চলন ও গমনের পার্থক্য কি
জীববিজ্ঞান ও সাধারণ বিজ্ঞানের বিভিন্ন আলোচনায় চলন এবং গমন শব্দ দুটি প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। শুনতে একই রকম মনে হলেও এদের অর্থ, বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগে পার্থক্য বেশ স্পষ্ট। জীবজন্তুর শরীরের ক্ষুদ্র নড়াচড়া থেকে শুরু করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করা এই দুই ধরনের ক্রিয়াই জীবিত প্রাণীর আচরণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে চলন ও গমনের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
চলন কি
চলন হলো কোনো জীবের দেহের কোনো অংশের স্বল্প পরিসরের নড়াচড়া, যেখানে স্থান পরিবর্তন সবসময় না-ও হতে পারে। এটি সাধারণত স্বেচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত হতে পারে।
চলনের বৈশিষ্ট্য
-
দেহের অংশবিশেষ নড়াচড়া করে।
-
পুরো জীবের অবস্থান বা জায়গা পরিবর্তন নাও হতে পারে।
-
অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক উভয় প্রকার উদ্দীপনার কারণে হতে পারে।
-
উদাহরণ: চোখের পাতা নড়া, হাত নাড়ানো, গাছের পাতার নড়াচড়া ইত্যাদি।
গমন কি
গমন হলো জীবের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া। এটি সর্বদা অবস্থান পরিবর্তন ঘটায়।
গমনের বৈশিষ্ট্য
-
পুরো দেহ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়।
-
শক্তি ব্যয় হয়।
-
খাদ্য সংগ্রহ, বিপদ থেকে রক্ষা, পরিবেশ পরিবর্তনের মতো প্রয়োজনের কারণে ঘটে।
-
উদাহরণ: মানুষ হাঁটা, পাখির উড়া, মাছের সাঁতার কাটা ইত্যাদি।
চলন ও গমনের মধ্যে পার্থক্য কি
চলন এবং গমনের মূল পার্থক্য হলো চলনে দেহের অংশবিশেষ নড়ে, কিন্তু গমনে পুরো দেহ স্থান পরিবর্তন করে।
সংক্ষেপে পার্থক্য
-
চলন: স্থান পরিবর্তন সবসময় ঘটে না; শুধু অংশবিশেষ নড়ে।
-
গমন: সর্বদা স্থান পরিবর্তন ঘটে; পুরো দেহ নড়ে।