ধাতু কি | ধাতু কাকে বলে | ধাতু কত প্রকার ও কি কি
ধাতু মানব সভ্যতার এক অমূল্য সম্পদ, যা প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পৃথিবীর ভূগর্ভে বিদ্যমান নানা প্রকার ধাতু শিল্পকারখানা, স্থাপত্য, যানবাহন, গৃহস্থালি সামগ্রী থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তি সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। ধাতুর ব্যবহার কেবলমাত্র দৈনন্দিন প্রয়োজনেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় এর অবদান অপরিসীম। স্বর্ণ, রূপা, লোহা, তামা কিংবা অ্যালুমিনিয়াম প্রতিটি ধাতুর রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহারিক গুরুত্ব, যা মানবজীবনকে করেছে আরও সহজ, টেকসই ও আধুনিক। সময়ের সাথে সাথে ধাতুর ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজাতকরণে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, যা আমাদের সভ্যতার বিকাশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ধাতু কেবল একটি প্রাকৃতিক উপাদান নয়, বরং মানব সভ্যতার ইতিহাস ও উন্নয়নের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এক অনন্য সম্পদ।
ধাতু কি
ধাতু হলো এক ধরনের মৌলিক পদার্থ যা সাধারণত কঠিন, চকচকে, তাপ ও বিদ্যুতের ভালো পরিবাহী এবং আকার পরিবর্তনযোগ্য। ধাতুগুলো হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পাত বানানো যায় (নমনীয়তা) এবং টেনে তার বানানো যায় (নমনীয়তা বা প্রসারণযোগ্যতা)। যেমন—লোহা, তামা, সোনা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ধাতুর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধাতু কাকে বলে
যে সকল মৌল সাধারণত কঠিন অবস্থায় থাকে, উজ্জ্বল বা চকচকে দেখায়, বিদ্যুৎ ও তাপ ভালোভাবে পরিবাহন করে এবং পিটিয়ে বা টেনে বিভিন্ন আকারে রূপান্তর করা যায় তাদেরকে ধাতু বলে। উদাহরণস্বরূপ লোহা, তামা, সোনা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
ভারী ধাতু কাকে বলে
যেসব ধাতুর ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে বেশি (সাধারণত প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে ৫ গ্রাম বা তার বেশি) সেগুলোকে ভারী ধাতু বলা হয়। এরা অনেক সময় বিষাক্ত প্রভাবও ফেলে। যেমন—সিসা (Pb), পারদ (Hg), ক্যাডমিয়াম (Cd), আর্সেনিক (As), ক্রোমিয়াম (Cr) ইত্যাদি। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য এগুলো ক্ষতিকর।
মুদ্রা ধাতু কাকে বলে
যেসব ধাতু সহজে মরিচা ধরে না, স্থায়িত্বশীল, চকচকে এবং বারবার ব্যবহারের উপযোগী বলে মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় তাদেরকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়। সাধারণত তামা, নিকেল, রূপা ও সোনা মুদ্রা ধাতু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এসব ধাতু দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ক্ষার ধাতু কাকে বলে
পর্যায় সারণির প্রথম গ্রুপের ধাতুগুলোকে ক্ষার ধাতু বলা হয়। এরা খুব হালকা, নরম এবং সহজে ছুরি দিয়ে কাটা যায়। পানির সাথে প্রবলভাবে বিক্রিয়া করে ক্ষার উৎপন্ন করে বলেই এদের ক্ষার ধাতু বলা হয়। এরা হলো—লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম (K), রুবিডিয়াম (Rb), সিজিয়াম (Cs) এবং ফ্রান্সিয়াম (Fr)।
মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে
পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপের ধাতুগুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়। এরা ক্ষার ধাতুর তুলনায় কিছুটা শক্ত, ঘনত্ব বেশি এবং ততটা তীব্র বিক্রিয়াশীল নয়। এদের অক্সাইড মাটির মতো প্রকৃতির হওয়ায় "মৃৎক্ষার ধাতু" নামকরণ করা হয়েছে। উদাহরণ—বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রনশিয়াম (Sr), ব্যারিয়াম (Ba) ও রেডিয়াম (Ra)।
সংকর ধাতু কাকে বলে
দুই বা ততোধিক ধাতু কিংবা ধাতু ও অধাতুর মিশ্রণে গঠিত পদার্থকে সংকর ধাতু বলা হয়। এর ফলে মূল ধাতুর গুণাগুণ পরিবর্তিত হয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি হয়, যেমন শক্তি বৃদ্ধি, মরিচা প্রতিরোধ ক্ষমতা বা হালকা ওজন। উদাহরণ—ব্রোঞ্জ (তামা + টিন), পিতল (তামা + দস্তা), স্টেইনলেস স্টিল (লোহা + ক্রোমিয়াম + নিকেল)।
অবস্থান্তর ধাতু কাকে বলে
পর্যায় সারণির মধ্যবর্তী অংশে (গ্রুপ ৩ থেকে ১২ পর্যন্ত) যে ধাতুগুলো অবস্থান করছে তাদেরকে অবস্থান্তর ধাতু বলা হয়। এদের অসম্পূর্ণ d-অরবিটাল থাকে এবং সাধারণত একাধিক জারণ সংখ্যা প্রদর্শন করে। এরা রঙিন যৌগ তৈরি করে, তাপ ও বিদ্যুতের ভালো পরিবাহী এবং অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। উদাহরণ লোহা (Fe), তামা (Cu), দস্তা (Zn), ক্রোমিয়াম (Cr), নিকেল (Ni)।
অভিজাত ধাতু কাকে বলে
যেসব ধাতু সহজে অক্সিজেন, পানি বা অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এবং দীর্ঘদিন উজ্জ্বলতা ও স্থায়িত্ব বজায় রাখে তাদেরকে অভিজাত ধাতু বলা হয়। এরা মূলত ক্ষয় প্রতিরোধী এবং মূল্যবান। উদাহরণ—সোনা (Au), রূপা (Ag), প্লাটিনাম (Pt), প্যালাডিয়াম (Pd) ইত্যাদি। এগুলো অলঙ্কার, মুদ্রা ও বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
সবচেয়ে ভারী ধাতু কোনটি
সবচেয়ে ভারী ধাতু হলো অস্মিয়াম (Osmium, প্রতীক Os) এটি একটি অবস্থান্তর ধাতু এবং পর্যায় সারণির ৮ম গ্রুপে অবস্থান করে। অস্মিয়ামের ঘনত্ব প্রায় ২২.৬ গ্রাম/সেমি³, যা পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান সব ধাতুর মধ্যে সর্বাধিক।
সবচেয়ে ভারী ধাতু বৈশিষ্ট্য
-
রূপালি নীলচে রঙের কঠিন ধাতু।
-
অত্যন্ত ভঙ্গুর কিন্তু খুব শক্ত।
-
উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপে স্থিতিশীল।
-
জারণ প্রতিরোধী, সহজে মরিচা ধরে না।
সবচেয়ে ভারী ধাতু ব্যবহার
-
প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের সাথে সংকর ধাতু তৈরি করে বিশেষ ধরনের ফাউন্টেন পেনের নিব, বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ও বৈদ্যুতিক সংযোগস্থলে ব্যবহৃত হয়।
-
টেকসই ওজন মাপার যন্ত্র এবং মাইক্রোস্কোপের অংশ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়।
👉 তবে, অস্মিয়ামের ধূলিকণা অত্যন্ত বিষাক্ত। তাই শিল্পক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে সতর্কতা প্রয়োজন।
ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য
প্রকৃতিতে পদার্থ প্রধানত দুই প্রকারে বিভক্ত ধাতু ও অধাতু। ধাতু হলো এমন পদার্থ যা সাধারণত কঠিন, চকচকে, আকার পরিবর্তনযোগ্য এবং তাপ ও বিদ্যুৎ ভালোভাবে পরিবাহন করতে পারে। ধাতুর উদাহরণ হলো লোহা, তামা, সোনা, রূপা ইত্যাদি। ধাতু সহজে গলানো যায়, পিটিয়ে পাত তৈরি করা যায় এবং টেনে তার বানানো যায়। ধাতুর কিছু প্রকার যেমন লোহা পানি ও অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে মরিচা ধরে।
অধাতু হলো এমন পদার্থ যা সাধারণত নরম, ভঙ্গুর বা অচকচকে। এরা তাপ ও বিদ্যুতের খুব কম পরিবাহী। অধিকাংশ অধাতু অক্সিজেন বা পানি সঙ্গে সহজে বিক্রিয়া করে না। উদাহরণস্বরূপ—কার্বন, সালফার, ফসফরাস ইত্যাদি। অধাতুর বৈশিষ্ট্য হলো সহজে ভেঙে যায় এবং আকার পরিবর্তন করা কঠিন।
ধাতু ও অধাতুর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো তাদের শারীরিক ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য। ধাতু শক্ত, চকচকে, তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী এবং নমনীয় হলেও, অধাতু ভঙ্গুর, অচকচকে ও কম পরিবাহী। ধাতু প্রায়শই সংকর ধাতু ও অভিজাত ধাতুর মতো যৌগ গঠনের মাধ্যমে শিল্প ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়, যেখানে অধাতু সাধারণত রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বা নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
ধাতু ও অধাতুর এই বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য আমাদের প্রাকৃতিক জগত এবং প্রযুক্তিগত ব্যবহার বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন জীবনে ধাতু মুদ্রা, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়। অপরদিকে অধাতু রাসায়নিক পরীক্ষায়, শিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণায় এবং নির্দিষ্ট শিল্পপ্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু কোনটি
সোনা (Gold, প্রতীক Au) পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু হিসেবে পরিচিত। এটি প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের কাছে ধন, গহনা ও বিনিয়োগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সোনার উজ্জ্বল হলুদ রঙ এবং দীর্ঘ সময় ধরে চকচকে থাকার ক্ষমতা এটিকে অন্যান্য ধাতুর থেকে আলাদা করে।
সোনা খুবই নরম এবং নমনীয়। সহজে পিটিয়ে পাত বানানো যায় এবং ছোট ছোট তার বা গহনা তৈরি করা সম্ভব। তাপ ও বিদ্যুতের পরিবাহক হিসাবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। এর জারণ বা মরিচা ধরে না এমন বৈশিষ্ট্য সোনাকে দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল করে তোলে।
সোনার ব্যবহার বহুমুখী। এটি প্রধানত অলঙ্কার ও গহনায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সোনা মুদ্রা ও বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক প্রযুক্তিতে সোনা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্র তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।
বিশ্বে সোনার মূল্য তার দূর্লভতা, স্থায়িত্ব এবং বহুমুখী ব্যবহার এর কারণে সর্বদা উচ্চ। এটি শুধু অর্থ বা সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং বৈজ্ঞানিক ও শিল্পক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোনার এই বৈশিষ্ট্যগুলো এটিকে নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু হিসেবে প্রমাণিত করেছে।
সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু বৈশিষ্ট্য
-
সোনার রঙ হল উজ্জ্বল হলুদ।
-
জারণ বা মরিচা ধরে না, তাই দীর্ঘদিন ধরে উজ্জ্বল থাকে।
-
অত্যন্ত নরম ও নমনীয়, পিটিয়ে পাত বা তার বানানো যায়।
-
তাপ ও বিদ্যুৎ ভালোভাবে পরিবাহন করে।
সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু ব্যবহার
-
অলঙ্কার ও গহনার মূল উপাদান।
-
মুদ্রা ও বিনিয়োগের মাধ্যম।
-
ইলেকট্রনিক্স ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত।
সোনার উচ্চ মূল্য তার দীর্ঘস্থায়ী স্থায়িত্ব, দুর্লভতা এবং বহুমুখী ব্যবহার এর কারণে।
ধাতু সম্পর্কে ৫০ টি প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ ধাতু কি
উত্তরঃ ধাতু হলো এমন পদার্থ যা সাধারণত কঠিন, চকচকে, তাপ ও বিদ্যুতের ভালো পরিবাহী এবং আকার পরিবর্তনযোগ্য।
প্রশ্নঃ ধাতুর বৈশিষ্ট্য কি কি
উত্তরঃ ধাতু সাধারণত কঠিন, চকচকে, তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী, নমনীয় ও প্রসারণযোগ্য।
প্রশ্নঃ ধাতুর উদাহরণ কি কি
উত্তরঃ লোহা, তামা, সোনা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ধাতু কত প্রকার
উত্তরঃ ধাতু প্রধানত ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু, অবস্থান্তর ধাতু, অভিজাত ধাতু এবং সংকর ধাতু প্রভৃতি ভাগে বিভক্ত।
প্রশ্নঃ ক্ষার ধাতু কাকে বলে
উত্তরঃ পর্যায় সারণির প্রথম গ্রুপের হালকা, নরম ও তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল ধাতুকে ক্ষার ধাতু বলে।
প্রশ্নঃ মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে
উত্তরঃ দ্বিতীয় গ্রুপের ধাতু, যা কিছুটা শক্ত, ঘন এবং ধীর গতিতে বিক্রিয়াশীল, তাকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
প্রশ্নঃ অবস্থান্তর ধাতু কাকে বলে
উত্তরঃ d-অরবিটালযুক্ত মধ্যবর্তী গ্রুপের ধাতুগুলোকে অবস্থান্তর ধাতু বলা হয়।
প্রশ্নঃ অভিজাত ধাতু কাকে বলে
উত্তরঃ জারণ বা অক্সিডেশনের প্রতিরোধী ধাতু যেগুলো মূল্যবান, যেমন সোনা, রূপা, প্লাটিনাম।
প্রশ্নঃ সংকর ধাতু কাকে বলে
উত্তরঃ দুই বা ততোধিক ধাতু বা ধাতু ও অধাতুর মিশ্রণকে সংকর ধাতু বলে।
প্রশ্নঃ ভারী ধাতু কাকে বলে
উত্তরঃ ঘনত্ব বেশি (প্রায় ৫ গ্রাম/সেমি³ বা তার বেশি) ধাতুকে ভারী ধাতু বলা হয়।
প্রশ্নঃ হালকা ধাতু কাকে বলে
উত্তরঃ ঘনত্ব কম (প্রায় ৫ গ্রাম/সেমি³ এর কম) ধাতু হলো হালকা ধাতু।
প্রশ্নঃ মুদ্রা ধাতু কাকে বলে
উত্তরঃ সহজে মরিচা ধরে না এবং মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত ধাতুকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
প্রশ্নঃ ধাতু কেমন আকারের হয়
উত্তরঃ সাধারণত কঠিন এবং চকচকে।
প্রশ্নঃ ধাতু কিভাবে বিদ্যুৎ পরিবাহন করে
উত্তরঃ ধাতুর মুক্ত ইলেকট্রন বিদ্যুৎ পরিবাহনের মাধ্যমে শক্তি স্থানান্তর করে।
প্রশ্নঃ ধাতু কিভাবে তাপ পরিবাহন করে
উত্তরঃ ধাতুর আণবিক কণাগুলো দোলন করে তাপ পরিবাহন করে।
প্রশ্নঃ ধাতু কি নমনীয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, ধাতু পিটিয়ে পাত বানানো যায় এবং টেনে তার তৈরি করা যায়।
প্রশ্নঃ ধাতুর রঙ কেমন হয়
উত্তরঃ প্রায়শই ধাতুর রঙ ধূসর-চকচকে, তবে সোনা হলুদ, তামা লালচে।
প্রশ্নঃ ধাতুর ঘনত্ব কেমন হয়
উত্তরঃ সাধারণত ধাতুর ঘনত্ব অন্যান্য পদার্থের তুলনায় বেশি।
প্রশ্নঃ ধাতুর শক্তি কেমন
উত্তরঃ অবস্থান্তর ধাতু শক্ত এবং ভারী, ক্ষার ধাতু নরম।
প্রশ্নঃ ধাতু কোন অবস্থায় থাকে
উত্তরঃ অধিকাংশ ধাতু কঠিন অবস্থায় থাকে, কেবল পারদ (Hg) তরল।
প্রশ্নঃ ধাতুর ব্যবহার কোথায়
উত্তরঃ ধাতু ব্যবহার হয় নির্মাণ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, অলঙ্কার, মুদ্রা ইত্যাদিতে।
প্রশ্নঃ ধাতু অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কেন
উত্তরঃ ধাতুর বাইরের ইলেকট্রন অন্য অণুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে অক্সাইড তৈরি করে।
প্রশ্নঃ ধাতু কি জারণ হয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, কিছু ধাতু যেমন লোহা আর্দ্র পরিবেশে জারণ বা মরিচা ধরে।
প্রশ্নঃ ধাতু কি সহজে গলে
উত্তরঃ হ্যাঁ, উচ্চ তাপে বেশিরভাগ ধাতু গলে যায়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি স্থায়ী
উত্তরঃ অভিজাত ধাতু যেমন সোনা স্থায়ী, ক্ষার ও মৃৎক্ষার ধাতু তুলনামূলক কম স্থায়ী।
প্রশ্নঃ ধাতু কি যান্ত্রিক শক্তি দেয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, ধাতু যন্ত্রাংশ ও কাঠামোতে শক্তি প্রদান করে।
প্রশ্নঃ ধাতু কি সংকর ধাতু তৈরি করতে পারে
উত্তরঃ হ্যাঁ, ধাতু একাধিক ধাতুর সাথে মিশিয়ে সংকর ধাতু তৈরি করা যায়।
প্রশ্নঃ ধাতুর জন্য আলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ
উত্তরঃ ধাতু নিজেই আলো দেয় না, তবে চকচকে হওয়ায় আলো প্রতিফলিত করে।
প্রশ্নঃ ধাতু কিভাবে সংরক্ষণ করা যায়
উত্তরঃ অক্সিজেন ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখলে ধাতু দীর্ঘস্থায়ী থাকে।
প্রশ্নঃ ধাতু কি দহন হয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, কিছু ধাতু উচ্চ তাপে দগ্ধ বা গলে যায়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে ব্যবহার হয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, ধাতু যেমন তামা, অ্যালুমিনিয়াম বৈদ্যুতিক পরিবাহক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি রাসায়নিকভাবে সক্রিয়
উত্তরঃ ক্ষার ধাতু অত্যন্ত সক্রিয়, অভিজাত ধাতু কম সক্রিয়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, যেমন লোহা, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক মানবদেহে প্রয়োজনীয়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে
উত্তরঃ অধিকাংশ ধাতু উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।
প্রশ্নঃ ধাতু কি আর্দ্র পরিবেশে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, লোহা আর্দ্র পরিবেশে মরিচা ধরে।
প্রশ্নঃ ধাতুর গুণগত মান কিভাবে যাচাই করা যায়
উত্তরঃ ঘনত্ব, কঠোরতা, চকচক এবং বিক্রিয়াশীলতা পরীক্ষা করে যাচাই করা যায়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি পুনর্ব্যবহারযোগ্য
উত্তরঃ হ্যাঁ, ধাতু গলে পুনর্ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রে ব্যবহার হয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, ধাতু যেমন প্লাটিনাম, তামা, জিঙ্ক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ ধাতুর জন্য পরিবেশগত প্রভাব কী
উত্তরঃ ধাতু উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় পরিবেশ দূষণ হতে পারে।
প্রশ্নঃ ধাতুর ক্ষতি কীভাবে রোধ করা যায়
উত্তরঃ সংরক্ষণ, লেপ বা আর্দ্রতা ও অক্সিজেন থেকে দূরে রাখলে ক্ষতি কম হয়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি খাদ্য সরবরাহে ব্যবহার হয়
উত্তরঃ সরাসরি নয়, তবে খাদ্য তৈরির যন্ত্রে নিরাপদ ধাতু ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি জারণ প্রতিরোধী হতে পারে
উত্তরঃ হ্যাঁ, অভিজাত ধাতু ও সংকর ধাতু জারণ প্রতিরোধী।
প্রশ্নঃ ধাতুর রঙ পরিবর্তন সম্ভব কি
উত্তরঃ হ্যাঁ, সংকর ধাতু বা লেপ দিয়ে রঙ পরিবর্তন করা যায়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি নরম বা শক্ত
উত্তরঃ ক্ষার ধাতু নরম, অবস্থান্তর ধাতু শক্ত এবং ভারী।
প্রশ্নঃ ধাতু কি পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী
উত্তরঃ অভিজাত ধাতু দীর্ঘস্থায়ী, ক্ষার ও মৃৎক্ষার ধাতু তুলনামূলক কম স্থায়ী।
প্রশ্নঃ ধাতু কি শিল্পে ব্যবহৃত হয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, নির্মাণ, যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও বৈদ্যুতিক শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান
উত্তরঃ হ্যাঁ, লোহা, তামা, সোনা প্রাকৃতিকভাবে খনিজ আকারে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ ধাতু কি alloy বা সংকর ধাতু তৈরি করতে পারে
উত্তরঃ হ্যাঁ, ধাতুর বিভিন্ন মিশ্রণ দিয়ে alloy তৈরি হয়, যেমন ব্রোঞ্জ ও পিতল।
প্রশ্নঃ ধাতু কেন মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
উত্তরঃ ধাতু দৈনন্দিন জীবন, প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও শিল্পে অপরিহার্য।
প্রশ্নঃ ধাতু কি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহৃত হয়
উত্তরঃ হ্যাঁ, ধাতু যেমন প্লাটিনাম, জিঙ্ক, তামা গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।