গণতন্ত্র কি | গণতন্ত্র কাকে বলে | মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলো কি

গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রের ক্ষমতা সরাসরি জনগণের হাতে থাকে। এটি মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মতামত, ভোটাধিকার এবং অংশগ্রহণের সুযোগ সংরক্ষিত থাকে। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনশৃঙ্খলা। এই প্রক্রিয়ায় সরকার জনগণের চাহিদা ও সমস্যার প্রতি সচেতন থাকে, যাতে ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে সমাজ পরিচালিত হয়। গণতন্ত্র কেবল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মানদণ্ডও, যা নাগরিকদের স্বাধীন চিন্তা, বিতর্ক এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করে। এটি সমাজকে সংহত রাখে এবং রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণে জনগণের শক্তিশালী ভূমিকা প্রতিফলিত করে।

গণতন্ত্র কি, গণতন্ত্র কাকে বলে, মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলো কি

গণতন্ত্র কি

গণতন্ত্র হলো একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে ক্ষমতার মূল উৎস জনগণ। এখানে রাষ্ট্রের নীতি ও সিদ্ধান্ত প্রণয়নে প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত থাকে। ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমতার অধিকার এবং আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। অর্থাৎ, জনগণ নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে সরকার পরিচালনা করে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

গণতন্ত্র কাকে বলে

গণতন্ত্র বলতে এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে রাষ্ট্রের ক্ষমতা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জনগণের হাতে থাকে। এখানে নাগরিকরা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে সরকার গঠন করে এবং দেশের নীতি-নির্ধারণে অংশগ্রহণ করে। গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া এবং ন্যায় ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করা।

গণতন্ত্র বলতে কি বুঝায়

গণতন্ত্র বলতে বোঝায় এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণই রাষ্ট্রের প্রকৃত কর্ত্তা। এতে নাগরিকরা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে, সরকারের নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করে এবং দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখে। গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য হলো সমতা, ন্যায়, স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করা।

গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য কি

গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করা, সমাজে সমতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এটি সরকারকে জনগণের প্রতি জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বাধ্য করে, যাতে নীতি-নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সকলের সমান সুযোগ থাকে।

গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ কি কি

গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ হলো সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুসংগঠিত ও ন্যায়সম্মতভাবে পরিচালনার মূল ভিত্তি। বিচারব্যবস্থা, আইনসভা, কার্যনির্বাহী শাখা এবং সংবাদমাধ্যম ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করে রাষ্ট্রকে স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং সমতাভিত্তিক রাখে। এই স্তম্ভগুলোই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও কার্যকর করে।

বিচারব্যবস্থা: এটি একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, যা আইন অনুযায়ী বিচার প্রদান করে। এটি গণতন্ত্রকে ন্যায় এবং আইনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।

বিধানসভা বা আইনসভা: এখানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দেশের আইন প্রণয়ন এবং নীতি নির্ধারণ করে। এটি জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারণে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।

কার্যনির্বাহী শাখা: সরকার ও প্রশাসন নীতি বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ করে। এটি দেশের নিয়মিত প্রশাসনিক কার্যক্রম চালায় এবং জনকল্যাণমূলক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।

সংবাদমাধ্যম ও জনগণ: স্বাধীন সংবাদমাধ্যম তথ্য সরবরাহ করে এবং সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতি নজর রাখে। সক্রিয় নাগরিকরা মতপ্রকাশ ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এই চারটি স্তম্ভ একসঙ্গে কাজ করলে গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য সমতা, ন্যায় ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা সফল হয়।

ইসলামে গণতন্ত্র জায়েজ কি

ইসলামে গণতন্ত্রের কিছু দিক সীমাবদ্ধ। ইসলামে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি আল্লাহ ও তাঁর নবী সনের ওপর ভিত্তি করে। জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যায়, তবে এটি আল্লাহর বিধি ও ইসলামের মূল আইন (শরিয়াহ) লঙ্ঘন করতে পারবে না। তাই ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে গণতন্ত্র তখনই জায়েজ যখন এটি ইসলামের ন্যায় ও নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

গণতন্ত্রের জনক কে

গণতন্ত্রের জনক হিসেবে সাধারণত প্রাচীন গ্রিসের তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক নেতা ক্লেইসথেনেসকে উল্লেখ করা হয়। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে এথেন্সে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেন। এছাড়া আধুনিক গণতন্ত্রের ধারায় জন লক এবং জঁ জ্যাক রুসো-র তত্ত্বও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যারা মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা এবং শাসন ব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণের ধারণা প্রচলিত করেন।

আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে

আধুনিক গণতন্ত্রের জনক হিসেবে সাধারণত জন লক-কে ধরা হয়। তিনি ১৭শ শতকে মানুষের স্বাভাবিক অধিকার, স্বাধীনতা ও সরকারের প্রতি জনগণের অংশগ্রহণের ধারণা প্রচলিত করেন। তার রাজনৈতিক তত্ত্ব অনুযায়ী, সরকার জনগণের প্রতিনিধি এবং জনগণের অধিকার রক্ষা করার জন্যই গঠিত, যা আধুনিক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।

সংসদীয় গণতন্ত্রের জনক কে

সংসদীয় গণতন্ত্রের জনক হিসেবে সাধারণত উইলিয়াম পিট দ্য ইয়ঙ্গার বা ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি ব্যবস্থার উদ্ভাবকদের কথাই উল্লেখ করা হয়। তবে মূল ধারায় এটিকে আধুনিক সময়ে ব্রিটিশ সংসদীয় ব্যবস্থা-এর উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, যেখানে সরকার সংসদের প্রতি জবাবদিহি রাখে এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলা হয় কাকে

গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলা হয় আব্রাহাম লিঙ্কন-কে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতার আদর্শ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে দাসপ্রথা abolition করা হয় এবং “প্রজাতন্ত্রের জন্য জনগণ, জনগণের দ্বারা, জনগণের অধিকার” এই নীতিকে সুসংহত করা হয়।

মৌলিক গণতন্ত্র কি

মৌলিক গণতন্ত্র হলো এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে ক্ষমতা সরাসরি জনগণের হাতে থাকে। এখানে নাগরিকরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করে, প্রতিনিধি নির্বাচনের পরিবর্তে নিজেই নীতি ও ন্যায় সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণ করে। এটি সাধারণত ছোট সমাজ বা গ্রামাঞ্চলে প্রয়োগ হয়, যেখানে জনগণ সবাই মিলিত হয়ে স্বচ্ছ ও সমতাভিত্তিকভাবে রাষ্ট্র বা সমাজ পরিচালনা করে।

মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝায়

মৌলিক গণতন্ত্র বলতে বোঝায় এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরাসরি সরকারের নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করে। এখানে প্রতিনিধি নির্বাচন বা মধ্যস্থতার পরিবর্তে নাগরিকরা নিজে মিলিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারণ করে। এটি সাধারণত ছোট বা স্থানীয় সমাজে কার্যকর হয়, যেখানে স্বচ্ছতা, সমতা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।

মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলো কি

মৌলিক গণতন্ত্র হলো সেই শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরাসরি রাষ্ট্র বা সমাজের নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করে। এটি সাধারণত ছোট বা স্থানীয় সমাজে প্রয়োগ করা হয়, যেখানে জনগণ মিলিত হয়ে নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সরকারি কার্যক্রমের ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রাখে।

বৈশিষ্ট্যগুলো

সরাসরি অংশগ্রহণ: নাগরিকরা প্রতিনিধি নির্বাচন না করে নিজেই নীতি, সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণে অংশ নেয়।

স্বচ্ছতা: প্রশাসন ও নীতি নির্ধারণের সব কার্যক্রম সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে, যাতে কোনো গোপনীয়তা বা অনিয়ম না ঘটে।

সমতা: সকল নাগরিকের মতামত সমানভাবে গুরুত্ব পায়, কোনো ভেদাভেদ বা অসমতা থাকে না।

সাধারণতা ও সহজতা: নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজভাবে পরিচালিত হয়, যাতে সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করতে পারে।

স্থানীয় ও ছোটপরিসর: মৌলিক গণতন্ত্র মূলত গ্রাম বা ছোট সম্প্রদায়ে কার্যকর হয়, যেখানে জনগণ সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।

জবাবদিহিতা: সমস্ত সিদ্ধান্তে জনগণ দায়িত্বশীল থাকে এবং প্রশাসন বা নিয়ম প্রণেতাদের প্রতি সরাসরি জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়।

মৌলিক গণতন্ত্র জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও সমতার মাধ্যমে সমাজকে ন্যায়সংগত ও কার্যকরভাবে পরিচালিত করে।

মৌলিক গণতন্ত্র কে প্রবর্তন করেন

মৌলিক গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান। তিনি ১৯৭০-এর দশকে বাংলাদেশের গ্রাম ও স্থানীয় স্তরে সরাসরি জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এই শাসনব্যবস্থার ধারণা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধুর এই প্রচেষ্টা ছিল জনগণের ক্ষমতা বিস্তার এবং ন্যায়, স্বচ্ছতা ও সমতার ভিত্তিতে সমাজ পরিচালনার উদ্দেশ্যে।

মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ কে জারি করেন

মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ ১৯৭৭ সালে জারি করেন জিয়াউর রহমান। তিনি বাংলাদেশের গ্রামীন ও স্থানীয় স্তরে সরাসরি জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই অধ্যাদেশ প্রবর্তন করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল গ্রামে মানুষকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় করে সমাজ ও প্রশাসনকে আরও স্বচ্ছ, সমতাভিত্তিক ও জবাবদিহি মূলক করে তোলা।

তবে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আয়ুব খান ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাঁর শাসনামলে পাকিস্তানে “মধ্যবর্তী গণতন্ত্র” বা Basic Democracies ব্যবস্থা চালু হয়েছিল, যা মৌলিক গণতন্ত্রের মতো গ্রামীণ অংশগ্রহণের ওপর জোর দিত। তবে এটি ছিল সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র, যেখানে সাধারণ জনগণের সরাসরি ক্ষমতা সীমিত ছিল।

গণতন্ত্র সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্নঃ গণতন্ত্র কি
উত্তরঃ গণতন্ত্র হলো একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে ক্ষমতার উৎস জনগণ এবং তারা ভোটের মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্র কাকে বলে
উত্তরঃ গণতন্ত্র বলতে বোঝায় এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরকার গঠনে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য কি
উত্তরঃ গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো সমতা, ন্যায়, স্বচ্ছতা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ কি কি
উত্তরঃ বিচারব্যবস্থা, আইনসভা, কার্যনির্বাহী শাখা এবং সংবাদমাধ্যম ও জনগণ।

প্রশ্নঃ মৌলিক গণতন্ত্র কি
উত্তরঃ মৌলিক গণতন্ত্র হলো এমন শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরাসরি সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেয়।

প্রশ্নঃ মৌলিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য কি কি
উত্তরঃ সরাসরি অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, সমতা, সাধারণতা, স্থানীয় প্রয়োগ এবং জবাবদিহিতা।

প্রশ্নঃ মৌলিক গণতন্ত্রকে প্রবর্তন করেন কে
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রশ্নঃ মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ জারি করেন কে
উত্তরঃ জিয়াউর রহমান।

প্রশ্নঃ ইসলাম কি গণতন্ত্রকে অনুমোদন করে
উত্তরঃ ইসলাম গণতন্ত্রের কিছু দিককে অনুমোদন করে যদি তা ইসলামের ন্যায় ও শরিয়াহর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

প্রশ্নঃ আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে
উত্তরঃ জন লক।

প্রশ্নঃ সংসদীয় গণতন্ত্রের জনক কে
উত্তরঃ ব্রিটিশ সংসদীয় ব্যবস্থার উদ্ভাবকরা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের মানসপুত্র কে
উত্তরঃ আব্রাহাম লিঙ্কন।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের ধরন কত প্রকার
উত্তরঃ প্রধানত দুই ধরনের: সরাসরি গণতন্ত্র ও প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।

প্রশ্নঃ সরাসরি গণতন্ত্র কি
উত্তরঃ সরাসরি গণতন্ত্র হলো যেখানে জনগণ নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেয়।

প্রশ্নঃ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র কি
উত্তরঃ এতে জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচিত করে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতি নির্ধারণ করে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি কি
উত্তরঃ স্বাধীনতা, সমতা, ভোটাধিকার, ন্যায়, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের অপর নাম কি
উত্তরঃ লোকতন্ত্র।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্র ও তন্ত্রের পার্থক্য কি
উত্তরঃ গণতন্ত্রে ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে, তন্ত্রে একজন বা একটি গোষ্ঠীর হাতে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের ইতিহাস কোথায় শুরু হয়
উত্তরঃ প্রাচীন গ্রিসে, বিশেষত এথেন্সে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের জনক কে ছিলেন গ্রিসে
উত্তরঃ ক্লেইসথেনেস।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে ভোটাধিকার কাদের থাকে
উত্তরঃ সকল যোগ্য নাগরিকের।

প্রশ্নঃ ভোটাধিকার কাকে বলা হয়
উত্তরঃ নাগরিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকারকে ভোটাধিকার বলা হয়।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে সংবিধানের ভূমিকা কি
উত্তরঃ সংবিধান নাগরিকদের অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব নির্ধারণ করে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে বিচারব্যবস্থার ভূমিকা কি
উত্তরঃ ন্যায় নিশ্চিত করা এবং সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতি নজর রাখা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব কি
উত্তরঃ তথ্য সরবরাহ, সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত এবং মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে বিরোধী দল কেন প্রয়োজন
উত্তরঃ সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সমালোচনা করার জন্য।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি কি
উত্তরঃ জনগণের অংশগ্রহণ ও সমতার নীতি।

প্রশ্নঃ মৌলিক গণতন্ত্র কোন দেশে চালু হয়েছিল
উত্তরঃ বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে।

প্রশ্নঃ মৌলিক গণতন্ত্রের উদ্দেশ্য কি
উত্তরঃ স্থানীয় জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় করা।

প্রশ্নঃ মৌলিক গণতন্ত্র কবে চালু হয়
উত্তরঃ ১৯৭৭ সালে।

প্রশ্নঃ আয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্র কি ছিল
উত্তরঃ পাকিস্তানে গ্রামীণ স্তরে সীমিত গণতন্ত্র ব্যবস্থা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের সঙ্গে স্বাধীনতা কিভাবে সম্পর্কিত
উত্তরঃ গণতন্ত্র নিশ্চিত করে নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও নির্বাচনের স্বাধীনতা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের সঙ্গে সমতা কিভাবে সম্পর্কিত
উত্তরঃ গণতন্ত্রে সকল নাগরিকের ভোট ও মত সমানভাবে গণ্য হয়।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে ন্যায় কেন গুরুত্বপূর্ণ
উত্তরঃ যাতে সকলের অধিকার সুরক্ষিত হয় এবং সামাজিক অসাম্য কমে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্র ও অধিকারের সম্পর্ক কি
উত্তরঃ গণতন্ত্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্র কাকে শক্তিশালী করে
উত্তরঃ সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি দ্বারা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা কি
উত্তরঃ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান ও নীতি বাস্তবায়নে সমন্বয়কারী।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কি
উত্তরঃ কার্যনির্বাহী শাখার প্রধান এবং সরকারের নীতি বাস্তবায়ন।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে নাগরিকদের দায়িত্ব কি কি
উত্তরঃ ভোট প্রদান, আইন মেনে চলা এবং সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ
উত্তরঃ সচেতন ও শিক্ষিত নাগরিকই স্বচ্ছ ও কার্যকর গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে বিরোধী মতাদর্শের গুরুত্ব কি
উত্তরঃ এটি সরকারের কার্যক্রম সমালোচনা ও নীতি উন্নয়নে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে আইনশৃঙ্খলা কেন গুরুত্বপূর্ণ
উত্তরঃ যাতে সমাজে শান্তি বজায় থাকে এবং ন্যায় কার্যকর হয়।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত
উত্তরঃ মুক্ত, স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ থাকা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের সুবিধা কি কি
উত্তরঃ ন্যায়, সমতা, স্বচ্ছতা, নাগরিক অংশগ্রহণ এবং শান্তিপূর্ণ শাসন।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের অসুবিধা কি কি
উত্তরঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ধীর, জনগণের অজ্ঞতা বা বিভ্রান্তি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের মূল নীতি কি
উত্তরঃ জনগণের অংশগ্রহণ, সমতা, ন্যায়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্র ও ধর্মের সম্পর্ক কি
উত্তরঃ গণতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে, তবে ইসলামে অনুমোদনযোগ্য শর্তে সীমিত হতে পারে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্র কবে বিকশিত হয়েছিল
উত্তরঃ প্রাচীন গ্রিসে শুরু হলেও আধুনিক রূপ ১৭শ–১৮শ শতকে বিকশিত হয়।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রে জনগণের শক্তি কিভাবে প্রকাশ পায়
উত্তরঃ ভোট, নির্বাচিত প্রতিনিধি, মতপ্রকাশ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের স্থায়িত্বের জন্য কী প্রয়োজন
উত্তরঃ স্বচ্ছতা, আইনশৃঙ্খলা, সচেতন নাগরিক এবং শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের প্রকারভেদ কেমন
উত্তরঃ সরাসরি গণতন্ত্র, প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রপতীমুখী গণতন্ত্র।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের মূল চ্যালেঞ্জ কী কী
উত্তরঃ দুর্নীতি, অশিক্ষা, অশান্তি, ভোটের অসঙ্গতি ও রাজনৈতিক বিভাজন।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের সফল উদাহরণ কোন দেশগুলোতে
উত্তরঃ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি এবং ভারত।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের মূল শক্তি কী
উত্তরঃ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্র কাকে শক্তিশালী করে
উত্তরঃ ন্যায়, সমতা, স্বচ্ছতা এবং জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের লক্ষ্য কী
উত্তরঃ সমাজে শান্তি, সমতা, ন্যায় এবং সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করা।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্পর্ক কী
উত্তরঃ স্বচ্ছ ও জবাবদিহি সরকার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও সমতাভিত্তিক করে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের সঙ্গে সামাজিক ন্যায়ের সম্পর্ক কী
উত্তরঃ গণতন্ত্র সমাজে বৈষম্য কমায় এবং সকলকে সমান সুযোগ প্রদান করে।

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের মূল চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবিলা করা যায়
উত্তরঃ শিক্ষা, সচেতন নাগরিক, স্বচ্ছ নির্বাচন এবং শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান দিয়ে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url