আমাদের সংরক্ষিত নারী আসন কয়টি
বাংলাদেশে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় সংসদে বিশেষভাবে কিছু আসন সংরক্ষিত রয়েছে। এসব আসন নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং আইনপ্রণয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের কণ্ঠ রাখতে সহায়তা করে। “সংরক্ষিত নারী আসন” বিষয়টি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
আমাদের সংরক্ষিত নারী আসন কয়টি
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বর্তমানে ৫০টি আসন নারী জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
এই সংরক্ষিত আসনগুলো সাধারণ ভোটারদের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হয় না, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়।
সংরক্ষিত আসনের কার্যপ্রণালী ও গুরুত্ব
-
নারীদের সংরক্ষিত আসনগুলো একটি পার্টি-ভিত্তিক বরাদ্দ পদ্ধতি দ্বারা ভাগ করা হয়।
-
পার্লামেন্টে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো মানে আইন প্রণয়ন, দৃষ্টিভঙ্গার বৈচিত্র্য ও লিঙ্গ সমতা আরও ভালোভাবে প্রতিফলিত হওয়া।
-
তবে সমালোচনা রয়েছে যে সংরক্ষিত নারী এমপিরা সরাসরি নির্বাচিত না হওয়ায় তাদের নির্বাচনী দায়বোধ এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ কম হতে পারে।
-
নারী রাজনীতিবিদ ও অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে চাপ, সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বাড়ানো এবং সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করার দাবি।
সংক্ষেপে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন আছে। এই আসনগুলোর উদ্দেশ্য হলো নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করা। তবুও আলোচনা চলছে: কীভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যায়, এবং কীভাবে নারী এমপিদের কার্যত ক্ষমতা ও দায়িত্ব আরও বেশি নিশ্চিত করা যায়।