ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসন কয়টি
বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যায়ের স্থানীয় সরকার হলো ইউনিয়ন পরিষদ। এখানে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিশেষভাবে কিছু আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা আসন নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ায় এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, স্থানীয় প্রশাসন ও নীতি প্রণয়নে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিশ্চিত করে। এই ব্যবস্থা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসন
প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে মোট ৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসন থাকে।
সংরক্ষিত আসনের গুরুত্ব
নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি: সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব গড়ে ওঠে।
স্থানীয় প্রশাসনে সমতা: গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নীতিতে নারীর কণ্ঠস্বর নিশ্চিত হয়।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শক্তি বৃদ্ধি: স্থানীয় সরকারে নারীর উপস্থিতি প্রশাসনকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
-
ইউনিয়ন পরিষদের মোট ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
-
প্রতিটি ভাগ থেকে ১ জন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন।
উদাহরণ:-
ওয়ার্ড ১, ২, ৩ → ১ সংরক্ষিত মহিলা আসন
-
ওয়ার্ড ৪, ৫, ৬ → ১ সংরক্ষিত মহিলা আসন
-
ওয়ার্ড ৭, ৮, ৯ → ১ সংরক্ষিত মহিলা আসন
-
মোট সংরক্ষিত মহিলা আসন
-
৩টি আসন প্রতিটি ইউনিয়নে, যা নারীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদে প্রতি ইউনিয়নে ৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসন রয়েছে। এই আসনগুলো নারীদের স্থানীয় সরকারে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব প্রদানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়ন ও নীতি প্রণয়নে নারীর ভূমিকা শক্তিশালী হয়।