আল্ট্রাসনোগ্রাম কি | আল্ট্রাসনোগ্রাম কত প্রকার খরচ কত
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত। এটি এক ধরনের ইমেজিং পদ্ধতি, যার মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবস্থা নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায় তাও আবার কাটা-ছেঁড়া বা ব্যথাহীনভাবে। শব্দ তরঙ্গের সাহায্যে তৈরি এই প্রযুক্তি আজকের দিনে গর্ভাবস্থার পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে লিভার, কিডনি, হৃদপিণ্ড, থাইরয়েড, এমনকি মস্তিষ্ক সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতারও প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের গঠন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি, এটি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করে, যা সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যথাহীনতা, নিরাপত্তা, সহজলভ্যতা ও তুলনামূলকভাবে কম খরচের কারণে আল্ট্রাসনোগ্রাম আজ শুধু শহরের বড় হাসপাতালেই নয়, গ্রামাঞ্চলের ছোট ক্লিনিকেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই প্রবন্ধে আমরা আল্ট্রাসনোগ্রামের প্রযুক্তিগত দিক, ব্যবহার, উপকারিতা, প্রস্তুতি ও প্রাসঙ্গিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নানা তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আল্ট্রাসনোগ্রাম কি
আল্ট্রাসনোগ্রাম (Ultrasonogram) হলো এক ধরনের চিকিৎসা-প্রযুক্তি যেখানে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি তৈরি করা হয়। এটি এক ধরনের ইমেজিং টেস্ট, যা ব্যথাহীন ও নিরাপদ পদ্ধতিতে শরীরের অভ্যন্তরীণ কাঠামো পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়। এই প্রযুক্তিতে এক্স-রে বা বিকিরণ (radiation) ব্যবহার করা হয় না, তাই এটি গর্ভবতী নারীদের জন্যও নিরাপদ বলে বিবেচিত।
আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে গর্ভের শিশু, লিভার, কিডনি, গলব্লাডার, হৃদপিণ্ড, থাইরয়েড, নারীর জরায়ু বা পুরুষের অণ্ডকোষের অবস্থা পর্যালোচনা করা যায়। চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয়, অঙ্গের গঠনগত সমস্যা, টিউমার বা পাথরের উপস্থিতি শনাক্ত করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
আল্ট্রাসনোগ্রাম কত প্রকার
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম (Ultrasonogram) এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নিরাপদ প্রযুক্তি। উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি তৈরি করা হয়, যা চিকিৎসকদের জন্য রোগ শনাক্তকরণে সহায়ক। এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানের মতো বিকিরণভিত্তিক না হওয়ায় এটি গর্ভবতী নারীসহ সব বয়সী মানুষের জন্য নিরাপদ। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভিন্নভাবে করা হয়, এবং নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুসারে এর প্রকারভেদ নির্ধারিত হয়।
১. অ্যাবডোমিনাল আল্ট্রাসনোগ্রাম (Abdominal Ultrasonogram)
এই ধরণের আল্ট্রাসনোগ্রাম পেটের ওপরের অংশে করা হয়। লিভার, কিডনি, গলব্লাডার, প্লীহা ও অগ্ন্যাশয়ের অবস্থা জানতে এটি ব্যবহার করা হয়। পেটব্যথা, পিত্তথলিতে পাথর, টিউমার বা অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যা নির্ণয়ে এটি কার্যকর।
২. পেলভিক আল্ট্রাসনোগ্রাম (Pelvic Ultrasonogram)
পেটের নিচের অংশে (পেলভিক অঞ্চল) থাকা অঙ্গগুলো যেমন নারীদের জরায়ু, ডিম্বাশয় এবং পুরুষদের মূত্রথলি ও প্রোস্টেট নিরীক্ষণে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ইনফার্টিলিটি বা পেলভিক টিউমার সংক্রান্ত সমস্যায় এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. অবস্টেট্রিক আল্ট্রাসনোগ্রাম (Obstetric Ultrasonogram)
গর্ভাবস্থায় গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য, গঠন ও বিকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। শিশুর হার্টবিট, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, জন্মগত ত্রুটি, প্ল্যাসেন্টার অবস্থা এবং গর্ভফুলের রক্তপ্রবাহ পর্যবেক্ষণে এই আল্ট্রাসনোগ্রাম অত্যন্ত কার্যকর।
৪. ট্রান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসনোগ্রাম (Transvaginal Ultrasonogram)
নারীদের জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের গভীরতর ও স্পষ্ট চিত্র পেতে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এতে একটি চিকন প্রোব যোনিপথে প্রবেশ করানো হয়, যাতে অঙ্গের অবস্থা আরও ভালোভাবে দেখা যায়। প্রাথমিক গর্ভাবস্থা, ইনফার্টিলিটি এবং জরায়ু টিউমার নিরীক্ষণে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ট্রান্সরেক্টাল আল্ট্রাসনোগ্রাম (Transrectal Ultrasonogram)
এই আল্ট্রাসনোগ্রাম সাধারণত পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। প্রোবটি মলদ্বারের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয় এবং প্রোস্টেটের আকার, গঠন বা টিউমার খুঁজে দেখা হয়। প্রোস্টেট ক্যানসার বা বড় হওয়া গ্রন্থির ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজনীয়।
৬. ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাম (Doppler Ultrasonogram)
রক্তনালীর মধ্যে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক আছে কি না তা জানার জন্য ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। হার্টের সমস্যা, রক্তনালীর ব্লক বা ভেনাস থ্রম্বোসিস নির্ণয়ে এটি খুবই কার্যকর। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় প্ল্যাসেন্টার রক্তপ্রবাহ যাচাই করতেও এটি ব্যবহৃত হয়।
৭. থাইরয়েড আল্ট্রাসনোগ্রাম (Thyroid Ultrasonogram)
গলার থাইরয়েড গ্রন্থির আকার, গঠন, সিস্ট বা টিউমার থাকলে তা শনাক্ত করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। থাইরয়েড হরমোনে সমস্যা, গলার ফোলা বা সন্দেহজনক নডিউল থাকলে চিকিৎসকরা এই পরীক্ষা করাতে বলেন।
৮. ব্রেস্ট আল্ট্রাসনোগ্রাম (Breast Ultrasonogram)
নারীদের স্তনে চাকা, টিউমার বা অন্যান্য অস্বাভাবিকতা পর্যালোচনায় এই আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। এটি স্তন ক্যানসার শনাক্তে সহায়ক এবং বিশেষত যেসব নারীদের স্তনের টিস্যু ঘন, তাদের ক্ষেত্রে এটি ম্যামোগ্রামের চেয়েও কার্যকর হতে পারে।
আল্ট্রাসনোগ্রাম খরচ
আল্ট্রাসনোগ্রাম করার খরচ দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, হাসপাতালের ধরণ, পরীক্ষা করার জটিলতা ও ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত একটি সাধারণ অ্যাবডোমিনাল বা পেলভিক আল্ট্রাসনোগ্রামের দাম ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। গর্ভাবস্থার জন্য করা অবস্টেট্রিক আল্ট্রাসনোগ্রাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হতে পারে, কারণ এতে শিশুর বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করা হয়।
বিশেষায়িত আল্ট্রাসনোগ্রাম যেমন ডপলার, ট্রান্সভ্যাজাইনাল বা ট্রান্সরেক্টাল আল্ট্রাসনোগ্রামের খরচ ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। সরকারি হাসপাতালে সাধারণত কম খরচে বা কিছু ক্ষেত্রে বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করানো যায়, আর বেসরকারি ক্লিনিক ও নার্সিংহোমে দাম একটু বেশি হতে পারে।
খরচের সঙ্গে পরীক্ষার মান এবং যন্ত্রপাতির আধুনিকতা সম্পর্কিত থাকে, তাই সস্তায় পরীক্ষা করালে গুণগতমান খতিয়ে দেখা জরুরি। প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক জায়গায় পরীক্ষা করানো উচিত।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায়
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট মূলত চিকিৎসকের জন্য তৈরি হলেও, রোগীর নিজেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বুঝতে পারলে ভালো হয়। সাধারণত রিপোর্টে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের আকার, গঠন, অবস্থা ও কোনো অস্বাভাবিকতা যেমন সিস্ট, টিউমার, পাথর বা প্রদাহ উল্লেখ থাকে।
রিপোর্টে ব্যবহৃত কিছু সাধারণ শব্দের অর্থ জানা জরুরি—যেমন, ‘নডিউল’ মানে ছোট টিউমারের মতো গঠন, ‘সিস্ট’ মানে তরল ভর্তি থলিকা, ‘ইকোজেনিসিটি’ দিয়ে বোঝানো হয় টিস্যুর ঘনত্ব বা শব্দ তরঙ্গের প্রতিফলন। ‘নরমাল’ শব্দ থাকলে সেটি স্বাভাবিক অবস্থা নির্দেশ করে।
রিপোর্টে কোনো গুরুতর অসংগতির কথা লেখা থাকলে বা বোঝা না গেলে অবশ্যই আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস ও লক্ষণের সঙ্গে মিলিয়ে রিপোর্টের অর্থ বিশ্লেষণ করেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নির্ধারণ করেন।
আল্ট্রাসনোগ্রাম কি খালি পেটে করতে হয়
আল্ট্রাসনোগ্রামের ধরন অনুযায়ী খালি পেটে পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হয়। সাধারণত অ্যাবডোমিনাল আল্ট্রাসনোগ্রাম (পেটের ভেতরের অঙ্গ যেমন লিভার, পিত্তথলি, কিডনি পরীক্ষা) করার সময় রোগীকে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা খালি পেটে থাকতে বলা হয়। কারণ খাবার ও পানীয় পেট ভরে গেলে ছবি পরিষ্কার 나오তে বাধা দিতে পারে।
তবে, পেলভিক, ট্রান্সভ্যাজাইনাল বা অন্য কোনো বিশেষ আল্ট্রাসনোগ্রামের জন্য সাধারণত খালি পেটে থাকার প্রয়োজন হয় না, বরং অনেক সময় পূর্ণ মূত্রথলি প্রয়োজন হয় যাতে ছবি স্পষ্ট হয়।
সবচেয়ে ভালো হলো পরীক্ষার আগে সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক বা হাসপাতালের নির্দেশনা মেনে চলা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে পরীক্ষা সঠিক ও ফলপ্রসূ হবে।
গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম (Obstetric Ultrasonogram) করার মাধ্যমে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি, অবস্থান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গর্ভাবস্থায় সঠিক সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো গুরুত্বপূর্ণ, যা চিকিৎসক নির্ধারণ করেন। নিচে সাধারণ নিয়মগুলো দেওয়া হলো:
১. প্রস্তুতি:
প্রথম বা প্রাথমিক আল্ট্রাসনোগ্রামের সময় (সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে) প্রায়শই পূর্ণ পেট থাকতে বলা হয়। কারণ পূর্ণ মূত্রথলি গর্ভাশয়কে চাপ দিয়ে শিশুর ছবি পরিষ্কার দেখাতে সাহায্য করে। পরবর্তী মাসগুলোতে খালি পেটে করতেও বলা যেতে পারে, চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসারে।
২. পরীক্ষার ধরণ:
গর্ভাবস্থার প্রথম ট্রাইমেস্টারে সাধারণত ট্রান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়, যা যোনিপথে প্রোব প্রবেশ করিয়ে শিশুর ছবি পরিষ্কার দেখায়। পরবর্তী সময়ে পেটের ওপর থেকে অ্যাবডোমিনাল আল্ট্রাসনোগ্রাম বেশি ব্যবহৃত হয়।
৩. পরীক্ষার সময়:
গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয় – প্রথম ট্রাইমেস্টারে গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে, দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিকাশ পর্যবেক্ষণে এবং তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে শিশুর ওজন, অবস্থান ও প্ল্যাসেন্টার অবস্থা নিরীক্ষণে।
৪. সতর্কতা:
আল্ট্রাসনোগ্রাম একটি নিরাপদ পদ্ধতি, তবে খুব বেশি বার করানো থেকে বিরত থাকা ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সময়মতো পরীক্ষা করানো উচিত।
৫. পরীক্ষার ফলাফল:
পরীক্ষার রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি, যেন গর্ভের ও শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য, তাই নিয়ম মেনে যথাযথ সময়ে করানো উচিত।
আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কত সময় লাগে
সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা সম্পন্ন হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিট। পরীক্ষার ধরন ও জটিলতার ওপর ভিত্তি করে এই সময় কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে। যেমন, সহজ অ্যাবডোমিনাল আল্ট্রাসনোগ্রাম তুলনামূলক দ্রুত হয়, আর ডপলার বা বিশেষ কোনো ট্রান্সভ্যাজাইনাল পরীক্ষায় সময় বেশি লাগতে পারে। পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি এবং রিপোর্ট পাওয়ার সময় আলাদা হতে পারে। পুরো প্রক্রিয়া দ্রুত ও ব্যথাহীন হওয়ায় এটি রোগীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।