বিবাহিত মেয়েরা হাতে চুড়ি না পরলে কি হয়
উপমহাদেশে বিবাহিত নারীদের হাতে চুড়ি পরার প্রচলন বহু পুরনো। বিশেষ করে বিবাহিত অবস্থার প্রতীক, সাজসজ্জা ও সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য হিসেবে চুড়ি জনপ্রিয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেকেই জানতে চান বিবাহিত মেয়েরা হাতে চুড়ি না পরলে কি হয়?
আসল বিষয় হলো, চুড়ি না পরা কোনো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নয়, স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও নেই, আইনি সমস্যা তো নয়ই। বরং এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দ। তবে সমাজে কিছু প্রচলিত বিশ্বাস থাকার কারণে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
চুড়ি না পরলে শারীরিক বা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় না
চুড়ি একটি অলংকার
-
এটি না পরলে স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা হয় না
-
শরীরে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না
-
চিকিৎসা, বিজ্ঞান বা স্বাস্থ্যমতে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ
অর্থাৎ, চুড়ি পরা বা না পরা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্টাইল ও অভ্যাস।
চুড়ি না পরা ও সামাজিক বিশ্বাস কী বলে সমাজ?
অনেক পরিবার বা সমাজে কিছু প্রচলিত ধারণা দেখা যায়—
-
বিবাহিত নারী চুড়ি পরলে তাকে সুন্দর মনে হয়
-
চুড়ি না পরলে বিবাহিত বলা বোঝা যায় না
-
কেউ কেউ মনে করেন চুড়ি ‘শুভ লক্ষণ’
-
অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ মনে করেন চুড়ি না পরা ‘অশুভ’
তবে এসবই সাংস্কৃতিক বিশ্বাস, বাস্তবতা বা ধর্মীয় সত্য নয়।
ধর্মীয় দৃষ্টিতে (ইসলাম) চুড়ি পরার নিয়ম
ইসলামে চুড়ি পরা—
-
অনুমোদিত, কিন্তু
-
বাধ্যতামূলক নয়
চুড়ি না পরলে—
-
কোনো পাপ নেই
-
কোনো নিষেধ নেই
-
বিবাহিত হওয়ার স্বীকৃতি বা মর্যাদায় কোনো পরিবর্তন হয় না
অর্থাৎ, ধর্মীয় দৃষ্টিতে এটি সম্পূর্ণ সাজসজ্জা।
আধুনিক সমাজে চুড়ি না পরা স্বাভাবিক আচরণ
আজকের কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক বিবাহিত নারী চুড়ি পরেন না, কারণ—
-
অফিস বা চাকরিতে ঝামেলা
-
কাজের সময় শব্দ হয়
-
বাচ্চা সামলাতে অসুবিধা
-
ব্যক্তিগত স্টাইল মিনিমাল রাখা
-
নিরাপত্তাজনিত কারণে জট লাগা বা আঘাত থেকে বাঁচা
তাই চুড়ি না পরা এখন খুবই স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য।
চুড়ি পরবেন কি না সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি
চুড়ি পরা কোনো বাধ্যবাধকতা নয়।
আপনি যদি চান, পরতে পারেন; না চাইলে না পরলেও কোনো সমস্যা নেই।
সংক্ষেপে বলা যায় বিবাহিত মেয়েরা হাতে চুড়ি না পরলে কোনো ক্ষতি, পাপ, সমস্যা বা নেতিবাচক প্রভাব হয় না।
এটি সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক অভ্যাস ও ব্যক্তিগত পছন্দ।
স্বাস্থ্য, ধর্ম বা আইনের কোথাও চুড়ির বাধ্যবাধকতা নেই।