full scren ads

বাংলাদেশ ডাক বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার পর থেকে এটি দেশের জনসাধারণের কাছে নির্ভরযোগ্য ডাক ও আর্থিক সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডাক বিভাগ এখন শুধুমাত্র চিঠিপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যম নয়, বরং ডিজিটাল আর্থিক সেবা, ই-কমার্স ডেলিভারি এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ চালুর মাধ্যমে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

বাংলাদেশ ডাক বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ সদর দপ্তর ঢাকার গুলিস্তানে, বাংলাদেশ জেনারেল পোস্ট অফিস (GPO) ভবনে অবস্থিত।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়?
উত্তরঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে মোট কয়টি ডাকঘর রয়েছে?
উত্তরঃ প্রায় ৯,৮৮৬টির বেশি ডাকঘর রয়েছে সারা দেশে।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ নাগরিকদের কাছে নির্ভরযোগ্য ডাক ও আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়া।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে প্রথম ডাকঘর কোথায় স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ ঢাকায় ব্রিটিশ আমলে প্রথম ডাকঘর স্থাপিত হয়।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের স্লোগান কী?
উত্তরঃ “সবার জন্য ডাক, সবার ঘরে ডাক”।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের লোগোতে কী চিহ্ন রয়েছে?
উত্তরঃ উড়ন্ত ঘোড়ার প্রতীক রয়েছে, যা দ্রুত সেবার প্রতীক।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের অধীনে কোন কোন সেবা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ চিঠি, পার্সেল, মানি অর্ডার, ইপোস্ট, ইএমটিএস, নগদ, ই-কমার্স ডেলিভারি ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ “নগদ” কী?
উত্তরঃ “নগদ” হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস।

প্রশ্নঃ “নগদ” সেবা কবে চালু হয়?
উত্তরঃ ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের আর্থিক সেবাগুলোর মধ্যে কী কী আছে?
উত্তরঃ পোস্টাল সেভিংস ব্যাংক, মানি অর্ডার, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস, নগদ ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে প্রথম ডাকটিকিট কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৭৩ সালে।

প্রশ্নঃ ডাকটিকিট কী?
উত্তরঃ ডাক সেবা ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত মূল্যের প্রতীক।

প্রশ্নঃ আন্তর্জাতিক ডাক ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ কবে যোগ দেয়?
উত্তরঃ ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ Universal Postal Union (UPU)-এর সদস্য হয়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ওয়েবসাইট কী?
উত্তরঃ www.bdpost.gov.bd

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক (DG) কে?
উত্তরঃ পদটি পরিবর্তনশীল; সর্বশেষ তথ্যের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখতে হয়।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের ইতিহাস কোন যুগ থেকে শুরু?
উত্তরঃ ব্রিটিশ আমল থেকে ডাক ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল উপমহাদেশে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধীনে কয়টি সার্কেল আছে?
উত্তরঃ বর্তমানে ৮টি সার্কেল রয়েছে।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের সদর দপ্তরের ইংরেজি নাম কী?
উত্তরঃ Bangladesh General Post Office (GPO)।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কতজন ডাক কর্মচারী কাজ করেন?
উত্তরঃ প্রায় ৪০,০০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে কর্মরত।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের মূল কাজ কী?
উত্তরঃ চিঠিপত্র, পার্সেল, মানি অর্ডার, সঞ্চয় ব্যাংক সেবা এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ডাক বিভাগের টেলিগ্রাফ সেবা কখন বন্ধ হয়?
উত্তরঃ ২০১০ সালের দিকে টেলিগ্রাফ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রশ্নঃ পোস্টাল কোড কী?
উত্তরঃ প্রতিটি ডাকঘরের নির্দিষ্ট সাংকেতিক সংখ্যা, যা ডাক বিতরণে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে পোস্টাল কোড কত অঙ্কের হয়?
উত্তরঃ ৪ অঙ্কের।

প্রশ্নঃ ঢাকা জিপিও’র পোস্টাল কোড কত?
উত্তরঃ ১০০০।

প্রশ্নঃ ইপোস্ট কী?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক উপায়ে চিঠি ও তথ্য আদান-প্রদানের সেবা।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কোন কোন আধুনিক সেবা চালু করেছে?
উত্তরঃ ইপোস্ট, ইএমটিএস, নগদ, ই-কমার্স পার্সেল ডেলিভারি, অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত?
উত্তরঃ Universal Postal Union (UPU)।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়?
উত্তরঃ ডাকঘর, উপ ডাকঘর, ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস এবং মোবাইল সেবা ব্যবস্থার মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের ভবনের নাম কী?
উত্তরঃ বাংলাদেশ জেনারেল পোস্ট অফিস (GPO) ভবন।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মিরপুর, ঢাকায়।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের আরেক নাম কী?
উত্তরঃ বাংলাদেশ পোস্টাল সার্ভিস (Bangladesh Postal Service)।

প্রশ্নঃ ডাকবিভাগের মূলমন্ত্র কী?
উত্তরঃ “দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও জনগণের সেবা”।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের মাধ্যমে কীভাবে টাকা পাঠানো যায়?
উত্তরঃ মানি অর্ডার বা ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের সঞ্চয় ব্যাংকের সুবিধা কী?
উত্তরঃ এটি সরকারি নিরাপদ সঞ্চয় ব্যবস্থার অংশ, যেখানে নির্দিষ্ট সুদে টাকা জমা রাখা যায়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ডাক বিভাগের কোন দিন পালন করা হয়?
উত্তরঃ প্রতি বছর ৯ অক্টোবর “বিশ্ব ডাক দিবস” পালন করা হয়।

প্রশ্নঃ বিশ্ব ডাক দিবস কবে থেকে পালিত হচ্ছে?
উত্তরঃ ১৯৬৯ সাল থেকে।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের আন্তর্জাতিক স্লোগান কী?
উত্তরঃ “Delivering Development”।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কী?
উত্তরঃ দেশের প্রতিটি নাগরিকের দোরগোড়ায় ডিজিটাল ডাক ও আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়া।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের ই-কমার্স ডেলিভারি সেবা কীভাবে কাজ করে?
উত্তরঃ অনলাইন অর্ডারের পণ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় ডাক বিভাগের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের ট্র্যাকিং সিস্টেম কী?
উত্তরঃ অনলাইনে প্রেরিত পার্সেল বা চিঠির অবস্থা জানতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের প্রতীক কবে নির্ধারিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে উড়ন্ত ঘোড়া নির্ধারণ করা হয়।

প্রশ্নঃ ডাক বিভাগের জাতীয় গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ এটি দেশের যোগাযোগ, আর্থিক লেনদেন ও ডিজিটাল সংযোগের মূল অবকাঠামো হিসেবে কাজ করছে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কী আছে?
উত্তরঃ “ডিজিটাল ডাকঘর”, “ডাক হাব” ও “ই-পারসেল সেন্টার” প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url