জ্যাম ও জেলির মধ্যে পার্থক্য কি
খাবারের জগতে জ্যাম ও জেলি দুটি জনপ্রিয় সংরক্ষিত খাদ্য। দুটিই মূলত ফল থেকে তৈরি হয় এবং রুটি, বিস্কুট থেকে শুরু করে নানা খাবারের সাথে পরিবেশন করা যায়। তবে অনেকেই জ্যাম ও জেলিকে একই মনে করলেও এদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। উপাদান, ঘনত্ব, প্রস্তুত প্রণালী ও স্বাদের দিক থেকে জ্যাম ও জেলি একে অপরের থেকে ভিন্ন।
জ্যাম কি
জ্যাম হলো এমন একটি ফলজাত খাবার যেখানে ফলকে চিনি ও পেকটিনের সাথে রান্না করে ঘন করা হয়। জ্যামে ফলের আসল টুকরা বা চূর্ণ অংশ থাকে, ফলে এটি তুলনামূলকভাবে ঘন এবং দানাযুক্ত টেক্সচারের হয়। জ্যাম খেতে গেলে মনে হয় আপনি ফলের আসল স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছেন।
স্ট্রবেরি, আম, পেয়ারা, ব্লুবেরি, কমলা ইত্যাদি বিভিন্ন ফল দিয়ে জ্যাম তৈরি করা হয়।
জ্যামের বৈশিষ্ট্য
-
ফলের মোটা টুকরা থাকে
-
ঘন ও দানাদার টেক্সচার
-
স্বাদে ফলের আসল উপস্থিতি বেশি
-
রুটিতে মাখালে ফলের শাঁস অনুভূত হয়
জেলি কি
জেলি হলো ফলের রস, চিনি ও পেকটিন দিয়ে তৈরি একটি স্বচ্ছ, মসৃণ ও জেলির মতো নরম খাবার। জেলিতে কোনো ফলের চূর্ণ বা টুকরা থাকে না। শুধুই ফলের পরিষ্কার রস ব্যবহার করা হয়, এ কারণে এর রঙ সাধারণত স্বচ্ছ বা চকচকে হয়।
জেলির বৈশিষ্ট্য
-
পুরোপুরি স্বচ্ছ ও মসৃণ
-
ফলের রস দিয়ে তৈরি
-
কোনোরকম ফলের টুকরা থাকে না
-
দেখতে জেলির মতো ও কাঁপে
জ্যাম ও জেলির মধ্যে পার্থক্য কি
১. উপাদান:
জ্যামে ফলের শাঁস বা টুকরা থাকে, আর জেলিতে থাকে শুধু ফলের রস।
২. গঠন ও টেক্সচার:
জ্যাম ঘন, দানাযুক্ত ও মোটা; জেলি নরম, স্বচ্ছ ও জেলাটিনাস।
৩. স্বাদ ও অনুভূতি:
জ্যাম ফলের আসল স্বাদের কাছাকাছি, জেলি তুলনামূলকভাবে হালকা ও মসৃণ স্বাদের।
৪. ব্যবহার:
জ্যাম সাধারণত ব্রেড, বিস্কুট বা কেক–পেস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়; জেলি প্রচুর সময়ে ডেজার্ট, টপিং বা বিশেষ খাবারে ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপ
জ্যাম ও জেলি দুটোই সুস্বাদু এবং ফল থেকে তৈরি সংরক্ষিত খাবার। তবে টেক্সচার, উপাদান এবং স্বাদের ভিত্তিতে তাদের মধ্যে পরিষ্কার পার্থক্য রয়েছে।
জ্যামে পাওয়া যায় ফলের আসল টুকরার স্বাদ, আর জেলিতে থাকে স্বচ্ছ, মসৃণ ও জেলির মতো রূপ। আপনি যদি ফলের প্রকৃত স্বাদ বেশি পছন্দ করেন তাহলে জ্যাম; আর হালকা ও মোলায়েম স্বাদের কিছু চাইলে জেলি বেছে নেওয়া উত্তম।