নিগার সুলতানা জ্যোতি কি বিবাহিত | নিগার সুলতানা জ্যোতি স্বামী
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে যে ক’জন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার শান্ত মেজাজ, পেশাদারিত্ব, নেতৃত্বগুণ এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাকে বাংলাদেশের সফলতম নারী ক্রিকেটারদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শুধু উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবেই নয়, তিনি একজন অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা, যিনি বাংলাদেশ নারী দলের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নিগার সুলতানা জ্যোতির পরিচয়
নিগার সুলতানা ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটে অনুরাগী ছিলেন। পরিবারের উৎসাহ, বিশেষ করে বাবা-মায়ের সমর্থন, তাকে ক্রিকেটের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। মেয়েদের ক্রিকেটে আসতে সমাজে অনেক বাধা থাকলেও তিনি তার লক্ষ্য থেকে সরে দাঁড়াননি।
ধীরে ধীরে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সবার নজর কাড়েন। এরপর খুব অল্প বয়সেই তিনি জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পান। তার পরিশ্রম, টেকনিক ও দৃঢ় মনোভাব তাকে অল্প সময়েই সিনিয়র দলে প্রতিষ্ঠিত করে।
নিগার সুলতানা জ্যোতি ক্যারিয়ার
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ২০২১ সালে নতুন নেতৃত্ব খুঁজছিল। সেই সময় নিগার সুলতানা জ্যোতি নেতৃত্বভার পান।
তার নেতৃত্বে দল
-
ঐতিহাসিক নারী বিশ্বকাপে (২০২২) প্রথমবার অংশ নেয়
-
পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, স্কটল্যান্ডসহ কয়েকটি বড় ম্যাচে জয় পায়
-
টিমে নতুনদের আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে
তার শান্ত স্বভাব ও মাঠে ঠান্ডা মাথার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা তাকে একজন পেশাদার নেতা হিসেবে তুলে ধরে
গুরুত্বপূর্ণ অর্জন
-
বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক
-
২০১৮ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ জয়—যদিও তখন তিনি অধিনায়ক ছিলেন না, তবে ছিলেন স্কোয়াডে
-
২০২২ সালে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপে নেতৃত্ব
-
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্কোরার
-
নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা
নিগার সুলতানা জ্যোতি কি বিবাহিত
নিগার সুলতানা জ্যোতি এনগেজড/বাগদান সম্পন্ন করেছেন এ তথ্য তিনি নিজেই একাধিক সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন। তবে পাত্র বা ভবিষ্যৎ স্বামীর নাম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেননি। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
নিগার সুলতানা জ্যোতি শুধু একজন ক্রিকেটার নন তিনি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের একটি অনুপ্রেরণার নাম। তার নেতৃত্বগুণ, পরিশ্রম, অবদান ও সাফল্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নারী ক্রিকেটারদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। দেশের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার মতো নিবেদিত অ্যাথলেট সবসময়ই প্রয়োজন।