full scren ads

আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জিকির কোনটি

জিকির হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে পবিত্র ইবাদত। কুরআন ও হাদিসে জিকিরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে আল্লাহ তাঁর বান্দার জিকিরকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। কিন্তু অনেকেই জানতে চান—আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় জিকির কোনটি? হাদিস অনুযায়ী, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জিকির হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। এটি তাওহীদ ও ঈমানের মূল ঘোষণা।

এই আর্টিকেলে আমরা আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জিকির সম্পর্কে ইসলামের প্রামাণিক সূত্র অনুযায়ী বিস্তারিত আলোচনা করব।

আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জিকির কোনটি

রাসুল (সাঃ) বলেছেন—
সর্বোত্তম জিকির হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।
(তিরমিজি)

এই কালিমা হলো ঈমানের ভিত্তি এবং ইসলামের মূল স্তম্ভ। এটি শুধু মুখের কথা নয়, হৃদয়ের বিশ্বাস, আমলের দিক-নির্দেশনা এবং আল্লাহর একত্বের ঘোষণা।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকিরের গুরুত্ব

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।

এ জিকির আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে দেয় এবং মানুষের গুনাহ মাফ হয়।

হৃদয়ের অস্থিরতা দূর করে, মনে এনে দেয় প্রশান্তি ও তাওয়াক্কুল।

হাদিসে এসেছে এই জিকিরের ওজন মিজান (ন্যায়তুল্লা­হ)-এ সবচেয়ে বেশি ভারী হবে।

আল্লাহর প্রিয় অন্যান্য জিকির

সুবহানাল্লাহ

আল্লাহকে পবিত্র ঘোষণা করা।
নেকির পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

আলহামদুলিল্লাহ

কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম জিকির।
জান্নাতের বাগানের রোপণ।

আল্লাহু আকবার

আল্লাহ মহান এ ঘোষণা ঈমানকে দৃঢ় করে।

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি

রাসুল (সাঃ) বলেছেন
এই জিকির দিনে ১০০ বার বললে সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়, তবে বড় গুনাহ ছাড়া।

জিকির করার কিছু আদব

  • আন্তরিকতা ও মনোযোগ সহকারে করা

  • যেকোনো সময় ও স্থানে করা

  • পবিত্র অবস্থায় করা উত্তম

  • অর্থ বুঝে বললে বেশি উপকার পাওয়া যায়

জিকিরের উপকারিতা

  • হৃদয়ের অশান্তি দূর করে

  • আল্লাহর নৈকট্য বাড়ায়

  • দুশ্চিন্তা ও ভয় দূর হয়

  • রিযিকের বরকত আসে

  • ঈমান শক্তিশালী হয়

  • কবরের আলো হয়

  • কিয়ামতের দিন সুরক্ষা দেবে

আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জিকির হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, যা ইসলামের মূল ভিত্তি ও ঈমানের ঘোষণা। একজন মুমিন যত বেশি জিকির করবে, তার জীবন তত শান্ত, পবিত্র এবং আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তাই প্রতিদিন কিছু সময় আল্লাহর স্মরণে কাটানো প্রত্যেক মুসলমানের উচিত। এই জিকির শুধু মুখের নয়—হৃদয়ের, বিশ্বাসের এবং বাস্তব জীবনেরও আমল।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url