এসিড ও ক্ষারকের মূল পার্থক্য কি
প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক জগতে আমরা নিয়মিত এসিড ও ক্ষারকের সাথে দেখা করি। এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে অনেকের কাছে এদের মধ্যে পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে থাকে। এখানে সহজ ভাষায় এসিড এবং ক্ষারকের মূল বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য তুলে ধরা হলো।
এসিড কি
এসিড হলো সেই পদার্থ যা জলে দ্রবীভূত হলে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) উৎপন্ন করে। সাধারণভাবে এসিড টক স্বাদের হয় এবং স্পর্শ করলে শরীরে হালকা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেবুর রস বা ভিনেগার। রাসায়নিক উদাহরণ: হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl), সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄)ক্ষারক কি
ক্ষারক বা বেস হলো সেই পদার্থ যা জলে দ্রবীভূত হলে হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH⁻) উৎপন্ন করে। এগুলো সাধারণত কটু স্বাদের হয় এবং স্পর্শ করলে সোপের মতো অনুভূত হয়। উদাহরণস্বরূপ, সাবান, ডিটারজেন্ট। রাসায়নিক উদাহরণ: সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH)।এসিড ও ক্ষারকের মূল পার্থক্য কি
-
আয়ন উৎপাদন:
-
এসিড: H⁺ আয়ন উৎপন্ন করে
-
ক্ষারক: OH⁻ আয়ন উৎপন্ন করে
-
-
স্বাদ ও স্পর্শ:
-
এসিড: টক স্বাদ, কখনো কখনো জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়
-
ক্ষারক: কটু বা সাবানের মতো স্বাদ, স্পর্শ করলে নরম বা চামড়ায় ক্ষতি হতে পারে
-
-
pH মান:
-
এসিড: ১ থেকে ৬
-
ক্ষারক: ৮ থেকে ১৪
-
-
লিটারেচার টেস্ট:
-
এসিড: ব্লু লিটারেচার লাল করে
-
ক্ষারক: রেড লিটারেচার নীল করে
-
-
দৈনন্দিন উদাহরণ:
-
এসিড: লেবুর রস, ভিনেগার, HCl
-
ক্ষারক: সাবান, সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড, ডিটারজেন্ট
-
এসিড ও ক্ষারক হলো রাসায়নিক পদার্থ যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এসিড হাইড্রোজেন আয়ন এবং ক্ষারক হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন করে। pH, স্বাদ ও লিটারেচার টেস্টের মাধ্যমে সহজেই এদের পার্থক্য চিহ্নিত করা যায়।