full scren ads

দুদক সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

দুদক বা দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, যা সরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুষ্ঠু প্রশাসন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে। এই আর্টিকেলে আমরা দুদক সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান এবং ৫০+ প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরেছি। এটি শিক্ষামূলকভাবে জনগণকে দুদকের কাজ, ক্ষমতা, উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত করবে। পাশাপাশি, যারা কুইজ বা পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্যও এটি অত্যন্ত কার্যকর

দুদক সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান,  দুদক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ দুদক কী?
উত্তরঃ দুদক হলো “দুর্নীতি দমন কমিশন”, যা বাংলাদেশের সরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে দুর্নীতি দমন ও তদন্তের জন্য কাজ করে।

প্রশ্নঃ দুদক কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৯৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি।

প্রশ্নঃ দুদকের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ দুর্নীতি দমন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু প্রশাসন নিশ্চিত করা।

প্রশ্নঃ দুদকের প্রধান কাজ কী কী?
উত্তরঃ অভিযোগ তদন্ত, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, এবং দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া।

প্রশ্নঃ দুদকের সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তরঃ ঢাকা, বাংলাদেশ।

প্রশ্নঃ দুদকের কমিশনার কতজন হয়?
উত্তরঃ একটি কমিশনের প্রধান থাকে এবং আরও কয়েকজন কমিশনার থাকেন।

প্রশ্নঃ দুদক কি ধরনের ক্ষমতা রাখে?
উত্তরঃ তদন্তের ক্ষমতা, মামলা দায়েরের ক্ষমতা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা।

প্রশ্নঃ দুদক কি শুধু সরকারি খাতের দুর্নীতি তদন্ত করে?
উত্তরঃ প্রধানত সরকারি খাত, তবে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত খাতেও তদন্ত করতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদকের আইন কোনটি?
উত্তরঃ ১৯৯৯ সালের দুদক আইন (দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ১৯৯৯) দ্বারা পরিচালিত হয়।

প্রশ্নঃ দুদক কোন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নজর রাখে?
উত্তরঃ সরকারি দপ্তর, সংস্থা, জনপ্রশাসন এবং সরকারী প্রকল্প।

প্রশ্নঃ দুদক কি শুধু অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে কাজ করে?
উত্তরঃ না, স্বতঃসিদ্ধ বা অনুসন্ধান ভিত্তিতেও দুদক তদন্ত করতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদকের প্রধান লক্ষ্য কী?
উত্তরঃ দুর্নীতি কমানো, প্রশাসনে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং জনগণের বিশ্বাস অর্জন।

প্রশ্নঃ দুদক কোন ধরনের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে?
উত্তরঃ দুর্নীতি প্রতিরোধ, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা সংক্রান্ত জনসচেতনতা।

প্রশ্নঃ দুদকের মাধ্যমে নাগরিকরা কী করতে পারে?
উত্তরঃ তারা দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদক কি একটি স্বাধীন সংস্থা?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এটি আইন অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে।

প্রশ্নঃ দুদক কোন ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করে?
উত্তরঃ বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বিশেষ তদন্ত রিপোর্ট।

প্রশ্নঃ দুদক কোন ধরণের প্রশিক্ষণ দেয়?
উত্তরঃ সরকারি কর্মকর্তা ও জনগণের জন্য দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক প্রশিক্ষণ।

প্রশ্নঃ দুদক কি শুধু রাজধানীতে কাজ করে?
উত্তরঃ না, এটি দেশের সব জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করে।

প্রশ্নঃ দুদক কি মামলা দায়ের করতে পারে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এটি তদন্তের পরে আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদক কে নিয়ন্ত্রণ করে বা অধীনে থাকে?
উত্তরঃ এটি সরকার থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়, তবে আইন অনুযায়ী রিপোর্ট মন্ত্রিপরিষদে জমা দেয়।

প্রশ্নঃ দুদকের প্রতিষ্ঠাতা কমিশনার কে ছিলেন?
উত্তরঃ প্রাথমিক কমিশনারদের মধ্যে প্রথম প্রধান কমিশনার নিযুক্ত ছিলেন।

প্রশ্নঃ দুদক কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ এটি দেশের প্রশাসনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং দুর্নীতি কমাতে সহায়ক।

প্রশ্নঃ দুদক কি জনগণের অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে?
উত্তরঃ না, অনুসন্ধান শুরু করতে নিজের উদ্যোগে তদন্ত করতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদক কবে কার্যকরভাবে কাজ শুরু করে?
উত্তরঃ আইন অনুমোদনের পরে ২০০০ সালের দিকে কার্যক্রম শুরু।

প্রশ্নঃ দুদক কি কর্পোরেট খাতে নজর রাখে?
উত্তরঃ প্রয়োজনে বড় সংস্থা ও প্রকল্পেও নজর রাখে।

প্রশ্নঃ দুদকের কাজের মাধ্যমে সমাজে কী পরিবর্তন আনা যায়?
উত্তরঃ স্বচ্ছতা, নৈতিকতা, এবং সরকারি খাতে দুর্নীতি হ্রাস।

প্রশ্নঃ দুদক কোন ধরণের জনগণকে সাহায্য করে?
উত্তরঃ যারা দুর্নীতির শিকার, তারা অভিযোগের মাধ্যমে সাহায্য পেতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদক কিভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ করে?
উত্তরঃ তদন্ত, মামলা, জনসচেতনতা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ দুদক কি বিদেশি সংস্থা নয়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় সংস্থা।

প্রশ্নঃ দুদকের প্রতিষ্ঠার আগে বাংলাদেশে কি ছিল দুর্নীতি প্রতিরোধ ব্যবস্থা?
উত্তরঃ ছিল, তবে কার্যক্রম সীমিত ও অপর্যাপ্ত ছিল।

প্রশ্নঃ দুদক কিভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের উপর নজর রাখে?
উত্তরঃ তদন্ত, রিপোর্টিং এবং অনুসন্ধান মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ দুদক কি সম্পূর্ণ আইনানুগ সংস্থা?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এটি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ও আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

প্রশ্নঃ দুদক কি কর্পোরেট অনিয়ম তদন্ত করে?
উত্তরঃ প্রয়োজনে বড় কোম্পানি ও প্রকল্পেও নজর রাখে।

প্রশ্নঃ দুদক কি শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, জনগণ এবং কর্মকর্তাদের জন্য দুর্নীতি প্রতিরোধ শিক্ষা দেয়।

প্রশ্নঃ দুদক কি সুষ্ঠু প্রশাসন নিশ্চিত করতে পারে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, দুর্নীতি কমানোর মাধ্যমে প্রশাসনকে স্বচ্ছ ও কার্যকর করে।

প্রশ্নঃ দুদক কি বিদেশি অনুদান বা সহযোগিতা পায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, কখনও কখনও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ করে প্রশিক্ষণ ও প্রকল্পের জন্য।

প্রশ্নঃ দুদক কি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, জনগণকে দুর্নীতি সম্পর্কে জানায় এবং প্রতিরোধের শিক্ষা দেয়।

প্রশ্নঃ দুদক কি স্বতঃসিদ্ধভাবে তদন্ত শুরু করতে পারে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এটি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্বতঃসিদ্ধ তদন্ত শুরু করতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদকের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?
উত্তরঃ দুর্নীতি সমন্বিত ব্যবস্থা মোকাবিলা এবং জনগণের বিশ্বাস অর্জন করা।

প্রশ্নঃ দুদক কি শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পে নজর রাখে?
উত্তরঃ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানেও নজর রাখতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদক কত ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে?
উত্তরঃ অভিযোগ তদন্ত, অনুসন্ধান, প্রশিক্ষণ, রিপোর্ট প্রকাশ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

প্রশ্নঃ দুদক কি নিয়মিত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সরকারের কাছে জমা দেয়।

প্রশ্নঃ দুদক কি সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, প্রমাণিত দুর্নীতির ক্ষেত্রে মামলা করতে পারে।

প্রশ্নঃ দুদক কি জনগণকে সেবা প্রদান করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, জনগণ তাদের অভিযোগ জমা দিতে পারে এবং সহায়তা পায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url