্যা ৩০টি।
প্রশ্ন: মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলার সংখ্যা কত?
উত্তর: মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলার সংখ্যা ২টি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন কোন জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে?
উত্তর: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে।
প্রশ্ন: আসাম রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন কোন জেলা সীমান্ত ভাগ করেছে?
উত্তর: কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও ময়মনসিংহ জেলা আসামের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে।
প্রশ্ন: মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন কোন জেলা সীমান্ত ভাগ করেছে?
উত্তর: সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলা মেঘালয়ের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে।
প্রশ্ন: ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন কোন জেলা সীমান্ত ভাগ করেছে?
উত্তর: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী ও খাগড়াছড়ি জেলা ত্রিপুরার সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে।
প্রশ্ন: মিজোরাম রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন জেলা সীমান্ত ভাগ করেছে?
উত্তর: বান্দরবান জেলা মিজোরামের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে।
প্রশ্ন: মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন কোন জেলা সীমান্ত ভাগ করেছে?
উত্তর: বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলা সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করেছে?
উত্তর: কুড়িগ্রাম জেলা সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করেছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলার সীমান্তে তামাবিল স্থলবন্দর অবস্থিত?
উত্তর: সিলেট জেলার সীমান্তে তামাবিল স্থলবন্দর অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলার সীমান্তে বেনাপোল স্থলবন্দর অবস্থিত?
উত্তর: যশোর জেলার সীমান্তে বেনাপোল স্থলবন্দর অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলার সীমান্তে বুড়িমারী স্থলবন্দর অবস্থিত?
উত্তর: লালমনিরহাট জেলার সীমান্তে বুড়িমারী স্থলবন্দর অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলার সীমান্তে হিলি স্থলবন্দর অবস্থিত?
উত্তর: দিনাজপুর জেলার সীমান্তে হিলি স্থলবন্দর অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলার সীমান্তে আখাউড়া স্থলবন্দর অবস্থিত?
উত্তর: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তে আখাউড়া স্থলবন্দর অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলার সীমান্তে টেকনাফ স্থলবন্দর অবস্থিত?
উত্তর: কক্সবাজার জেলার সীমান্তে টেকনাফ স্থলবন্দর অবস্থিত।
প্রশ্ন: সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অর্থনৈতিক গুরুত্ব কী?
উত্তর: সীমান্তবর্তী জেলা বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি ও পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: সীমান্তবর্তী এলাকায় কোন ধরনের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে?
উত্তর: সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) নিরাপত্তা রক্ষা করে।
প্রশ্ন: সীমান্তবর্তী জেলা গুলো কেন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: এসব জেলা দেশের নিরাপত্তা, বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কতটি বিভাগ আছে?
উত্তর: বাংলাদেশের মোট ৮টি বিভাগ আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিভাগগুলো কি কি?
উত্তর: ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট জেলা কতটি?
উত্তর: বাংলাদেশের মোট ৬৪টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: ঢাকার বিভাগে কতটি জেলা আছে?
উত্তর: ঢাকার বিভাগে ১৩টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: চট্টগ্রাম বিভাগের কতটি জেলা আছে?
উত্তর: চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: খুলনা বিভাগের কতটি জেলা আছে?
উত্তর: খুলনা বিভাগে ১০টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: রাজশাহী বিভাগের কতটি জেলা আছে?
উত্তর: রাজশাহী বিভাগে ৮টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: বরিশাল বিভাগের কতটি জেলা আছে?
উত্তর: বরিশাল বিভাগে ৬টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: সিলেট বিভাগের কতটি জেলা আছে?
উত্তর: সিলেট বিভাগে ৪টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: রংপুর বিভাগের কতটি জেলা আছে?
উত্তর: রংপুর বিভাগে ৮টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: ময়মনসিংহ বিভাগের কতটি জেলা আছে?
উত্তর: ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি জেলা আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট উপজেলা কতটি?
উত্তর: বাংলাদেশের মোট ৪৪১টি উপজেলা আছে।
প্রশ্ন: উপজেলার ভূমিকা কী?
উত্তর: উপজেলা হচ্ছে জেলার অধীনে প্রশাসনিক ইউনিট, যা স্থানীয় প্রশাসন ও সেবা প্রদান করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট ইউনিয়ন কতটি?
উত্তর: বাংলাদেশের মোট ৪,৫৪৭টি ইউনিয়ন আছে।
প্রশ্ন: ইউনিয়নের প্রধান কর্মকর্তা কে?
উত্তর: ইউনিয়নের প্রধান কর্মকর্তা হল চেয়ারম্যান।
প্রশ্ন: ইউনিয়নের ভূমিকা কী?
উত্তর: ইউনিয়ন হলো গ্রামের প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সবচেয়ে ছোট স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মোট সিটি কর্পোরেশন কতটি?
উত্তর: বাংলাদেশের মোট ১২টি সিটি কর্পোরেশন আছে।
প্রশ্ন: সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কে?
উত্তর: সিটি কর্পোরেশনের প্রধান হল মেয়র।
প্রশ্ন: সিটি কর্পোরেশনের মূল কাজ কী?
উত্তর: নগর এলাকার উন্নয়ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পানি-বিদ্যুৎ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সিটি কর্পোরেশনের কাজ।
প্রশ্ন: ঢাকার বিভাগে কতটি সিটি কর্পোরেশন আছে?
উত্তর: ঢাকার বিভাগে ৩টি সিটি কর্পোরেশন আছে—ঢাকা North, ঢাকা South ও নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন: চট্টগ্রাম বিভাগের সিটি কর্পোরেশন কী?
উত্তর: চট্টগ্রাম শহরটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দ্বারা প্রশাসিত।
প্রশ্ন: সিলেটের সিটি কর্পোরেশন কীভাবে প্রশাসিত?
উত্তর: সিলেট শহর সিলেট সিটি কর্পোরেশন দ্বারা প্রশাসিত।
প্রশ্ন: রংপুরের সিটি কর্পোরেশন কোন জেলা নিয়ে গঠিত?
উত্তর: রংপুর শহর রংপুর জেলা এর অন্তর্গত।
প্রশ্ন: সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন কত বছরে হয়?
উত্তর: সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন পাঁচ বছরে একবার হয়।
প্রশ্ন: ইউনিয়নের নির্বাচন কত বছরে হয়?
উত্তর: ইউনিয়নের নির্বাচন পাঁচ বছরে একবার হয়।
প্রশ্ন: জেলা প্রশাসকের প্রধান দায়িত্ব কী?
উত্তর: জেলা প্রশাসক জেলা পর্যায়ে সরকারি কাজ, আইন-শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন তদারকি করেন।
প্রশ্ন: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাজ কী?
উত্তর: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলার প্রশাসন ও সরকারি সেবা পরিচালনা করেন।
প্রশ্ন: ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান দায়িত্ব কী?
উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজ, সড়ক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিচালনা করে।
প্রশ্ন: সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: সিটি কর্পোরেশন বড় নগর এলাকা পরিচালনা করে, আর পৌরসভা ছোট শহর বা পৌর এলাকা পরিচালনা করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিভাগগুলোকে আরও ছোট ইউনিটে ভাগ করা হয় কীভাবে?
উত্তর: বিভাগ → জেলা → উপজেলা → ইউনিয়ন → গ্রাম।
প্রশ্ন: সিটি কর্পোরেশনের নগর উন্নয়ন কীভাবে হয়?
উত্তর: পরিকল্পনা, সড়ক ও পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পানি-পরিচ্ছন্নতা প্রকল্পের মাধ্যমে।
প্রশ্ন: ইউনিয়নের বাজেট কীভাবে আসে?
উত্তর: ইউনিয়নের বাজেট কেন্দ্রীয় সরকার, জেলা ও স্থানীয় রাজস্ব থেকে আসে।
প্রশ্ন: সিটি কর্পোরেশনের পরিষদে কতজন কাউন্সিলর থাকে?
উত্তর: প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একজন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর থাকেন। মোট কাউন্সিলর সংখ্যা শহরের আকার অনুযায়ী ভিন্ন হয়।
প্রশ্ন: উপজেলা ও ইউনিয়নের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?
উত্তর: উপজেলা হলো জেলার অধীনে একটি প্রশাসনিক ইউনিট, ইউনিয়ন হলো উপজেলার অধীনে সবচেয়ে ছোট প্রশাসনিক ইউনিট।
প্রশ্ন: পৌরসভা ও ইউনিয়নের প্রধান পার্থক্য কী?
উত্তর: পৌরসভা নগর এলাকার প্রশাসন, ইউনিয়ন গ্রামীণ এলাকার প্রশাসন পরিচালনা করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রশাসনিক ইউনিটগুলোকে কীভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয়?
উত্তর: বিভাগ থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সরকারি এবং স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান পাহাড়ি অঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের প্রধান পাহাড়ি অঞ্চল চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড় কোনটি?
উত্তর: কক্সবাজারের তাজিংডং পাহাড় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান পর্বতমালা কোনটি?
উত্তর: পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি মালা প্রধান।
প্রশ্ন: পাহাড়ি অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি কেমন?
উত্তর: পাহাড়ি অঞ্চলের ভূমি ঢালু, ঘন বন ও পাহাড়ি নদীপূর্ণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মালভূমি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: মালভূমি হল উর্বর মাটি ও সমতলভূমি, যা কৃষির জন্য উপযোগী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সমভূমি অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: সমভূমি অঞ্চল সমতল, উর্বর ও সেচযোগ্য মাটির জন্য পরিচিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান সমভূমি অঞ্চল কোথায়?
উত্তর: দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চল, যেমন রাজশাহী, দিনাজপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন: মালভূমি অঞ্চলে প্রধান ফসল কী?
উত্তর: ধান, গম, পাট, সবজি।
প্রশ্ন: পাহাড়ি অঞ্চলে মানুষ কীভাবে বসবাস করে?
উত্তর: তারা প্রধানত ছোট গ্রামে বসবাস করে, পাহাড়ের ঢালু ভূমি ও নদীর ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন: সমভূমি ও মালভূমির মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: সমভূমি সমতল, উর্বর মাটি, মালভূমি ঢালু বা নরম উর্বর মাটি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রধান বনজাত উদ্ভিদ কী কী?
উত্তর: বাঁশ, সেগুন, গছপাল, কাঁঠাল।
প্রশ্ন: সমভূমি ও মালভূমি অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব কী?
উত্তর: কৃষি, ফসল উৎপাদন ও জনসংখ্যার বসতি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: মাতামুহুর দ্বীপ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের পরিচিত পর্যটন দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য পরিচিত।
প্রশ্ন: চর কী?
উত্তর: নদীর মধ্যে বা তীরে গঠিত ছোট বালুর জমি হলো চর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান চর অঞ্চলের উদাহরণ কী?
উত্তর: কুয়াকাটা ও নরসিংদী অঞ্চলের চর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: দেশের দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান উপসাগর কোনটি?
উত্তর: বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের প্রধান উপসাগর।
প্রশ্ন: দ্বীপে মানুষ কীভাবে বসবাস করে?
উত্তর: মাছ ধরা, কৃষি এবং সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করে।
প্রশ্ন: চর অঞ্চলে মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করে?
উত্তর: নদী ভাঙন এড়িয়ে ঘরবাড়ি করে এবং মাছ ও কৃষির ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন: উপকূলীয় এলাকার প্রধান অর্থনৈতিক কাজ কী?
উত্তর: মাছ ধরা, বন্দর বাণিজ্য ও পর্যটন।
প্রশ্ন: উপসাগরের গুরুত্ব কী?
উত্তর: মাছ ধরা, বন্দর, বাণিজ্য ও পরিবহন সহজ করা।
প্রশ্ন: দ্বীপ ও চর কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: নদী ও সমুদ্রের বালু জমে গঠিত হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপকূলের দৈর্ঘ্য কত প্রায়?
উত্তর: প্রায় ৭১০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: দ্বীপ ও চর অঞ্চলের প্রধান সমস্যা কী?
উত্তর: নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও মৌসুমী বন্যা।
প্রশ্ন: উপকূলীয় অঞ্চলে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে?
উত্তর: ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ত পানি প্রবেশ।
প্রশ্ন: দ্বীপ, চর ও উপকূলের মানুষের প্রধান খাদ্য উৎস কী?
উত্তর: মাছ, চিংড়ি, কৃষি ও সামুদ্রিক সম্পদ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান নদী কোনগুলো?
উত্তর: পদ্মা, যমুনা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া প্রধান নদী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী কোনটি?
উত্তর: পদ্মা নদী বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহৎ নদী ব্রহ্মপুত্র কোন দেশের মধ্য দিয়ে আসে?
উত্তর: ব্রহ্মপুত্র নদী প্রধানত ভারত ও চীনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
প্রশ্ন: পদ্মা ও যমুনার মিলন স্থল কোথায়?
উত্তর: পদ্মা ও যমুনা নদী মিলিত হয় কাঁচপুর (সাদার) অঞ্চলে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নদীসমূহের প্রধান কার্যকারিতা কী কী?
উত্তর: সেচ, পরিবহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, মাছধরা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মেঘনা নদীর উৎস কোথায়?
উত্তর: মেঘনা নদী ভারতের বিভিন্ন নদী ও বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্র ও পদ্মার মিলনস্থল থেকে গঠিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর উদাহরণ কী?
উত্তর: তিস্তা, ধরলা, করতোয়া ও ধলেশ্বরী নদী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর উদাহরণ কী?
উত্তর: পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও কপোতাকো নদী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নদীগুলো কোন প্রাকৃতিক সমস্যার সৃষ্টি করে?
উত্তর: বন্যা, নদী ভাঙন এবং মাটি ক্ষয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নদী ও খাল পরিবেশে কীভাবে প্রভাব ফেলে?
উত্তর: নদী ও খাল জল সরবরাহ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান খালগুলো কোনগুলো?
উত্তর: শিবপুর খাল, কাজীপুর খাল, মুরাদপুর খাল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কতটি প্রধান খাল আছে?
উত্তর: প্রায় ২০টির বেশি খাল আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান বিলগুলো কোনগুলো?
উত্তর: হরিপুর বিল, বগুড়া বিল, হাওড় বিল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কতটি বড় বিল আছে?
উত্তর: প্রায় ১০টির বেশি বড় বিল রয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান হাওরগুলো কোনগুলো?
উত্তর: হাকালুকি হাওর, তিস্তা হাওর, ভূপালং হাওর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কতটি বড় হাওর আছে?
উত্তর: প্রায় ২০টির বেশি বড় হাওর রয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের হাওরের পানি কখন বেশি থাকে?
উত্তর: বর্ষাকালে হাওরের পানি সবচেয়ে বেশি থাকে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের হাওরের মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করে?
উত্তর: তারা মাছ ধরা ও কৃষি করে জীবন নির্বাহ করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের খাল-বিল ও হাওরের প্রধান সুবিধা কী?
উত্তর: মাছের উৎস, পানি সংরক্ষণ, কৃষি ও পরিবেশ রক্ষা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের খাল-বিল কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: নদী তীরবর্তী অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও হাওর এলাকায়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের প্রধান জেলা কোনগুলো?
উত্তর: সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিল এবং হাওর পর্যটনের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মাছধরা পর্যটন আকর্ষণ করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান সাগর কোনটি?
উত্তর: বঙ্গোপসাগর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকার দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: প্রায় ৭২০ কিমি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপকূলবর্তী প্রধান জেলা কোনগুলো?
উত্তর: কক্সবাজার, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, ভোলা, পিরোজপুর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন সাগর উপকূলীয় মাছ ধরার জন্য বিখ্যাত?
উত্তর: বঙ্গোপসাগর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সাগরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব কী?
উত্তর: মাছ ধরা, বন্দর বাণিজ্য, পর্যটন ও সমুদ্র সম্পদ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন দ্বীপগুলি সাগরের অংশ?
উত্তর: সেন্টমার্টিন, হাতিয়া, কুতুবদিয়া।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে?
উত্তর: ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্র জলোচ্ছ্বাস ও কৃপণ উজান।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সাগর পর্যটনের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: সৈকত, দ্বীপ ও সমুদ্র পর্যটন আকর্ষণ করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলা সাগরের সাথে সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে?
উত্তর: কক্সবাজার জেলা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সাগর এবং উপকূলের পরিবেশের জন্য গুরুত্ব কী?
উত্তর: মৎস্যসম্পদ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমুদ্র বন্যার নিয়ন্ত্রণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত ঝর্ণা কোনটি?
উত্তর: চিম্বুক ঝর্ণা (বান্দরবান)।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঝর্ণা প্রধানত কোথায় থাকে?
উত্তর: পাহাড়ি জেলা—বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঝর্ণার পানি সাধারণত কোন উৎস থেকে আসে?
উত্তর: পাহাড় থেকে বৃষ্টি ও পাহাড়ি নদী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঝর্ণা পর্যটনের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটন আকর্ষণ এবং বিনোদনের জন্য।
প্রশ্ন: চিম্বুক ঝর্ণা কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: বান্দরবান জেলায়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঝর্ণা প্রধানত কোন মৌসুমে প্রবাহমান থাকে?
উত্তর: বর্ষাকালে।
প্রশ্ন: ঝর্ণার পানি কোথায় গিয়ে মিলে?
উত্তর: পাহাড়ি নদী ও খালে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঝর্ণা কি শুধুই ছোট জলপ্রপাত?
উত্তর: না, কিছু ঝর্ণা বড় জলপ্রপাতও হতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঝর্ণা ও পাহাড় পর্যটনের জন্য কেমন প্রভাব ফেলে?
উত্তর: পর্যটন উন্নয়ন, আঞ্চলিক অর্থনীতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঝর্ণার জল কী কাজে ব্যবহার হয়?
উত্তর: সেচ, পানীয় জল, পর্যটন ও ছোট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আবহাওয়া কেমন?
উত্তর: আর্দ্র এবং উষ্ণমন্ডলীয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মৌসুমি আবহাওয়া কেমন হয়?
উত্তর: গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত মৌসুম আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্ষার মৌসুম কখন?
উত্তর: জুন থেকে অক্টোবর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের শীতকাল কখন?
উত্তর: নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের গ্রীষ্মকাল কখন?
উত্তর: মার্চ থেকে মে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ঝড় ও ঘূর্ণিঝড় কখন বেশি হয়?
উত্তর: এপ্রিল থেকে অক্টোবর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের শীতকালীন আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: শুষ্ক, ঠান্ডা এবং হালকা কুয়াশা থাকে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: গরম, আর্দ্র এবং বজ্রপাত ও ঝড়ের সম্ভাবনা বেশি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আবহাওয়া কৃষির জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: বর্ষা ও শীতকাল কৃষির ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ু কিসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর: মৌসুমি বায়ু এবং ভূ-অবস্থান।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান জলবায়ু কত ধরনের?
উত্তর: গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকালের উষ্ণমন্ডলীয় জলবায়ু।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ুর আর্দ্রতা কেমন থাকে?
উত্তর: সাধারণত উচ্চ, বিশেষ করে বর্ষাকালে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ু মানুষের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে?
উত্তর: কৃষি, পোশাক, জীবনযাপন এবং পর্যটন প্রভাবিত করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলবায়ু ও নদীর সম্পর্ক কী?
উত্তর: বর্ষা ও নদীর পানি বৃদ্ধি আবহাওয়া ও কৃষিকে প্রভাবিত করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা সাধারণত কত থাকে?
উত্তর: ৩০–৪০°C পর্যন্ত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের শীতকালীন তাপমাত্রা সাধারণত কত থাকে?
উত্তর: ১০–২০°C।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কোথায় রেকর্ড করা হয়েছে?
উত্তর: রাজশাহী, ৪৩.৩°C।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কোথায় রেকর্ড করা হয়েছে?
উত্তর: বান্দরবান, ১.০°C।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের তাপমাত্রা কোন অঞ্চলে বেশি থাকে?
উত্তর: রাজশাহী, দিনাজপুর ও খুলনা অঞ্চলে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের তাপমাত্রা কোন অঞ্চলে কম থাকে?
উত্তর: পার্বত্য জেলা—বান্দরবান, খাগড়াছড়ি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত কত?
উত্তর: প্রায় ২,০০০–৩,০০০ মিলিমিটার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত কোন জেলা হয়?
উত্তর: বান্দরবান।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত কোন জেলা হয়?
উত্তর: কক্সবাজারের কিছু অংশ বা রাজশাহী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃষ্টিপাতের প্রধান উৎস কী?
উত্তর: দক্ষিণ-পূর্ব মনসুন বাতাস।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্ষাকাল কখন শুরু হয়?
উত্তর: জুন মাসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্ষাকাল কখন শেষ হয়?
উত্তর: অক্টোবর মাসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের গ্রীষ্ম মৌসুমে বৃষ্টি কেমন হয়?
উত্তর: হালকা থেকে মাঝারি, বজ্রসহ ঝড়ের সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের শীত মৌসুমে বৃষ্টি কেমন হয়?
উত্তর: শুষ্ক ও কম বৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্ষাকাল কৃষির জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: ধান, আউশ ফসল ও সবজি চাষের জন্য পানি সরবরাহ করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মৌসুমি বাতাসের প্রভাব কী?
উত্তর: দক্ষিণ-পূর্ব মনসুন বৃষ্টি আনে, উত্তর-পশ্চিম শীতল বাতাস শীতকাল ঠান্ডা করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্ষাকালে নদীর পানি কেমন হয়?
উত্তর: নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং বন্যার সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের শীত মৌসুমে নদীর পানি কেমন থাকে?
উত্তর: নদীর পানি কম থাকে এবং খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যায়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃষ্টিপাতের ঋতিভেদ কীভাবে হয়?
উত্তর: গ্রীষ্মে কম, বর্ষায় বেশি, শীতে কম।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মৌসুমি প্রভাব মানুষের জীবনে কীভাবে পড়ে?
উত্তর: কৃষি, পরিবহন, ঘূর্ণিঝড় ঝুঁকি এবং দৈনন্দিন জীবন প্রভাবিত হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার সম্পর্ক কী?
উত্তর: বর্ষাকালে বেশি বৃষ্টি ও গরম থাকে, শীতে কম বৃষ্টি ও ঠান্ডা থাকে।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় সাধারণত কখন আসে?
উত্তর: এপ্রিল থেকে নভেম্বর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়ের প্রধান কারণ কী?
উত্তর: বঙ্গোপসাগরের গরম পানি এবং দক্ষিণ-পূর্ব মনসুন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় কোন উপকূলীয় জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে?
উত্তর: কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, ভোলা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কোনটি?
উত্তর: ১৯৭০ সালের গ্রেট বঙ্গোপসাগর ঘূর্ণিঝড়।
প্রশ্ন: ঘূর্ণিঝড় মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: ঘরবাড়ি ধ্বংস, নদী ভাঙন, প্রাণহানি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কী ব্যবস্থা আছে?
উত্তর: সাইক্লোন শেল্টার, সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা।
প্রশ্ন: ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী করা উচিত?
উত্তর: উঁচু স্থানে চলে যাওয়া, নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন মাসে ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে তীব্র হয়?
উত্তর: মে ও অক্টোবর।
প্রশ্ন: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্বাসনের উদাহরণ কী?
উত্তর: কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ভোলা জেলার ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর: সমুদ্র উপকূলের বনায়ন, খাল-বিল ও নদীপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বন্যা প্রধানত কখন হয়?
উত্তর: বর্ষাকালে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বন্যার প্রধান কারণ কী?
উত্তর: ভারী বর্ষা, পাহাড়ি নদীর পানি বৃদ্ধি ও নদীর তীরভাঙন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলা বন্যার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ?
উত্তর: সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ।
প্রশ্ন: বন্যা মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: ঘরবাড়ি ভাঙন, ফসলের ক্ষতি, জলবাহিত রোগ বৃদ্ধি।
প্রশ্ন: বন্যার সময় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
উত্তর: নদী বাঁধ মজবুত করা, সতর্কতা ব্যবস্থা এবং স্থানান্তর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ইতিহাসে বড় বন্যার উদাহরণ কী?
উত্তর: ১৯৭৪ ও ২০০৪ সালের বন্যা।
প্রশ্ন: বন্যায় পশুপাখি ও মাছের জীবনে কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর: প্রজনন প্রভাবিত হয়, কিছু প্রাণী প্রাণ হারায়।
প্রশ্ন: বন্যার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে প্রভাবিত হয়?
উত্তর: বিদ্যালয় ও কলেজ বন্ধ থাকে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ সফল হয়েছে?
উত্তর: সিলেটের বাঁধ নির্মাণ ও হাওরের জল নিয়ন্ত্রণ।
প্রশ্ন: বন্যা থেকে পুনর্বাসনের জন্য কী করা হয়?
উত্তর: ত্রাণ বিতরণ, বাড়ি পুনর্নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত জমি পুনরুদ্ধার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের খরা কখন হয়?
উত্তর: শীতকালীন শুষ্ক মৌসুমে।
প্রশ্ন: খরার প্রধান কারণ কী?
উত্তর: বর্ষা কম হওয়া এবং জলাশয় শুকিয়ে যাওয়া।
প্রশ্ন: খরা মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: পানির অভাব, ফসল ও পশুপালনের ক্ষতি।
প্রশ্ন: খরায় কোন জেলা সবচেয়ে প্রভাবিত হয়?
উত্তর: রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর।
প্রশ্ন: খরা প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
উত্তর: জলাধার তৈরি, সেচ ব্যবস্থা উন্নয়ন।
প্রশ্ন: খরার সময় কৃষক কী সমস্যার সম্মুখীন হয়?
উত্তর: ফসল মাটিতে পানি না পাওয়া এবং উৎপাদন কমে যাওয়া।
প্রশ্ন: খরার প্রভাব পরিবেশে কী হয়?
উত্তর: নদীর পানি কমে যায়, মাটির উর্বরতা কমে।
প্রশ্ন: খরা এবং তাপমাত্রার সম্পর্ক কী?
উত্তর: তাপমাত্রা বেশি থাকলে খরার প্রভাব আরও তীব্র হয়।
প্রশ্ন: খরার সময় কীভাবে পানি সংরক্ষণ করা হয়?
উত্তর: বাঁধ ও জলাধার ব্যবহার করে।
প্রশ্ন: খরার সময় মানুষ কীভাবে বাঁচে?
উত্তর: পানি সংরক্ষণ, শুকনো ফসল সংরক্ষণ এবং দূরবর্তী পানি সংগ্রহ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভূমিকম্প কোথায় বেশি ঘটে?
উত্তর: পার্বত্য জেলা—চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভূমিকম্পের প্রধান কারণ কী?
উত্তর: ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ।
প্রশ্ন: ভূমিকম্প মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: ঘরবাড়ি ধ্বংস, আহত ও মৃত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ইতিহাসে বড় ভূমিকম্পের উদাহরণ কী?
উত্তর: ১৯৫০ সালের ত্রিপুরা ভূমিকম্প।
প্রশ্ন: ভূমিকম্প প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
উত্তর: স্থাপত্য কাঠামো মজবুত করা, সতর্কতা ব্যবস্থা।
প্রশ্ন: ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত?
উত্তর: উঁচু স্থানে যাওয়া, নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া।
প্রশ্ন: ভূমিকম্প পরিবেশে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: ভূমিধস, নদীর পথে পরিবর্তন এবং ঝোপঝাড় ধ্বংস।
প্রশ্ন: ভূমিকম্পের সময় স্কুল ও অফিস কীভাবে প্রস্তুতি নেয়?
উত্তর: জরুরি বের হওয়ার পরিকল্পনা এবং ড্রিল করা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ভূমিকম্প পূর্বাভাস কতটা নির্ভরযোগ্য?
উত্তর: আংশিকভাবে নির্ভরযোগ্য; সম্পূর্ণ পূর্বাভাস সম্ভব নয়।
প্রশ্ন: ভূমিকম্পের পরে মানুষ কী করে?
উত্তর: আহতদের চিকিৎসা, ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ এবং ত্রাণ বিতরণ।
বাংলাদেশের ইতিহাস
বাংলাদেশ নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক দীর্ঘ ইতিহাস, সংগ্রাম ও স্বপ্নের গল্প। হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা ও বীরত্বের পথ ধরে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। এই ভূখণ্ডে গড়ে উঠেছে সভ্যতার শেকড়, রাজ্য বিস্তার করেছে পাল, সেন ও মুসলিম শাসকরা, আবার লুণ্ঠিত হয়েছে উপনিবেশের শৃঙ্খলে। কিন্তু প্রতিটি বিপর্যয়ের মধ্যেও জেগে উঠেছে একটি জাতি যে জাতি কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত করেনি।
বাংলাদেশের ইতিহাস শুধু যুদ্ধ ও রাজনীতির ইতিহাস নয়, এটি ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষি, নদী ও মানুষের জীবনের ইতিহাস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি অধ্যায়েই রচিত হয়েছে স্বাধীনতার মহাকাব্য। সেই ইতিহাসই আজকের বাংলাদেশকে দিয়েছে একটি অনন্য পরিচয়, দিয়েছে আত্মবিশ্বাস যে আমরা পারি, আমরা জিততে জানি।
বাংলাদেশের প্রাচীন ও মধ্যযুগ
প্রশ্ন: প্রাচীন যুগে বাংলাদেশের নাম কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গ, গৌড়, সমতট, হরিকেল ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিল।
প্রশ্ন: প্রাচীন বাংলার প্রথম রাজ্য কোনটি ছিল?
উত্তর: মौर্য সাম্রাজ্যের অধীন বঙ্গ অঞ্চল।
প্রশ্ন: মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনকাল কখন ছিল?
উত্তর: খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২ থেকে ১৮৫ সাল পর্যন্ত।
প্রশ্ন: গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময় বাংলাদেশ কোন নামে পরিচিত ছিল?
উত্তর: সমতট ও পুণ্ড্রবর্ধন নামে।
প্রশ্ন: পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
উত্তর: গোপাল।
প্রশ্ন: পাল রাজবংশের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর: প্রথমে মগধে, পরে পুণ্ড্রবর্ধন ও বিক্রমপুরে।
প্রশ্ন: পাল রাজাদের ধর্ম কী ছিল?
উত্তর: বৌদ্ধধর্ম।
প্রশ্ন: পাল যুগে কোন ধর্ম সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে?
উত্তর: মহাযান বৌদ্ধধর্ম।
প্রশ্ন: সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
উত্তর: হেমন্ত সেন।
প্রশ্ন: সেন রাজারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
উত্তর: হিন্দু ধর্মের।
প্রশ্ন: মধ্যযুগে প্রথম মুসলিম শাসক কে ছিলেন?
উত্তর: বখতিয়ার খলজি।
প্রশ্ন: বখতিয়ার খলজি কখন বাংলা জয় করেন?
উত্তর: ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রশ্ন: মধ্যযুগে বাংলার রাজধানী কোথায় স্থাপিত হয়েছিল?
উত্তর: প্রথমে লখনৌতিতে, পরে গৌড়ে।
প্রশ্ন: সুলতানি আমলে বাংলায় কোন শিল্পের উন্নতি হয়েছিল?
উত্তর: মসলিন, ধাতু ও নির্মাণশিল্প।
প্রশ্ন: বাংলার স্বাধীন সুলতানরা কারা ছিলেন?
উত্তর: ইলিয়াস শাহ, গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ।
প্রশ্ন: ইলিয়াস শাহ কে ছিলেন?
উত্তর: বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ও ইলিয়াস শাহি বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
প্রশ্ন: মধ্যযুগে বাংলায় সাহিত্য কোন ভাষায় রচিত হতো?
উত্তর: আরবি, ফারসি ও বাংলা ভাষায়।
প্রশ্ন: হোসেন শাহের সময় বাংলা সংস্কৃতি কেমন ছিল?
উত্তর: সাহিত্য, স্থাপত্য ও ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে।
প্রশ্ন: মধ্যযুগে বাংলার স্থাপত্যশিল্পের উদাহরণ কী?
উত্তর: ষাট গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলী মসজিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট সোনা মসজিদ।
প্রশ্ন: মধ্যযুগে বাংলার অর্থনীতি কিসের ওপর নির্ভরশীল ছিল?
উত্তর: কৃষি, বাণিজ্য ও হস্তশিল্পের ওপর।
ব্রিটিশ শাসনকাল (১৭৫৭–১৯৪৭)
প্রশ্ন: ব্রিটিশরা বাংলায় কবে প্রবেশ করে?
উত্তর: ১৭৫৭ সালে প্লাসি যুদ্ধের মাধ্যমে।
প্রশ্ন: বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের সময় প্রথম কর ব্যবস্থা চালু হয়?
উত্তর: রাজস্ব সংগ্রহের জন্য দক্সা-কর ব্যবস্থা।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় বাংলায় কোন খনিজ সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
উত্তর: চিনি, গার্মেন্টস, নীল ও কাঠ।
প্রশ্ন: বাংলার শিক্ষায় ব্রিটিশরা কোন প্রতিষ্ঠান চালু করেন?
উত্তর: কলেজ ও স্কুল যেমন কালকাটা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজ।
প্রশ্ন: বঙ্গভঙ্গ কখন হয়েছিল?
উত্তর: ১৯০৫ সালে।
প্রশ্ন: বঙ্গভঙ্গের ফলে কী হয়েছিল?
উত্তর: রাজনৈতিক আন্দোলন ও স্বদেশ আন্দোলন শুরু হয়।
প্রশ্ন: বঙ্গভঙ্গ বাতিল কখন হয়?
উত্তর: ১৯১১ সালে।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় বাঙালি শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যে কাদের অবদান ছিল?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় মুসলিম সমাজে শিক্ষার প্রসার কে প্রচার করেন?
উত্তর: স্যার সেলিমুল্লাহ ও আলীপুরী শিক্ষা আন্দোলন।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় বাংলায় প্রথম রেললাইন চালু হয় কবে?
উত্তর: ১৮৬২ সালে।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় বাংলায় কৃষি কর প্রণালী কী ছিল?
উত্তর: জमीনের মালিকদের ওপর কর আরোপ।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় বাংলায় আন্দোলনের উদাহরণ কী?
উত্তর: স্বদেশ আন্দোলন, বাঙ্গালী ভাষা আন্দোলন।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় বাংলায় নীল চাষের গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তর: বাণিজ্য ও রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় বাংলায় মুসলিম জাগরণের কেন্দ্র কোথায়?
উত্তর: ঢাকা ও ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ শাসনের সময় বাংলায় নারী শিক্ষার সূচনা কে করেছিলেন?
উত্তর: কিশোরীশাহ কলেজ এবং সামাজিক শিক্ষাবিদরা।
পূর্ব পাকিস্তান (১৯৪৭–১৯৭১)
প্রশ্ন: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা কবে হয়?
উত্তর: ১৯৪৭ সালে।
প্রশ্ন: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময় বাংলার নাম কী রাখা হয়?
উত্তর: পূর্ব পাকিস্তান।
প্রশ্ন: পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর: ঢাকায়।
প্রশ্ন: পাকিস্তান আমলে বাংলার ভাষা আন্দোলন কবে শুরু হয়?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন কখন?
উত্তর: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের প্রধান নেতা কে ছিলেন?
উত্তর: সোহরাওয়ার্দী, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার।
প্রশ্ন: পাকিস্তান আমলে বাংলার অর্থনীতি কেমন ছিল?
উত্তর: কৃষি প্রধান, শিল্প কম, রপ্তানি সীমিত।
প্রশ্ন: পূর্ব পাকিস্তানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের উদাহরণ কী?
উত্তর: ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা।
প্রশ্ন: পাকিস্তান আমলে শিক্ষায় কোন উন্নতি হয়?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ বৃদ্ধি, ঢাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
প্রশ্ন: পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক আন্দোলনের উদাহরণ কী?
উত্তর: গণঅধিকার আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান।
প্রশ্ন: পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবি কখন শক্তিশালী হয়?
উত্তর: ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের ছয় দফা ঘোষণা।
প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের ছয় দফা কী ছিল?
উত্তর: অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিসমূহ।
প্রশ্ন: পাকিস্তান আমলে বাংলার শিল্পে কী অবস্থা ছিল?
উত্তর: লঘু শিল্প ছিল, রপ্তানি সীমিত।
প্রশ্ন: পূর্ব পাকিস্তানে কৃষক আন্দোলনের উদাহরণ কী?
উত্তর: তিস্তা, যমুনা তীরে কৃষক প্রতিবাদ।
প্রশ্ন: পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কোন দিক থেকে বঞ্চিত ছিল?
উত্তর: অর্থনীতি, রাজনৈতিক ক্ষমতা ও শিক্ষা।
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলন কবে শুরু হয়?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের মূল কারণ কী ছিল?
উত্তর: পাকিস্তানের সরকার উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করেছিল।
প্রশ্ন: বাংলার মানুষ কেন আন্দোলন করেছিল?
উত্তর: বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন কখন?
উত্তর: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
প্রশ্ন: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২-এ কারা শহীদ হন?
উত্তর: রফিক উদ্দিন আহমেদ, বরকত, সালাম।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের নেতা কে ছিলেন?
উত্তর: আবদুল জব্বার, শেখ হাসিন, শফিউল আলম (স্থানীয় ছাত্র ও নেতা)।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের সময় কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের সময় কোন দিন ছাত্র-যুব আন্দোলন বৃদ্ধি পায়?
উত্তর: ১৯৫২ সালের ২১–২২ ফেব্রুয়ারি।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের প্রভাব কী হয়?
উত্তর: বাংলা ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃত হয়।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ কী?
উত্তর: ঢাকা শহরের শহীদ মিনার।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রয়েছে?
উত্তর: ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কো ঘোষিত।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার সম্পর্ক কী?
উত্তর: এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করে।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ও সড়ক সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের সময় কোন ধরনের প্রতিবাদ করা হয়েছিল?
উত্তর: প্রতিবাদ সমাবেশ, রোড ব্লক, বিক্ষোভ মিছিল।
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে কেন ২১ ফেব্রুয়ারি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: এই দিনে শহীদরা বাংলা ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ
প্রশ্ন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কবে শুরু হয়?
উত্তর: ২৫ মার্চ, ১৯৭১।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী কী করেছে?
উত্তর: গণহত্যা, নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতন।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নেতা কে ছিলেন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রশ্ন: ৭ মার্চ, ১৯৭১-এ বঙ্গবন্ধু কী ঘোষণা করেন?
উত্তর: স্বাধীনতার সংগ্রামের সূচনা।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধ কত দিন স্থায়ী হয়?
উত্তর: ৯ মাস।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা কবে ঘোষণা করা হয়?
উত্তর: ২৬ মার্চ, ১৯৭১।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ হয়?
উত্তর: আনুমানিক ১০–৩০ লাখ।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে কোন বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে?
উত্তর: মুক্তিবাহিনী।
প্রশ্ন: পাকিস্তান থেকে মুক্তির জন্য কোন দেশ সমর্থন দেয়?
উত্তর: ভারত।
প্রশ্ন: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ কী হয়?
উত্তর: পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করে; বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ, সৈন্য সহায়তা, তথ্য সংগ্রহ।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান কী ছিল?
উত্তর: সেনাবাহিনী সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, গোপন কর্মকাণ্ড।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের পরে কোন সংস্থা যুদ্ধাপরাধ বিচার করে?
উত্তর: যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মীরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন শহরে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মানুষের ক্ষতি বাড়ায়?
উত্তর: কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে হন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে অবদান রাখে?
উত্তর: ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বুদ্ধিজীবী আন্দোলন।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বুদ্ধিজীবীরা কে ছিলেন?
উত্তর: শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক ও পণ্ডিতরা।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় অর্থনীতি কেমন ছিল?
উত্তর: ধ্বংসপ্রাপ্ত, কৃষি ও শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত।
প্রশ্ন: স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরে কোন জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হয়?
উত্তর: ২৬ মার্চ – স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর – বিজয় দিবস।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়?
উত্তর: জাতিসংঘ।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় গণমাধ্যম কীভাবে ভূমিকা রাখে?
উত্তর: সংবাদ প্রচার, আন্তর্জাতিক সমর্থন সংগ্রহ।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনী কোন কৌশল ব্যবহার করেছিল?
উত্তর: চক্রান্ত, গণহত্যা, গ্রামে অভিযান।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পরে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো কী হয়?
উত্তর: গণতান্ত্রিক, সংবিধানভিত্তিক রাষ্ট্র।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের পর শিক্ষার পরিস্থিতি কীভাবে উন্নয়ন পায়?
উত্তর: স্কুল ও কলেজ পুনর্নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয় চালু।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতা
প্রশ্ন: ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক ঘটনা কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড কবে সংঘটিত হয়?
উত্তর: ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কে ক্ষমতা দখল করে?
উত্তর: প্রধানমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সরকারের ধরন কী হয়?
উত্তর: সামরিক-নিয়ন্ত্রিত সরকার।
প্রশ্ন: ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থান কবে হয়?
উত্তর: ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হয়?
উত্তর: অস্থির ও অনিশ্চিত।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কে রাষ্ট্রপতি হয়?
উত্তর: খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
প্রশ্ন: ১৯৭৫ সালে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কী ঘটে?
উত্তর: ৩ নভেম্বর, সিপাহী ও সেনা অভ্যুত্থান।
প্রশ্ন: ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর: আওয়ামী লীগ।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা কেমন ছিল?
উত্তর: বিশৃঙ্খল ও অস্থিতিশীল।
প্রশ্ন: ১৯৭৫ সালের অভ্যুত্থানের প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর কী হয়?
উত্তর: আতঙ্ক, রাজনৈতিক বিভাজন ও অস্থিরতা।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিদেশের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
উত্তর: নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ।
প্রশ্ন: ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার পরে কোন সেনা নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়?
উত্তর: জিয়াউর রহমান।
প্রশ্ন: ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে কোন সামাজিক পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক বিভাজন।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু হত্যার স্মরণে কোন দিন জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়?
উত্তর: ১৫ আগস্ট।
বাংলাদেশের সামরিক শাসন
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক কে ছিলেন?
উত্তর: জেনারেল জিয়াউর রহমান।
প্রশ্ন: জিয়াউর রহমান কখন ক্ষমতা দখল করেন?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের নভেম্বর।
প্রশ্ন: জিয়াউর রহমানের শাসনকালের সময় রাজনৈতিক পার্টি কীভাবে পরিচালিত হয়?
উত্তর: একক দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন: জিয়াউর রহমানের সময় অর্থনীতি কেমন ছিল?
উত্তর: স্থিতিশীল, কৃষি ও শিল্পে উন্নয়নের প্রচেষ্টা।
প্রশ্ন: জিয়াউর রহমানের সময় কোন নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা হয়?
উত্তর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
প্রশ্ন: হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের সামরিক শাসন কবে শুরু হয়?
উত্তর: ১৯৮২ সালের মার্চে।
প্রশ্ন: এরশাদের সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন ছিল?
উত্তর: সামরিক শাসন, বিরোধী দল দমন।
প্রশ্ন: এরশাদের শাসনে শিক্ষার উপর কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর: শিক্ষার সম্প্রসারণ ও নীতি পরিবর্তন।
প্রশ্ন: এরশাদের শাসনের সময় অর্থনীতি কেমন ছিল?
উত্তর: স্থিতিশীল, কিছু শিল্প উন্নয়ন হলেও দুর্নীতি বৃদ্ধি।
প্রশ্ন: সামরিক শাসন কবে শেষ হয়?
উত্তর: ১৯৯০ সালে, জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে।
প্রশ্ন: সামরিক শাসনের সময় গণতান্ত্রিক অধিকার কেমন ছিল?
উত্তর: সীমিত, রাজনৈতিক মুক্তি কম।
প্রশ্ন: সামরিক শাসনের সময় জনগণের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
উত্তর: অসন্তোষ, প্রতিবাদ, গণঅভ্যুত্থান।
প্রশ্ন: জিয়াউর রহমানের শাসনের সময় আইনশৃঙ্খলা কেমন ছিল?
উত্তর: নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু কিছু অস্থিরতা।
প্রশ্ন: এরশাদের শাসনের সময় কোন রাজনৈতিক আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ হয়?
উত্তর: ১৯৯০ সালের গণআন্দোলন, যা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে।
প্রশ্ন: সামরিক শাসন বাংলাদেশের ইতিহাসে কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর: গণতন্ত্রের গুরুত্ব ও জনগণের ক্ষমতার ভূমিকা।
তত্বাবধক সরকার (২০০৬-২০০৮)
প্রশ্ন: ফখরুদ্দিন আলমগীরের নেতৃত্বে তত্বাবধক সরকার কবে গঠিত হয়?
উত্তর: ২০০৬ সালের অক্টোবর।
প্রশ্ন: এই তত্বাবধক সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করা।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের প্রধান কতদিন ক্ষমতায় থাকেন?
উত্তর: প্রায় ১ বছর (২০০৬–২০০৮)।
প্রশ্ন: ফখরুদ্দিন আলমগীরের সরকারের সময় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন ছিল?
উত্তর: অস্থির, রাজনৈতিক সহিংসতা ও অবিশ্বাস ছিল।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের সময় কারা প্রশাসনে সহায়তা করেছিল?
উত্তর: নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের সময় প্রধান চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
উত্তর: রাজনৈতিক সংঘাত, দুর্নীতি দমন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।
প্রশ্ন: ফখরুদ্দিন আলমগীরের তত্বাবধক সরকার কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়?
উত্তর: দুর্নীতি দমন অভিযান, রাজনৈতিক নেতাদের আটক এবং প্রশাসন পুনর্গঠন।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রয়োগ হয়?
উত্তর: রাজনীতিবিদদের মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচন সংক্রান্ত আইন।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি কেমন ছিল?
উত্তর: কিছুটা স্থিতিশীল কিন্তু বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের সময় শিক্ষার ক্ষেত্রে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়?
উত্তর: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা অব্যাহত রাখা এবং পরীক্ষা নিরাপদে সম্পন্ন করা।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের সময় জনগণ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়?
উত্তর: রাজনৈতিক দলগুলো অসন্তোষ প্রকাশ করে, সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা আশায়।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের সময় কোন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়?
উত্তর: ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
প্রশ্ন: ফখরুদ্দিন আলমগীরের সরকারের শেষ কীভাবে হয়?
উত্তর: ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করে।
প্রশ্ন: এই তত্বাবধক সরকারের শিক্ষণীয় দিক কী?
উত্তর: রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার জন্য প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: তত্বাবধক সরকারের সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা কেমন ছিল?
উত্তর: সেনাবাহিনী ও পুলিশ কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রশ্ন: ১/১১-এর প্রধান কারণ কী ছিল?
উত্তর: রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা ও নির্বাচন প্রস্তুতি সংক্রান্ত সমস্যা।
প্রশ্ন: ১/১১-এর সময় দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন ছিল?
উত্তর: অস্থির ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রশ্ন: ১/১১-এর সময় নির্বাচনের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
উত্তর: নির্বাচন অনিশ্চিত, স্থগিত ও পরবর্তীতে কারিগরি সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন প্রস্তুতি।
প্রশ্ন: ১/১১-এর প্রভাবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হয়?
উত্তর: সামরিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত কার্যক্রম।
প্রশ্ন: ১/১১-এর সময় রাজনৈতিক নেতা ও জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
উত্তর: অনিশ্চয়তা, হতাশা, কিছু এলাকায় প্রতিবাদ।
প্রশ্ন: ১/১১-এর প্রভাবে দেশের অর্থনীতি কেমন হয়?
উত্তর: স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন: ১/১১ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: নির্বাচনের বিলম্ব এবং সাময়িক সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি।
প্রশ্ন: ১/১১-এর পরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কী শিখেছে?
উত্তর: রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার গুরুত্ব।
প্রশ্ন: ১/১১ বাংলাদেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: এটি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামরিক সমর্থিত প্রশাসনের উদাহরণ।
বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান
ভূগোল
ইতিহাস
সাহিত্য
সংস্কৃতি
জাতিগোষ্ঠী
শিক্ষা
সাস্থ্য
রাজনীতি
অর্থনীতি
আইন
যোগাযোগ
গণমাধ্যম
তথ্য প্রযুক্তি
খেলাধুলা
বিনোদন
স্থাপনা
পর্যটন
জাতীয় বিষয়
প্রথম বিষয়
বৃহত্তম বিষয়
ক্ষুদতম বিষয়
