বিবাহিত ছেলেদের স্বপ্নদোষ কেন হয়
স্বপ্নদোষ (Nocturnal Emission) হলো এমন একটি প্রাকৃতিক শারীরিক প্রক্রিয়া যেখানে রাতে ঘুমের সময় অজান্তে যৌন উত্তেজনার সঙ্গে শুক্রাণু নিঃসরণ ঘটে। এটি কেবল অবিবাহিত নয়, বিবাহিত ছেলেদের ক্ষেত্রেও সাধারণ।
অনেকে ভাবতে পারেন, বিবাহিত হলে স্বপ্নদোষ হওয়া অস্বাভাবিক—কিন্তু বাস্তবে এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
স্বপ্নদোষ কী?
-
স্বপ্নদোষ হলো রাতের ঘুমের সময় অজান্তে যৌন উত্তেজনা ও স্রাব।
-
অনেক সময় মানুষ যৌন সম্পর্কের স্বপ্ন দেখে এবং তার প্রভাব শরীরের স্রাবের মাধ্যমে হয়।
-
এটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া এবং রোগ নয়।
বিবাহিত ছেলেদের স্বপ্নদোষ হওয়ার কারণ
(ক) হরমোনের প্রভাব
-
পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন যৌন উদ্দীপনা ও শুক্রাণু উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে।
-
রাতে ঘুমের সময় হরমোনের প্রভাব স্বপ্নদোষ ঘটায়।
(খ) যৌন জীবন ও দৈনন্দিন কার্যক্রম
-
দৈনন্দিন যৌন সম্পর্ক থাকলেও স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে।
-
এটি স্বাভাবিক এবং যৌন স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না।
(গ) মানসিক চাপ ও উদ্বেগ
-
চাপ, উদ্বেগ বা মানসিক চাপের কারণে ঘুমের সময় স্বপ্নদোষের ঘটনা বেড়ে যেতে পারে।
-
এটি কোনো রোগ নয়, বরং স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়া।
(ঘ) শরীরের অভ্যন্তরীণ স্রাব নিয়ন্ত্রণ
-
শরীর মাঝে মাঝে অতিরিক্ত শুক্রাণু নিঃসরণ করে, যা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে হয়।
-
এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
স্বপ্নদোষের বৈশিষ্ট্য
-
সাধারণত রাতে ঘুমের সময় ঘটে।
-
১৫–২০ বছরের পর পুরুষদের মধ্যে এটি প্রায় স্বাভাবিক।
-
যৌন স্বাস্থ্য, শক্তি বা সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করে না।
নিয়ন্ত্রণ বা কমানোর উপায়
-
নিয়মিত যৌন সম্পর্ক বা শারীরিক কার্যক্রম বজায় রাখা।
-
মানসিক চাপ কমানো ধ্যান, হালকা ব্যায়াম বা পর্যাপ্ত ঘুম।
-
রাতের ভারী খাবার বা উত্তেজনাপূর্ণ কনটেন্ট এড়িয়ে চলা।
-
প্রয়োজনে ডাক্তার বা যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
বিবাহিত ছেলেদের স্বপ্নদোষ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এটি শরীরের হরমোন, ঘুম ও যৌন স্বাস্থ্যের অংশ। ঘন ঘন হলেও এটি কোনো রোগ নয়, ক্ষতিকর নয় এবং স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার অংশ।