গ্রহ কি | গ্রহ কাকে বলে | গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য কি
গ্রহ মহাবিশ্বের এক অন্যতম বিস্ময়কর উপাদান, যা মানুষের কৌতূহলকে যুগ যুগ ধরে আলোড়িত করে আসছে। আমাদের চারপাশে অসংখ্য নক্ষত্র, গ্যালাক্সি ও মহাজাগতিক বস্তু থাকলেও গ্রহ এক ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের জন্য আলাদা করে পরিচিত। গ্রহ বলতে আমরা এমন এক বিশাল আকাশগঙ্গার দেহকে বুঝি যা নিজস্ব আলো উৎপাদন করতে পারে না, বরং সূর্য বা অন্য নক্ষত্রের আলো প্রতিফলিত করে জ্বলে ওঠে। এগুলো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে থাকে এবং নিজেদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে প্রায় গোলাকার আকার ধারণ করে। পৃথিবীও একটি গ্রহ, যার জন্য আমরা জীবন, প্রকৃতি এবং পরিবেশকে দেখতে পাই।
গ্রহকে নিয়ে প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত মানুষের গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। একসময় মানুষ ভাবত পৃথিবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্র, কিন্তু বিজ্ঞান অগ্রগতির ফলে জানা গেছে সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীসহ আরও অনেক গ্রহ ঘুরছে। সৌরজগতে মোট আটটি গ্রহ রয়েছে—বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। প্রতিটি গ্রহের নিজস্ব গঠন, আকার, গতি, জলবায়ু ও ভৌত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এদের কেউ গ্যাসীয়, কেউ আবার শিলাময় গঠনের। মহাবিশ্বে আমাদের সৌরজগত ছাড়াও অসংখ্য নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আরও অসংখ্য গ্রহ বা এক্সোপ্ল্যানেট ঘুরছে, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
গ্রহ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা কেবল মহাবিশ্বের রহস্যই উন্মোচন করি না, বরং আমাদের অস্তিত্ব, ভবিষ্যৎ এবং মহাকাশে জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কেও গভীর ধারণা লাভ করি। তাই গ্রহ নিয়ে আলোচনা করা মানে শুধু জ্যোতির্বিজ্ঞান নয়, বরং মানব সভ্যতার কৌতূহল, জ্ঞান ও বিজ্ঞানচর্চার অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
গ্রহ কি
গ্রহ হলো এমন একটি মহাজাগতিক বস্তু, যা কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে থাকে এবং নিজস্ব আলো তৈরি করতে পারে না। এটি নক্ষত্রের আলো প্রতিফলিত করে দৃশ্যমান হয়। গ্রহের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো নিজস্ব মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এগুলো প্রায় গোলাকার আকৃতি ধারণ করে এবং আশেপাশের ছোটখাটো বস্তু ও ধূলিকণা কক্ষপথ থেকে পরিষ্কার করে ফেলে।
সহজভাবে বলতে গেলে, সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান আটটি প্রধান গ্রহ আছে—বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। এদের মধ্যে কিছু শিলাময় (যেমন পৃথিবী ও মঙ্গল), আবার কিছু গ্যাসীয় (যেমন বৃহস্পতি ও শনি)।
গ্রহ কাকে বলে
গ্রহ কাকে বলে তা সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এভাবে যে সকল মহাজাগতিক বস্তু কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে, নিজের আলো উৎপন্ন করতে পারে না, কিন্তু নক্ষত্রের আলো প্রতিফলিত করে দৃশ্যমান হয়, তাদেরকে গ্রহ বলে।
গ্রহের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো
-
এগুলো গোলাকার আকৃতির হয় কারণ নিজের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা আকৃতি ধারণ করে।
-
নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে স্থায়ী কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে।
-
আশেপাশের ছোট বস্তু বা ধূলিকণা কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেয়।
সবুজ গ্রহ বলা হয় কাকে
কারণ পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা, বনভূমি ও সবুজ প্রকৃতি বিদ্যমান, যা মহাকাশ থেকেও স্পষ্টভাবে সবুজাভ রঙে দৃশ্যমান হয়। পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেখানে জল, বাতাস, মাটি ও জীবনের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। এই সবুজ প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের কারণে পৃথিবীকে ভালোবেসে "সবুজ গ্রহ" বলা হয়।
গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য কি
মহাবিশ্বে অসংখ্য মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যে গ্রহ ও উপগ্রহ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও মৌলিক দিক থেকে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। মানব সভ্যতার প্রাচীনকাল থেকেই গ্রহ ও উপগ্রহ নিয়ে গবেষণা হয়েছে, আর আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সেই গবেষণাকে আরও বিস্তৃত করেছে।
গ্রহ হলো এমন একটি মহাজাগতিক বস্তু, যা কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। গ্রহের নিজস্ব আলো নেই, তবে এটি নক্ষত্রের আলো প্রতিফলিত করে দৃশ্যমান হয়। গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই শক্তিশালী যে এটি প্রায় গোলাকার আকার ধারণ করে এবং আশেপাশের ছোট বস্তুকে সরিয়ে তার কক্ষপথ পরিষ্কার রাখে। যেমন পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি। আর উপগ্রহ হলো এমন একটি মহাজাগতিক বস্তু, যা কোনো গ্রহকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এদেরও নিজস্ব আলো নেই; সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে দৃশ্যমান হয়। উপগ্রহ মূলত গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে কক্ষপথে আবদ্ধ থাকে। পৃথিবীর চাঁদ, বৃহস্পতির গ্যানিমিড, শনি গ্রহের টাইটান এর উদাহরণ।
গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে মূল পার্থক্য
-
গ্রহ নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘোরে, আর উপগ্রহ গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
-
গ্রহের সংখ্যা সীমিত, তবে উপগ্রহের সংখ্যা অনেক বেশি।
-
গ্রহের নিজস্ব মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা আশেপাশের বস্তু সরিয়ে দেয়, কিন্তু উপগ্রহ এ ক্ষমতা রাখে না।
-
গ্রহের মধ্যে পৃথিবীর মতো জীবনধারণের সম্ভাবনা থাকতে পারে, কিন্তু উপগ্রহ সাধারণত গ্রহের ওপর নির্ভরশীল।
সব মিলিয়ে বলা যায়, গ্রহ মহাবিশ্বের প্রধান দেহগুলোর একটি আর উপগ্রহ হলো তাদের সহযোগী সঙ্গী। এদের পারস্পরিক সম্পর্কই মহাজাগতিক ভারসাম্য রক্ষা করে এবং আমাদের মহাবিশ্বকে আরও রহস্যময় ও বিস্ময়কর করে তোলে।
সবচেয়ে বড় গ্রহের নাম কি
সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহের নাম হলো বৃহস্পতি (Jupiter)।
বৃহস্পতির বৈশিষ্ট্য:
-
এটি একটি গ্যাসীয় গ্রহ।
-
এর আকার পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বড়।
-
ভরের দিক থেকে সৌরজগতের সব গ্রহ মিলিয়ে যে ভর হয়, তার দ্বিগুণেরও বেশি ভর একাই বৃহস্পতির।
-
এতে ৭০টিরও বেশি উপগ্রহ রয়েছে, যার মধ্যে ইউরোপা, গ্যানিমিড, ক্যালিস্টো উল্লেখযোগ্য।
বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহ কয়টি
বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ এবং এর উপগ্রহও সবচেয়ে বেশি। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতির ৯৫টি উপগ্রহ রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো ছোট ও অনিয়মিত আকৃতির।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপগ্রহগুলো হলো
-
আইও (Io) – আগ্নেয়গিরিময় উপগ্রহ।
-
ইউরোপা (Europa) – বরফে আচ্ছাদিত, জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে সবচেয়ে আলোচিত।
-
গ্যানিমিড (Ganymede) – সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ।
-
ক্যালিস্টো (Callisto) – প্রাচীন গহ্বরপূর্ণ উপগ্রহ।
👉 এদের চারটিকে "গ্যালিলিয়ান উপগ্রহ" বলা হয়, যা গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন।
পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি
পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ হলো শুক্র (Venus)।
শুক্রকে পৃথিবীর "যমজ গ্রহ"ও বলা হয়, কারণ এর আকার, ভর ও গঠন অনেকটা পৃথিবীর মতো। এটি সূর্য থেকে দ্বিতীয় গ্রহ এবং পৃথিবীর পাশেই অবস্থান করছে। যদিও শুক্রের ঘন বায়ুমণ্ডল, প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের আধিক্যের কারণে সেখানে জীবনের অস্তিত্ব অসম্ভব।
শুক্র গ্রহের অপর নাম কি
শুক্র গ্রহের অপর নাম হলো ভেনাস (Venus)।
এছাড়া একে আরও কয়েকটি নামে ডাকা হয়
-
ভোরের তারা (Morning Star)
-
সন্ধ্যার তারা (Evening Star)
কারণ সূর্য ওঠার আগে ও সূর্য ডোবার পর আকাশে শুক্রকে উজ্জ্বলভাবে দেখা যায়। সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতার কারণে রোমান পুরাণে প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসের নামানুসারে এ গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে।
শনি গ্রহের উপগ্রহ কয়টি
শনি গ্রহের বর্তমানে জানা উপগ্রহের সংখ্যা হলো ৮৩টি।
এই উপগ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হলো
-
টাইটান (Titan) – শনি গ্রহের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ, ঘন বায়ুমণ্ডলযুক্ত।
-
রেয়া (Rhea)
-
ইয়াপেটাস (Iapetus)
-
ডায়োনে (Dione)
-
মিমাস (Mimas)
শনি গ্রহের উপগ্রহগুলো বিভিন্ন আকার, গঠন ও কক্ষপথে অবস্থান করে। টাইটান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর ঘন বায়ুমণ্ডল এবং সম্ভাব্য প্রাকৃতিক রসায়ন জীবন সম্পর্কিত গবেষণায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
গ্রহ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ গ্রহ কী?
উত্তরঃ গ্রহ হলো একটি মহাজাগতিক বস্তুর নাম যা সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে এবং নিজস্ব আলো নেই।
প্রশ্নঃ গ্রহের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তরঃ গ্রহ সূর্য বা অন্য নক্ষত্রের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে, নিজের আলো নেই, যথেষ্ট ভর আছে এবং বৃত্তাকার আকৃতি রয়েছে।
প্রশ্নঃ সৌরজগতের কতটি গ্রহ আছে?
উত্তরঃ সৌরজগতের মোট ৮টি গ্রহ আছে।
প্রশ্নঃ সৌরজগতের প্রথম গ্রহ কোনটি?
উত্তরঃ সৌরজগতের প্রথম গ্রহ হলো বুধ।
প্রশ্নঃ বৃহস্পতিকে কেন সবচেয়ে বড় গ্রহ বলা হয়?
উত্তরঃ বৃহস্পতির ভর ও আয়তন সব গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, তাই এটি সবচেয়ে বড় গ্রহ।
প্রশ্নঃ শনি গ্রহের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ শনি গ্রহের চারপাশে সুন্দর এবং বিশাল রিং রয়েছে।
প্রশ্নঃ পৃথিবী গ্রহের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ পৃথিবী হলো জল ও বায়ুমণ্ডলযুক্ত গ্রহ যেখানে জীবন সম্ভব।
প্রশ্নঃ মঙ্গল গ্রহের রঙ কেন লাল?
উত্তরঃ মঙ্গলের পৃষ্ঠে লোহা অক্সাইড থাকার কারণে এটি লাল দেখায়।
প্রশ্নঃ শুক্র গ্রহকে ‘সন্ধ্যার গ্রহ’ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ শুক্র গ্রহ সূর্যাস্তের সময় আকাশে উজ্জ্বল দেখায়, তাই তাকে সন্ধ্যার গ্রহ বলা হয়।
প্রশ্নঃ বুধ গ্রহের আবহাওয়া কেমন?
উত্তরঃ বুধ গ্রহের আবহাওয়া খুবই উষ্ণ ও তীব্র, দিনের এবং রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান অনেক।
প্রশ্নঃ নেপচুন গ্রহের রঙ কেন নীল?
উত্তরঃ নেপচুন গ্রহের বায়ুমণ্ডলে মিথেন থাকার কারণে এটি নীল দেখায়।
প্রশ্নঃ ইউরেনাস গ্রহের অক্ষের ঢাল কত ডিগ্রি?
উত্তরঃ ইউরেনাসের অক্ষ প্রায় ৯৮ ডিগ্রি ঢালে রয়েছে।
প্রশ্নঃ গ্রহের কক্ষপথ কেমন হয়?
উত্তরঃ গ্রহের কক্ষপথ প্রায় বৃত্তাকার বা কিছুটা উপবৃত্তাকার।
প্রশ্নঃ গ্রহ কি নিজস্ব আলো উৎপন্ন করতে পারে?
উত্তরঃ গ্রহ নিজের আলো উৎপন্ন করতে পারে না, তারা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে।
প্রশ্নঃ বৃহস্পতির কতটি উপগ্রহ আছে?
উত্তরঃ বৃহস্পতির প্রায় ৯৯টি উপগ্রহ আছে।
প্রশ্নঃ শনি গ্রহের কতটি চাঁদ আছে?
উত্তরঃ শনি গ্রহের প্রায় ১৪২টি চাঁদ আছে।
প্রশ্নঃ মঙ্গল গ্রহে কি পানি আছে?
উত্তরঃ মঙ্গল গ্রহে বরফ আকারে পানি রয়েছে।
প্রশ্নঃ গ্রহের ঘূর্ণন কী বোঝায়?
উত্তরঃ গ্রহের ঘূর্ণন হলো তার নিজ অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণনের প্রক্রিয়া।
প্রশ্নঃ গ্রহের আবহাওয়া কি সমান থাকে?
উত্তরঃ না, গ্রহের আবহাওয়া গ্রহ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
প্রশ্নঃ গ্রহের আকৃতি কেমন হয়?
উত্তরঃ গ্রহ সাধারণত প্রায় বৃত্তাকার বা গোলাকার আকারের।
প্রশ্নঃ শুক্র গ্রহ পৃথিবীর সাথে কি মাত্রায় তুলনীয়?
উত্তরঃ শুক্র গ্রহের আয়তন ও মাটি প্রায় পৃথিবীর সমান।
প্রশ্নঃ নেপচুনের বায়ুমণ্ডলে প্রধান উপাদান কী?
উত্তরঃ হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন।
প্রশ্নঃ বুধ গ্রহের ঘূর্ণন সময় কত?
উত্তরঃ প্রায় ৫৮.৬ দিন।
প্রশ্নঃ মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়ার মূল উপাদান কী?
উত্তরঃ কার্বন ডাইঅক্সাইড।
প্রশ্নঃ বৃহস্পতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ বৃহস্পতিতে ‘গ্রেট রেড স্পট’ নামে একটি বিশাল ঝড় রয়েছে।
প্রশ্নঃ ইউরেনাস গ্রহের বিশেষত্ব কী?
উত্তরঃ ইউরেনাস গ্রহের অক্ষ প্রায় শয্যা অবস্থায় থাকে।
প্রশ্নঃ পৃথিবী গ্রহে জীবন কেমনভাবে সম্ভব?
উত্তরঃ মৃদু তাপমাত্রা, পানি, বায়ুমণ্ডল এবং সূর্যের আলো জীবনকে সম্ভব করেছে।
প্রশ্নঃ গ্রহ সূর্যের চারপাশে কিভাবে ঘোরে?
উত্তরঃ গ্রহ তার কক্ষপথ ধরে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে।
প্রশ্নঃ গ্রহের গতি কি সমান থাকে?
উত্তরঃ না, গ্রহের কক্ষপথে গতি তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
প্রশ্নঃ বৃহস্পতির চাঁদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কোনটি?
উত্তরঃ গ্যানিমিড।
প্রশ্নঃ শনি গ্রহের রিং কি দিয়ে গঠিত?
উত্তরঃ বরফ ও ধূলিকণার দ্বারা।
প্রশ্নঃ মঙ্গল গ্রহের দুই প্রধান উপগ্রহের নাম কী?
উত্তরঃ ফোবোস এবং ডাইমোস।
প্রশ্নঃ নেপচুন গ্রহ সূর্য থেকে কত দূরে?
উত্তরঃ প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন কিলোমিটার।
প্রশ্নঃ ইউরেনাস গ্রহের আবহাওয়া কেমন?
উত্তরঃ খুব ঠান্ডা, প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন নিয়ে গঠিত।
প্রশ্নঃ বুধ গ্রহ সূর্যের কত দূরে?
উত্তরঃ প্রায় ৫৮ মিলিয়ন কিলোমিটার।
প্রশ্নঃ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কী?
উত্তরঃ নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন।
প্রশ্নঃ গ্রহের রূপের পরিবর্তন হয় কি?
উত্তরঃ না, গ্রহের আকার সাধারণত ধ্রুবক থাকে।
প্রশ্নঃ শুক্র গ্রহে কি কোনো চাঁদ আছে?
উত্তরঃ না, শুক্র গ্রহের কোনো চাঁদ নেই।
প্রশ্নঃ মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা কত পর্যন্ত ওঠে বা নেমে যায়?
উত্তরঃ দিনের তাপমাত্রা প্রায় ২০ °C পর্যন্ত, রাতের তাপমাত্রা -۱۴০ °C পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ বৃহস্পতির আবহাওয়া কেমন?
উত্তরঃ প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম, সঙ্গে ঝড় এবং বাতাসের প্রাচুর্য।
প্রশ্নঃ শনি গ্রহের আবহাওয়া কেমন?
উত্তরঃ হালকা নীল এবং বাদামী মিশ্রণ, প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম।
প্রশ্নঃ নেপচুন গ্রহের ঘূর্ণন সময় কত?
উত্তরঃ প্রায় ১৬.১১ ঘণ্টা।
প্রশ্নঃ ইউরেনাস গ্রহ সূর্য থেকে কত দূরে?
উত্তরঃ প্রায় ২.৮ বিলিয়ন কিলোমিটার।
প্রশ্নঃ গ্রহের উষ্ণতা কীভাবে প্রভাবিত হয়?
উত্তরঃ সূর্যের দূরত্ব, বায়ুমণ্ডল এবং পৃষ্ঠের গঠন দ্বারা।
প্রশ্নঃ পৃথিবীর চাঁদকে গ্রহ বলা যায় কি?
উত্তরঃ না, পৃথিবীর চাঁদ একটি উপগ্রহ।
প্রশ্নঃ সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ কোনটি?
উত্তরঃ বৃহস্পতি।
প্রশ্নঃ সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ কোনটি?
উত্তরঃ বুধ।
প্রশ্নঃ গ্রহের আবহাওয়ার প্রধান উপাদানগুলো কী?
উত্তরঃ গ্রহ অনুযায়ী হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ গ্রহ ও উপগ্রহের পার্থক্য কী?
উত্তরঃ গ্রহ সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে, উপগ্রহ গ্রহের চারপাশে।
প্রশ্নঃ গ্রহকে বিজ্ঞানীরা কিভাবে চিহ্নিত করে?
উত্তরঃ কক্ষপথ, আকার, ভর, রঙ এবং আবহাওয়া দিয়ে।
প্রশ্নঃ সৌরজগতের সব গ্রহের তালিকা কী?
উত্তরঃ বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন।
প্রশ্নঃ গ্রহে জীবন থাকা সম্ভব কি সব গ্রহে?
উত্তরঃ না, পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহে জীবন পাওয়া যায়নি।
প্রশ্নঃ গ্রহের আবিষ্কার কবে শুরু হয়েছিল?
উত্তরঃ প্রাচীনকাল থেকে গ্রহ পর্যবেক্ষণ শুরু হয়, আধুনিক আবিষ্কার টেলিস্কোপের মাধ্যমে।
প্রশ্নঃ সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘূর্ণন দ্রুত কোনটি?
উত্তরঃ বৃহস্পতি, প্রায় ১০ ঘণ্টায় একবার ঘূর্ণন করে।
প্রশ্নঃ গ্রহের গবেষণা কীভাবে করা হয়?
উত্তরঃ দূরবীণ, টেলিস্কোপ, মহাকাশযান ও রোবোটিক মিশন দ্বারা।