full scren ads

একটি শীতের সকাল রচনা | শীতকাল রচনা class 6

বাংলাদেশের ছয় ঋতুর মধ্যে শীতকাল একটি বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এই ঋতুতে প্রকৃতি বদলে যায়, আবহাওয়া হয়ে ওঠে ঠান্ডা এবং চারদিকে কুয়াশার ছড়াছড়ি দেখা যায়। শীতের সকাল, শীতের দিন, শিশিরপাত ও পিঠার মৌসুম—সব মিলিয়ে শীতকাল মানুষের জীবনে আনন্দ ও বৈচিত্র্য এনে দেয়। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শীতকাল প্রকৃতির এক চমৎকার অভিজ্ঞতা।

একটি শীতের সকাল রচনা

শীতের সকাল প্রকৃতির এক অনন্য সৌন্দর্যের নাম। ভোরের আলো ফুটতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। দূরের গাছপালাও স্পষ্ট দেখা যায় না। মনে হয় যেন সাদা কুয়াশার চাদরে পুরো পরিবেশ ঢেকে আছে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে সবাই উষ্ণ কাপড় পরে বাড়ির বাইরে বের হয়।

শীতের সকালে ডালভাজা, মুড়ি-চা বা পিঠার দোকানে লোকজনের ভিড় থাকে। বিশেষ করে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে গাছে ওঠা গাছিদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। অনেক ছাত্রছাত্রী পুরু চাদর গায়ে দিয়ে স্কুলে যায়। মাঠে শিশির ভেজা ঘাস পায়ে লেগে ঠান্ডা অনুভূতি দেয়।

শীতের সকালে পাখির ডাক, কুয়াশার দৃশ্য আর প্রকৃতির স্নিগ্ধতা মনকে প্রশান্ত করে। সূর্য উঠার পর ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায় এবং চারদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ে। শীতের সকালে প্রকৃতি যেমন সুন্দর, তেমনি মানুষের জীবনে আনন্দেরও উৎস। তাই শীতের সকাল সত্যিই এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা।

শীতকাল রচনা Class 6

বাংলাদেশের ছয় ঋতুর মধ্যে শীতকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ভিন্নতাময় ঋতু। প্রতি বছর নভেম্বরের শেষে শীতকাল শুরু হয় এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে প্রকৃতিতে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায় এবং চারদিকে কুয়াশা জমে থাকে। শীতের সকালে ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু মুক্তার মতো ঝলমল করে।

শীতকালে দিন ছোট এবং রাত বড় হয়। শীতের অন্যতম সৌন্দর্য হলো পিঠা-পায়েসের মৌসুম। নানান গ্রামে নবান্ন উৎসব হয় এবং নতুন ধানের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। গাছে খেজুরের রস সংগ্রহের দৃশ্য একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এই সময় অনেক গরম কাপড়, সোয়েটার, কম্বল ব্যবহার করতে হয়।

শীতকালে সবজি পাওয়া যায় বেশি—কপি, ফুলকপি, গাজর, মুলোসহ নানান শীতের সবজি বাজারে পাওয়া যায়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ভোরে উঠতে একটু কষ্ট হলেও শীতের স্নিগ্ধ আবহ অনেকের মন ভালো করে দেয়।

তবে শীতের কিছু কষ্টও আছে। গরিব মানুষদের জন্য পরিমাণমতো গরম কাপড় না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়। তাই অনেক দয়ালু মানুষ শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও কাপড় বিতরণ করেন।

সব মিলিয়ে শীতকাল একটি মনোরম ও বৈচিত্র্যময় ঋতু। প্রকৃতির স্বাভাবিক সৌন্দর্য, পিঠা-পুলি আর উৎসবের আনন্দ শীতকে করে তোলে বিশেষ ও স্মরণীয়

শীতকালে শিশির জমে কেন Class 6

শীতকালে রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। চারপাশের বাতাস ঠান্ডা হয়ে গেলে বাতাসের ভেতরের জলীয় বাষ্প ছোট ছোট পানিবিন্দুতে পরিণত হয়। এই পানিবিন্দুগুলো ঘাস, পাতা, মাটির ওপর জমে থাকে—এগুলোকেই শিশির বলে। ঠান্ডা বেশি থাকায় শিশির বেশি জমে। তাই শীতকালে শিশির জমার পরিমাণ অন্যান্য ঋতুর তুলনায় বেশি হয়।

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ Class 6

শীতের সকাল প্রকৃতির এক শান্ত ও স্নিগ্ধ সময়। ভোরে চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকে, দূরের কিছুই পরিষ্কার দেখা যায় না। ঘাসের উপর শিশিরবিন্দু ঝলমল করে। ঠান্ডা বাতাসে মানুষ গরম কাপড় পরে বাইরে বের হয়। শীতের সকালে গরম চা ও পিঠার গন্ধ মনকে আনন্দ দেয়। ধীরে ধীরে সূর্য উঠলে কুয়াশা কেটে যায় এবং চারদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ে। শীতের সকাল সত্যিই খুব সুন্দর ও শান্তিময়।

একটি শীতের দিন রচনা Class 6

শীতের দিন বাংলাদেশের একটি পরিচিত ও প্রিয় সময়। দিনের শুরুতেই ঠান্ডা হাওয়া আর কুয়াশা মানুষের শরীরে শীতল অনুভূতি জাগায়। দিনের বেলা সূর্য উঠলেও রোদ থাকে নরম ও মোলায়েম। কৃষকরা সকালে মাঠে কাজ করতে যায়, শ্রমিকরা তাদের কাজ শুরু করে, আর স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা গরম কাপড় পরে স্কুলে যায়। শীতের দিনে গ্রামের পথে হাঁটলে দেখা যায় ধোঁয়া ওঠা পিঠার দোকান, খেজুরের রসের হাঁড়ি এবং নবান্নের আনন্দ। যদিও শীতের দিনে গরিব মানুষদের কষ্ট একটু বেশি, তবুও মানুষের সহায়তা ও সহযোগিতা এই কষ্ট কিছুটা লাঘব করে। সব মিলিয়ে একটি শীতের দিন আনন্দ, কুয়াশা ও রোদে ভরা এক বিশেষ অভিজ্ঞতা।

শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ Class 6

শীতের পিঠা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্য। শীত এলেই ঘরে ঘরে পিঠা বানানো হয়। পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, চিতই, নারিকেল পিঠা—সবই শীতের বিশেষ আকর্ষণ। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি পিঠা আরও সুস্বাদু হয়। গ্রামের বাড়িতে সন্ধ্যায় সবাই একত্র হয়ে পিঠা বানানো ও খাওয়ার আনন্দ উপভোগ করে। পিঠা শুধু খাবার নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতিরও অংশ। শীত না এলে যেন এই পিঠার আনন্দ সম্পূর্ণ হয় না। 

শীতের সকাল রচনা Class 6

শীতের সকাল প্রকৃতির এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। ভোরের আলো ফুটতেই চারদিকে সাদা কুয়াশা দেখা যায়। রাস্তা, গাছপালা, মাঠ সব কিছুই যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। ঘাসের ওপর জমে থাকা শিশিরবিন্দু মুক্তার মতো ঝলমল করে। মানুষ গরম কাপড় পরে ঘর থেকে বের হয় এবং কেউ কেউ আগুন পোহায়। শীতের সকালে পিঠা, চা ও খেজুরের রসের গন্ধ পরিবেশকে আরও মনোরম করে তুলে। সূর্য ধীরে ধীরে উঠলে কুয়াশা মিলিয়ে যায় এবং প্রকৃতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শীতের সকাল তাই সুন্দর, শান্ত এবং স্নিগ্ধ এক অনুভূতি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url