full scren ads

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী | প্রশ্ন উত্তর সাধারণ জ্ঞান

বাংলার ইতিহাসে যাঁরা সমাজ পরিবর্তনের আলো জ্বালিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন! তিনি ছিলেন একাধারে সমাজসংস্কারক, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, মানবতাবাদী এবং নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলায় বিধবা বিবাহ বৈধ হয় এবং নারী শিক্ষার প্রসার ঘটে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রশ্ন উত্তর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কুইজ,

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে। তাঁর পিতা ছিলেন থাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা ভগবতী দেবী। পরিবারটি অর্থনৈতিকভাবে খুবই দরিদ্র ছিল। দারিদ্র্যের মধ্যেও ঈশ্বরচন্দ্র ছিলেন অসাধারণ মেধাবী। তিনি অল্প বয়সেই বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজি, গণিত ও দর্শনে পারদর্শী হন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শিক্ষা জীবন

তিনি কলকাতার সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হন এবং অল্প বয়সেই অসাধারণ ফলাফল করে সকলকে চমকে দেন। তাঁর জ্ঞানের কারণে তাঁকে “বিদ্যাসাগর” উপাধি দেওয়া হয়, যার অর্থ “বিদ্যার সাগর” বা জ্ঞানের মহাসমুদ্র।

কর্মজীবন ও অবদান

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিক্ষাজীবন শেষ করে সংস্কৃত কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং পরে প্রিন্সিপাল হন। তাঁর শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টা আধুনিক শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি বিদ্যালয় স্থাপন, নারী শিক্ষা প্রচলন, বাংলা ভাষা সংস্কার এবং বিধবা বিবাহ বৈধ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন।

নারী শিক্ষা প্রচলন

ঈশ্বরচন্দ্র বিশ্বাস করতেন, সমাজের উন্নতি নারীর শিক্ষার ওপর নির্ভর করে। তাই তিনি নারী শিক্ষার জন্য আলাদা স্কুল স্থাপন করেন এবং মেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টি করেন।

বিধবা বিবাহ আইন

তাঁর অন্যতম যুগান্তকারী কাজ ছিল বিধবা বিবাহ বৈধকরণ। তাঁর প্রচেষ্টার ফলেই ১৮৫৬ সালে “বিধবা বিবাহ আইন” পাশ হয়।

বাংলা ভাষা সংস্কার

তিনি বাংলা ভাষাকে সহজ ও সাবলীল করার জন্য নতুন বানান পদ্ধতি চালু করেন এবং বহু পাঠ্যবই রচনা করেন। তাঁর লেখা “বর্ণপরিচয়” এখনও শিশু শিক্ষার অন্যতম জনপ্রিয় বই।

সাহিত্যিক অবদান

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন একাধারে লেখক ও সম্পাদক। তাঁর রচনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য —

  • বর্ণপরিচয়

  • বেতালপঞ্চবিংশতি

  • শকুন্তলা

  • সীতার বনবাস

এইসব বই বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে এবং সহজ ভাষায় জ্ঞান প্রচারের নতুন যুগের সূচনা করেছে।

মানবতা ও সামাজিক কাজ

বিদ্যাসাগর মানবপ্রেম ও দানশীলতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি অসহায় মানুষদের সাহায্য করতেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বই, পোশাক ও খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তাঁকে অনেকেই “করুণাসাগর” বলে ডাকতেন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যু

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে সমগ্র ভারতবছর শোকাহত হয়।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন এক মানবিক বিপ্লবের প্রতীক। তিনি যে সংস্কার আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা আজও সমাজে আলো ছড়াচ্ছে। নারী শিক্ষা, মানবতা ও সমাজকল্যাণে তাঁর অবদান অমর হয়ে থাকবে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম কবে?
উত্তর: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর।

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম কোথায়?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।

প্রশ্ন: “বিদ্যাসাগর” উপাধিটি কে পান?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রশ্ন: “বিদ্যাসাগর” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বিদ্যার সাগর বা জ্ঞানের মহাসমুদ্র।

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পিতার নাম কী?
উত্তর: থাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রশ্ন: মায়ের নাম কী ছিল?
উত্তর: ভগবতী দেবী।

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন কলেজে পড়াশোনা করেন?
উত্তর: কলকাতার সংস্কৃত কলেজে।

প্রশ্ন: তিনি কোন বিষয়ে সমাজ সংস্কার করেন?
উত্তর: বিধবা বিবাহ প্রচলন ও নারী শিক্ষা বিস্তারে।

প্রশ্ন: বিধবা বিবাহ আইন কবে পাশ হয়?
উত্তর: ১৮৫৬ সালে।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগরের রচিত একটি বিখ্যাত শিশুতোষ বইয়ের নাম কী?
উত্তর: বর্ণপরিচয়।

প্রশ্ন: তাঁর পেশা কী ছিল?
উত্তর: শিক্ষক, লেখক ও সমাজসংস্কারক।

প্রশ্ন: তাঁকে আর কী নামে ডাকা হতো?
উত্তর: করুণাসাগর।

প্রশ্ন: তাঁর মৃত্যুর বছর কত?
উত্তর: ১৮৯১ সাল।

প্রশ্ন: নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান কী ছিল?
উত্তর: তিনি নারী বিদ্যালয় স্থাপন করে মেয়েদের শিক্ষা নিশ্চিত করেন।

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি বিখ্যাত নাটকের অনুবাদ কী?
উত্তর: শকুন্তলা।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগরের রচিত “বর্ণপরিচয়” কাদের জন্য লেখা হয়েছিল?
উত্তর: শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য।

প্রশ্ন: তিনি কোন রাজ্যের মানুষ ছিলেন?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গ।

প্রশ্ন: সমাজে বিদ্যাসাগরের প্রধান অবদান কী?
উত্তর: নারী মুক্তি, শিক্ষার প্রসার ও মানবিক সমাজ গঠন।

প্রশ্ন: কেন তাঁকে বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ বলা হয়?
উত্তর: কারণ তিনি শিক্ষা ও সামাজিক সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিক বাংলার সূচনা করেন।

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন যুগের সমাজসংস্কারক ছিলেন?
উত্তর: উনবিংশ শতাব্দীর।

প্রশ্ন: তিনি কোন আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন?
উত্তর: বাংলার নবজাগরণ আন্দোলনের।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগরের শৈশব কেমন ছিল?
উত্তর: অত্যন্ত দারিদ্র্য ও কষ্টের মধ্যে কেটেছিল।

প্রশ্ন: সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়নের সময় তিনি কোন কোন বিষয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেন?
উত্তর: সংস্কৃত, ইংরেজি, গণিত ও দর্শনে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেন।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগর “বিদ্যার সাগর” উপাধি কবে পান?
উত্তর: সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়নের সময় অসাধারণ ফলাফলের জন্য এই উপাধি পান।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগর কোন ভাষা সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন?
উত্তর: বাংলা ভাষা।

প্রশ্ন: বাংলা ভাষাকে সহজ ও সরল করার জন্য তিনি কী করেন?
উত্তর: নতুন বানান পদ্ধতি চালু করেন ও পাঠ্যবই রচনা করেন।

প্রশ্ন: তাঁর রচিত পাঠ্যবই “বর্ণপরিচয়” কোন উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছিল?
উত্তর: শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা সহজ করার জন্য।

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: বহু বিদ্যালয় স্থাপন করেন, যার মধ্যে মেট্রোপলিটন স্কুল অন্যতম।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগর কোন আইনের প্রবর্তনে নেতৃত্ব দেন?
উত্তর: বিধবা বিবাহ আইন।

প্রশ্ন: বিধবা বিবাহ আইন পাশ করতে তিনি কাদের সহায়তা পান?
উত্তর: লর্ড ডালহৌসির সহায়তা পান।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগর কোন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের সংস্কারে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: হিন্দু সমাজের সংস্কারে।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগর কোন অন্যায় প্রথার বিরুদ্ধে ছিলেন?
উত্তর: কুলীন ব্রাহ্মণদের বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে ছিলেন।

প্রশ্ন: সমাজে নারী শিক্ষার জন্য তিনি কী উদ্যোগ নেন?
উত্তর: মেয়েদের স্কুল স্থাপন করেন ও নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা প্রচার করেন।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগরের প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে কে ছিলেন?
উত্তর: রাজনারায়ণ বসু ও অন্যান্য নবজাগরণ নেতা।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগর কোন সংবাদপত্র বা পত্রিকায় লেখালেখি করতেন?
উত্তর: তিনি বিভিন্ন সমাজসংস্কারমূলক পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখতেন।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগর সমাজের কোন শ্রেণির মানুষদের বেশি সাহায্য করতেন?
উত্তর: দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষেরা।

প্রশ্ন: তাঁকে “করুণাসাগর” বলা হয় কেন?
উত্তর: কারণ তিনি অসহায় ও দরিদ্রদের প্রতি গভীর সহানুভূতি দেখাতেন।

প্রশ্ন: তাঁর জীবদ্দশায় কতগুলো বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়?
উত্তর: প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি বিদ্যালয়।

প্রশ্ন: তিনি কোন জেলার মানুষ ছিলেন?
উত্তর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার।

প্রশ্ন: তাঁর মৃত্যুর পর কোথায় তাঁর স্মৃতি সংরক্ষিত আছে?
উত্তর: কলকাতা, বীরসিংহ ও মেদিনীপুরে তাঁর স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর রয়েছে।

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স কত ছিল?
উত্তর: প্রায় ৭১ বছর।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগর কোন লেখকের রচনা অনুবাদ করেছেন?
উত্তর: কালিদাসের “অভিজ্ঞান শকুন্তলম” অনুবাদ করেছেন।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগরের রচনায় প্রধানত কোন বিষয়গুলি গুরুত্ব পায়?
উত্তর: মানবতা, শিক্ষার গুরুত্ব ও নৈতিকতা।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগরের জীবনদর্শন কী ছিল?
উত্তর: শিক্ষা ও মানবতাই সমাজের উন্নতির মূল চাবিকাঠি।

প্রশ্ন: তিনি কোন বছরে কলকাতার সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল হন?
উত্তর: ১৮৫১ সালে।

প্রশ্ন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তৈরি বাংলা বর্ণমালা সংস্কারে কী পরিবর্তন আসে?
উত্তর: বাংলা বর্ণমালার অপ্রয়োজনীয় বর্ণ বাদ দিয়ে সহজীকরণ করা হয়।

প্রশ্ন: তিনি কাদের অনুপ্রেরণায় সমাজসেবায় যুক্ত হন?
উত্তর: তাঁর মায়ের অনুপ্রেরণায়।

প্রশ্ন: বিদ্যাসাগরের মানবিক গুণের প্রতীক কোন কাজটি?
উত্তর: অনাথ ও দরিদ্রদের বিনা খরচে শিক্ষা ও সহায়তা প্রদান।

প্রশ্ন: তাঁকে নিয়ে লেখা বিখ্যাত চলচ্চিত্রের নাম কী?
উত্তর: “বিদ্যাসাগর” (১৯৫০ সালের বাংলা চলচ্চিত্র)

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত MCQ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম কবে?
ক. ১৮১৮ সাল
খ. ১৮২০ সাল
গ. ১৮২৫ সাল
ঘ. ১৮৩০ সাল
➡️ উত্তর: ১৮২০ সাল

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম কোথায়?
ক. কলকাতা
খ. বীরসিংহ
গ. কাশী
ঘ. মেদিনীপুর শহর
➡️ উত্তর: বীরসিংহ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পিতার নাম কী?
ক. রামমোহন রায়
খ. থাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
গ. মাধবচন্দ্র বিদ্যারত্ন
ঘ. দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
➡️ উত্তর: থাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মায়ের নাম কী?
ক. ভগবতী দেবী
খ. চন্দ্রাবতী
গ. কালিদাসী
ঘ. রমণী দেবী
➡️ উত্তর: ভগবতী দেবী

“বিদ্যাসাগর” উপাধিটি তাঁকে কে দেয়?
ক. সংস্কৃত কলেজ
খ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
গ. রাজা রামমোহন রায়
ঘ. ব্রিটিশ সরকার
➡️ উত্তর: সংস্কৃত কলেজ

“বিদ্যাসাগর” শব্দের অর্থ কী?
ক. বিদ্যার শিক্ষক
খ. জ্ঞানের সাগর
গ. মহাপণ্ডিত
ঘ. শিক্ষা গুরু
➡️ উত্তর: জ্ঞানের সাগর

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন কলেজে পড়াশোনা করেন?
ক. প্রেসিডেন্সি কলেজ
খ. সংস্কৃত কলেজ
গ. মেদিনীপুর কলেজ
ঘ. বেথুন কলেজ
➡️ উত্তর: সংস্কৃত কলেজ

তিনি কোন খাতে কর্মজীবন শুরু করেন?
ক. আইন
খ. শিক্ষা
গ. প্রশাসন
ঘ. চিকিৎসা
➡️ উত্তর: শিক্ষা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন বিষয়ে সমাজ সংস্কার করেন?
ক. বহুবিবাহ প্রচলন
খ. বিধবা বিবাহ প্রচলন
গ. দাস প্রথা
ঘ. জমিদারি প্রথা
➡️ উত্তর: বিধবা বিবাহ প্রচলন

বিধবা বিবাহ আইন কবে পাশ হয়?
ক. ১৮৫৪ সালে
খ. ১৮৫৬ সালে
গ. ১৮৫৮ সালে
ঘ. ১৮৬০ সালে
➡️ উত্তর: ১৮৫৬ সালে

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন বই লিখেছেন?
ক. পদ্মনদীর মাঝি
খ. বর্ণপরিচয়
গ. আনন্দমঠ
ঘ. চাঁদ সওদাগর
➡️ উত্তর: বর্ণপরিচয়

‘বর্ণপরিচয়’ বইটি কাদের জন্য রচিত?
ক. নারী সমাজ
খ. শিশু শিক্ষার্থী
গ. শিক্ষক সমাজ
ঘ. পণ্ডিত সমাজ
➡️ উত্তর: শিশু শিক্ষার্থী

তিনি কোন ভাষার সংস্কার করেন?
ক. হিন্দি
খ. বাংলা
গ. উর্দু
ঘ. সংস্কৃত
➡️ উত্তর: বাংলা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি বিখ্যাত অনুবাদিত নাটক কোনটি?
ক. রঘুবংশ
খ. শকুন্তলা
গ. সীতার বনবাস
ঘ. মেঘদূত
➡️ উত্তর: শকুন্তলা

‘করুণাসাগর’ উপাধিটি কাকে দেওয়া হয়?
ক. রাজা রামমোহন রায়
খ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ. কেশবচন্দ্র সেন
ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
➡️ উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

তিনি কোন শহরে মৃত্যুবরণ করেন?
ক. মেদিনীপুর
খ. বীরসিংহ
গ. কলকাতা
ঘ. কাশী
➡️ উত্তর: কলকাতা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যু কবে?
ক. ১৮৮৮ সাল
খ. ১৮৯১ সাল
গ. ১৮৯৩ সাল
ঘ. ১৮৯৫ সাল
➡️ উত্তর: ১৮৯১ সাল

তিনি নারী শিক্ষার জন্য কী করেন?
ক. মেয়েদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন
খ. মেয়েদের চাকরি দেন
গ. বৃত্তি চালু করেন
ঘ. পাঠ্যবই অনুবাদ করেন
➡️ উত্তর: মেয়েদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন

তিনি কোন যুগের মানুষ ছিলেন?
ক. মধ্যযুগ
খ. নবজাগরণ যুগ
গ. প্রাচীন যুগ
ঘ. আধুনিক যুগ
➡️ উত্তর: নবজাগরণ যুগ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কাকে অনুসরণ করেছিলেন?
ক. রাজা রামমোহন রায়
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. মহাত্মা গান্ধী
ঘ. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
➡️ উত্তর: রাজা রামমোহন রায়

‘সীতার বনবাস’ কার লেখা?
ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ. মধুসূদন দত্ত
ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
➡️ উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

‘বেতালপঞ্চবিংশতি’ বইটি কে অনুবাদ করেন?
ক. বিদ্যাসাগর
খ. বঙ্কিমচন্দ্র
গ. রামমোহন রায়
ঘ. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
➡️ উত্তর: বিদ্যাসাগর

বিদ্যাসাগর কোন পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন?
ক. তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
খ. সংবাদ প্রভাকর
গ. ভারত সংবাদ
ঘ. বঙ্গদর্শন
➡️ উত্তর: তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক. বীরসিংহ গ্রামে
খ. শিলিগুড়িতে
গ. যশোরে
ঘ. রাজশাহীতে
➡️ উত্তর: বীরসিংহ গ্রামে

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন?
ক. বৌদ্ধ
খ. ইসলাম
গ. হিন্দু
ঘ. খ্রিস্টান
➡️ উত্তর: হিন্দু

তিনি কোন সমাজের উন্নয়নে কাজ করেছেন?
ক. পুরুষ সমাজ
খ. নারী সমাজ
গ. কৃষক সমাজ
ঘ. শ্রমিক সমাজ
➡️ উত্তর: নারী সমাজ

তিনি কোন শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার করেন?
ক. ইংরেজি শিক্ষা
খ. প্রাথমিক শিক্ষা
গ. সংস্কৃত শিক্ষা
ঘ. উচ্চতর শিক্ষা
➡️ উত্তর: সংস্কৃত শিক্ষা

তিনি কোন ভাষাকে সহজ করতে কাজ করেন?
ক. ইংরেজি
খ. বাংলা
গ. ফারসি
ঘ. সংস্কৃত
➡️ উত্তর: বাংলা

“বাংলা ভাষার জনক” হিসেবে কাকে বলা হয়?
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ. মধুসূদন দত্ত
ঘ. বঙ্কিমচন্দ্র
➡️ উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

তিনি কোন বিষয়ে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন?
ক. রাজনীতি
খ. শিক্ষা ও সমাজ সংস্কার
গ. চিকিৎসা
ঘ. ব্যবসা
➡️ উত্তর: শিক্ষা ও সমাজ সংস্কার

বিধবা বিবাহ আইন কে প্রস্তাব করেন?
ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. রামমোহন রায়
গ. বঙ্কিমচন্দ্র
ঘ. রবীন্দ্রনাথ
➡️ উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

তিনি কোন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
ক. ব্রাহ্ম সমাজ
খ. নারী মুক্তি আন্দোলন
গ. ছাত্র আন্দোলন
ঘ. স্বদেশি আন্দোলন
➡️ উত্তর: নারী মুক্তি আন্দোলন

বিদ্যাসাগর কোন পেশায় যুক্ত ছিলেন?
ক. শিক্ষক
খ. আইনজীবী
গ. ডাক্তার
ঘ. কৃষক
➡️ উত্তর: শিক্ষক

বিদ্যাসাগরের নামের অর্থ কী?
ক. বিদ্যার পাহাড়
খ. জ্ঞানের সাগর
গ. বিদ্যার গুরু
ঘ. জ্ঞানী ব্যক্তি
➡️ উত্তর: জ্ঞানের সাগর

বর্ণপরিচয় বইটি কোন ভাষায় লেখা?
ক. সংস্কৃত
খ. বাংলা
গ. ইংরেজি
ঘ. হিন্দি
➡️ উত্তর: বাংলা

তিনি কোন শ্রেণির মানুষের পাশে দাঁড়াতেন?
ক. ধনী
খ. গরিব
গ. রাজপরিবার
ঘ. ব্যবসায়ী
➡️ উত্তর: গরিব

তিনি কোন কাজের জন্য “করুণাসাগর” নামে পরিচিত হন?
ক. দানশীলতা ও মানবপ্রেমের জন্য
খ. রাজনীতি করার জন্য
গ. কবিতা লেখার জন্য
ঘ. নাটক অনুবাদের জন্য
➡️ উত্তর: দানশীলতা ও মানবপ্রেমের জন্য

তিনি কোন শহরে কাজ করতেন?
ক. মেদিনীপুর
খ. কলকাতা
গ. চট্টগ্রাম
ঘ. যশোর
➡️ উত্তর: কলকাতা

তিনি কোন সময়কালীন সংস্কারক?
ক. আঠারো শতক
খ. উনিশ শতক
গ. বিশ শতক
ঘ. একবিংশ শতক
➡️ উত্তর: উনিশ শতক

‘বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ’ বলা হয় কাকে?
ক. রাজা রামমোহন রায়
খ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ. কেশবচন্দ্র সেন
➡️ উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

তিনি কোন প্রদেশের সন্তান?
ক. আসাম
খ. পশ্চিমবঙ্গ
গ. বিহার
ঘ. ওড়িশা
➡️ উত্তর: পশ্চিমবঙ্গ

তিনি কোন আন্দোলনে নারী অধিকার রক্ষায় কাজ করেন?
ক. নারী শিক্ষা আন্দোলন
খ. স্বদেশি আন্দোলন
গ. ছাত্র আন্দোলন
ঘ. শ্রমিক আন্দোলন
➡️ উত্তর: নারী শিক্ষা আন্দোলন

বর্ণপরিচয় বইটি কবে প্রকাশিত হয়?
ক. ১৮৫৫ সালে
খ. ১৮৫৬ সালে
গ. ১৮৫৭ সালে
ঘ. ১৮৫৮ সালে
➡️ উত্তর: ১৮৫৫ সালে

তিনি কোন বিষয়ে সর্বাধিক অবদান রাখেন?
ক. সাহিত্য
খ. শিক্ষা ও সমাজ সংস্কার
গ. রাজনীতি
ঘ. ব্যবসা
➡️ উত্তর: শিক্ষা ও সমাজ সংস্কার

তিনি কোন উপাধি পান সংস্কৃত কলেজ থেকে?
ক. মহাপণ্ডিত
খ. বিদ্যাসাগর
গ. করুণাসাগর
ঘ. শিক্ষাগুরু
➡️ উত্তর: বিদ্যাসাগর

বিধবা বিবাহ আইনের আগে সমাজে কী প্রথা চলত?
ক. নারীদের দ্বিতীয় বিবাহ
খ. বিধবাদের আজীবন নিঃসঙ্গতা
গ. নারী শিক্ষা
ঘ. নারী স্বাধীনতা
➡️ উত্তর: বিধবাদের আজীবন নিঃসঙ্গতা

তিনি নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠা করেন কোথায়?
ক. কলকাতা
খ. মেদিনীপুর
গ. যশোর
ঘ. বীরসিংহ
➡️ উত্তর: কলকাতা

তিনি কোন ধর্মের সংস্কারকে সমর্থন করেননি?
ক. বহুবিবাহ
খ. বিধবা বিবাহ
গ. নারী শিক্ষা
ঘ. মানবপ্রেম
➡️ উত্তর: বহুবিবাহ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কেন ইতিহাসে বিখ্যাত?
ক. সমাজ সংস্কার ও শিক্ষার প্রসারে অবদানের জন্য
খ. কবিতা লেখার জন্য
গ. রাজনীতির জন্য
ঘ. ধর্মপ্রচারের জন্য
➡️ উত্তর: সমাজ সংস্কার ও শিক্ষার প্রসারে অবদানের জন্য


N

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url