অনুজীব কি | অনুজীব কাকে বলে | অনুজীব বলতে কি বুঝায়

অনুজীব বা মাইক্রোঅর্গানিজম আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র জীবনরূপ যা চোখে দেখা সম্ভব নয়। এই অদৃশ্য জীবাণুগুলো পৃথিবীর প্রতিটি পরিবেশে বিস্তৃত, যেমন মাটি, জল, বায়ু, মানবদেহ, এবং প্রায় সকল প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম স্থানে। অনুজীবের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, অ্যালগি ও প্রোটোজোয়া অন্তর্ভুক্ত। যদিও অনুজীব ছোট এবং অদৃশ্য, তাদের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক এবং জটিল। তারা জীবজগতে পুষ্টি চক্র রক্ষা, রোগ সৃষ্টি, খাদ্য প্রস্তুতি, জৈবপ্রক্রিয়া ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনুজীবের প্রাচীন ইতিহাস এবং বৈচিত্র্য বিজ্ঞানী ও চিকিৎসাবিদদের জন্য গবেষণার অবিরাম উৎস। আজকের আধুনিক জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনুজীবের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান, কারণ তারা ঔষধ উৎপাদন, পরিবেশ সুরক্ষা, শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অনুজীবের গবেষণা ও বোঝাপড়া মানব সভ্যতার উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

অনুজীব কাকে বলে

অনুজীব কি

অনুজীব হলো অতিক্ষুদ্র প্রাণী বা জীব, যেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না এবং সাধারণত অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখতে হয়। এরা জীবজগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং পৃথিবীর প্রায় সব পরিবেশেই বসবাস করে—মাটি, পানি, বাতাস এমনকি মানুষের দেহেও। অনুজীব এককোষী বা বহু কোষী হতে পারে। এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক (ফাঙ্গাস), প্রোটোজোয়া এবং শৈবাল (অ্যালগি) অন্যতম। অনুজীবদের মধ্যে কিছু উপকারী যেমন—দুগ্ধজাত খাবার তৈরি, মৃতদেহ পচনে সহায়তা, খাদ্য হজমে সাহায্য করে। আবার কিছু ক্ষতিকর, যেমন রোগ সৃষ্টি করে বা খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করে। অনুজীব বিজ্ঞান বা মাইক্রোবায়োলজি শাস্ত্রে এসব জীব নিয়ে গবেষণা করা হয়।

অনুজীব কারা

অনুজীব হলো এমন সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব, যাদের খালি চোখে দেখা যায় না এবং দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। এরা সাধারণত এককোষী হলেও কিছু অনুজীব বহু কোষী হতে পারে। নিচে অনুজীবদের প্রধান শ্রেণিগুলো তুলে ধরা হলো:

  1. ব্যাকটেরিয়া (Bacteria): এককোষী জীব, কিছু উপকারী (যেমন হজমে সাহায্যকারী) আবার কিছু রোগ সৃষ্টি করে (যেমন টাইফয়েড)।

  2. ভাইরাস (Virus): জীবিত ও অজীবের মাঝামাঝি, শুধুমাত্র জীবিত কোষে প্রবেশ করে বংশবৃদ্ধি করে। উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড-১৯।

  3. ফাঙ্গাস বা ছত্রাক (Fungi): কিছু এককোষী (যেমন ইস্ট), আবার কিছু বহু কোষী (যেমন মোল্ড)। খাবার পচাতে বা ঔষধ (যেমন পেনিসিলিন) তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

  4. প্রোটোজোয়া (Protozoa): এককোষী জীব যারা সাধারণত পানিতে বসবাস করে। কিছু প্রোটোজোয়া রোগ সৃষ্টি করে, যেমন ম্যালেরিয়া।

  5. শৈবাল বা অ্যালগি (Algae): কিছু অণুজীব শৈবাল এককোষী হয়, যেমন ক্লোরেলা। এরা সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে।

এরা সবাই অনুজীব শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অনুজীব কাকে বলে

অনুজীব কাকে বলে তা বোঝার জন্য আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে “অনুজীব” শব্দটির মানে। "অনু" মানে ছোট এবং "জীব" মানে প্রাণী বা জীবিত বস্তু। অনুজীব হলো এমন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণী যাদের খালি চোখে দেখা যায় না; দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়।

অনুজীব হলো এক ধরনের অতিক্ষুদ্র জীব, যাদের দেহ এক বা একাধিক কোষ দিয়ে তৈরি এবং এরা সাধারণত অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না। এরা মাটি, পানি, বায়ু, মানুষের শরীরসহ প্রায় সব পরিবেশেই বাস করে। অনুজীবদের মধ্যে কিছু উপকারী (যেমন দুধ থেকে দই তৈরি, হজমে সাহায্য, মৃতদেহ পচানো) এবং কিছু ক্ষতিকর (যেমন রোগ সৃষ্টি করা, খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করা) হয়ে থাকে।

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক (ফাঙ্গাস), প্রোটোজোয়া ও শৈবাল (অ্যালগি) হলো অনুজীবের প্রধান উদাহরণ।

অনুজীব বলতে কি বুঝায়

অনুজীব বলতে এমন অতিক্ষুদ্র জীবগুলিকে বোঝানো হয়, যাদের খালি চোখে দেখা যায় না এবং যাদের দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য নিতে হয়। এরা সাধারণত এককোষী হলেও কিছু অনুজীব বহু কোষী হতে পারে। অনুজীব পৃথিবীর প্রায় সব পরিবেশে বিদ্যমান—মাটি, পানি, বাতাস, এমনকি মানুষের দেহেও। এদের মধ্যে কিছু উপকারী যেমন—খাদ্য হজমে সাহায্য করে, দই বা পনির তৈরি করে, মৃত পদার্থ পচিয়ে পরিবেশ পরিষ্কার রাখে। আবার কিছু অনুজীব ক্ষতিকর, যেমন—রোগ সৃষ্টি করে বা খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া ও শৈবাল অনুজীবের অন্তর্ভুক্ত। অনুজীব জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা "অণুজীববিজ্ঞান" বা Microbiology-এর অন্তর্ভুক্ত।

অনুজীব কত প্রকার ও কি কি

অনুজীব প্রধানত ৫ প্রকারের হয়। এদের বৈশিষ্ট্য ও কাজের ভিত্তিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। নিচে অনুজীবের পাঁচটি প্রধান শ্রেণি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো

১. ব্যাকটেরিয়া (Bacteria)

ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী অনুজীব। এদের নিজস্ব কোষপ্রাচীর থাকে এবং এরা স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে পারে। এরা গঠন, খাদ্য গ্রহণ ও চলাচলের দিক থেকে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

  • উপকারী ব্যাকটেরিয়া: দই ও পনির তৈরি, মূত্রবিয়োজনে সাহায্য, মৃতজীব পচন ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি।

  • ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া: কলেরা, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি করে।

২. ভাইরাস (Virus)

ভাইরাস হলো এমন অনুজীব যা জীবিত কোষের বাইরে নিষ্ক্রিয় থাকে এবং জীবিত কোষের ভেতরে প্রবেশ করলে সক্রিয় হয় ও বংশবৃদ্ধি করে।

  • ভাইরাসের নিজস্ব কোষ নেই, তাই একে জীব ও অজীবের মাঝামাঝি ধরা হয়।

  • উদাহরণ: করোনাভাইরাস (COVID-19), ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস, এইডস।

৩. ছত্রাক বা ফাঙ্গাস (Fungi)

ছত্রাক এককোষী বা বহু কোষী হতে পারে। এরা সাধারণত মৃতজৈব পদার্থে জন্মায় এবং পচনে সাহায্য করে।

  • উপকারী ফাঙ্গাস: ইস্ট (ইস্ট দিয়ে রুটি, কেক তৈরি হয়), পেনিসিলিন (অ্যান্টিবায়োটিক)।

  • ক্ষতিকর ফাঙ্গাস: খাদ্যে পচন ধরে, ত্বকের রোগ সৃষ্টি করে (যেমন ছত্রাকজনিত চুলকানি)।

৪. প্রোটোজোয়া (Protozoa)

প্রোটোজোয়া হলো এককোষী অনুজীব যা সাধারণত পানিতে বাস করে। এদের কিছু নিজে চলাচল করতে পারে এবং পশুপোকা বা মানুষের দেহে রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

  • উদাহরণ:

    • প্লাসমোডিয়াম: ম্যালেরিয়া সৃষ্টি করে

    • অ্যামিবা: ডায়রিয়া বা আমাশয় রোগ সৃষ্টি করে

৫. শৈবাল বা অ্যালগি (Algae)

শৈবাল এককোষী বা বহু কোষী অনুজীব, যা জলাশয়ে জন্মে এবং সালোকসংশ্লেষণ করে নিজের খাদ্য তৈরি করে।

  • এককোষী শৈবাল যেমন ক্লোরেলাডায়াটম, যারা পরিবেশে অক্সিজেন সরবরাহ করে।

  • কিছু শৈবাল জল দূষণ রোধে সাহায্য করে।

  • তবে অতিরিক্ত শৈবালের বৃদ্ধি জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

এই অনুজীবরা আমাদের পরিবেশ, স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু অনুজীব মানব জীবনে উপকার করে, আবার কিছু মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এজন্য অনুজীব নিয়ে গবেষণা ও জ্ঞান থাকা খুব জরুরি।

অনুজীবের উপকারিতা কি কি

অনুজীব বা মাইক্রোঅর্গানিজম হলো অত্যন্ত ক্ষুদ্র জীব যা চোখে দেখা যায় না। এগুলো বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেমন ব্যাকটেরিয়া, ছাঁচ, ইস্ট, এবং ভাইরাস। যদিও অনুজীব সম্পর্কে অনেকেই ভয় পায়, বাস্তবে এর অনেক উপকারিতা আমাদের জীবনে অপরিসীম।

প্রথমত, অনুজীব পচনক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্জ্যকে পচিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এটি মাটিতে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে যা গাছের জন্য অপরিহার্য। তাছাড়া, রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া মাটিতে নাইট্রোজেন স্থির করে গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

দ্বিতীয়ত, অনুজীব খাদ্যপ্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দই, পনির, ছানা, আচার ও বিভিন্ন দুধজাত দ্রব্য গাঁজন প্রক্রিয়ায় অনুজীব ব্যবহৃত হয়। ইস্ট ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে রুটি ও কেক তৈরি হয়। এছাড়াও, মদ ও বিয়ার উৎপাদনে অনুজীব অপরিহার্য।

তৃতীয়ত, অনুজীব চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক। পেনিসিলিনসহ নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ছাঁচ থেকে পাওয়া যায়। পাশাপাশি, ইনসুলিন ও অন্যান্য ওষুধ তৈরিতে জৈব প্রযুক্তিতে অনুজীব ব্যবহৃত হয়।

পরিবেশ রক্ষায়ও অনুজীবের অবদান উল্লেখযোগ্য। তেল বা রাসায়নিক দূষণ অপসারণে কিছু অনুজীব ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া, পানিশোধন ও পয়ঃনিষ্কাশনে অনুজীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সুতরাং, অনুজীব আমাদের জীবন ও পরিবেশে বিভিন্নভাবে উপকারে আসে। আমাদের উচিত এই ক্ষুদ্র জীবকে বুঝে তাদের উপকারিতা কাজে লাগানো এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাদের অবদানকে স্বীকার করা।

অনুজীবের অপকারিতা কি কি

অনুজীব বা মাইক্রোঅর্গানিজম জীবনযাত্রায় অনেক উপকার করলেও এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে যা মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অনুজীবের মধ্যে কিছু প্রজাতি মানুষের জন্য রোগজীবাণু হিসেবে কাজ করে, যা বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা ও সংক্রমণ সৃষ্টি করে।

প্রথমত, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদি অনুজীব মানুষের শরীরে প্রবেশ করে অসুখ সৃষ্টি করে। যেমন: টিবি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস, কোলেরা, ম্যালেরিয়া, করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের কারণ অনুজীব। এই রোগগুলো অনেক সময় জীবনঘাতীও হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, অনুজীব খাদ্যপদার্থ নষ্ট করে ফেলে, যা খাবারের অপচয় এবং পঁচা-ফেলা বাড়ায়। এতে খাদ্যদ্রব্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং খাদ্যজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

তৃতীয়ত, পরিবেশে ক্ষতিকর অনুজীব দূষণ ঘটায়। কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছাঁচ রাসায়নিক দ্রব্য বা বর্জ্য দ্রবীভূত করে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। এর ফলে পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ুর অবনতি ঘটে।

চতুর্থত, অনুজীব কৃষি ক্ষেত্রেও ক্ষতি করতে পারে। ফসলের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ছাঁচ ফসল নষ্ট করে কৃষকের ক্ষতি করে।

সুতরাং, অনুজীবের অপকারিতাও কম নয়। তাই আমাদের উচিত সঠিক পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, যাতে এই ক্ষতিকর অনুজীব থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং তাদের বিরূপ প্রভাব কমানো সম্ভব হয়।

অনুজীব বিজ্ঞানের জনক কে

অনুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত অ্যান্টোনি ভ্যান লিউওয়েনহুক (Antonie van Leeuwenhoek) কে ধরা হয়। তিনি ১৭শ শতাব্দীতে প্রথম মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে অনুজীবকে আবিষ্কার করেন। লিউওয়েনহুক ক্ষুদ্রতম জীবের ছবি দেখে ও বর্ণনা করে জীববিজ্ঞানে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। তাই তাকে “মাইক্রোবায়োলজির জনক” বলা হয়।

অনুজীব সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর

অনুজীব কী?
অনুজীব হলো অতি ক্ষুদ্র জীব যা চোখে দেখা যায় না এবং মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখা সম্ভব হয় না।

অনুজীবের প্রধান প্রকার কী কী?
ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছাঁচ, ইস্ট এবং প্রোটোজোয়া।

অনুজীব কীভাবে দেখা হয়?
মাইক্রোস্কোপ দিয়ে।

অনুজীবের আবিষ্কার কে করেছিলেন?
অ্যান্টোনি ভ্যান লিউওয়েনহুক।

অনুজীবের প্রধান ব্যবহার কী?
খাদ্য গাঁজন, ওষুধ তৈরী, পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা।

অনুজীব কি সব সময় ক্ষতিকর?
না, অনেক অনুজীব উপকারী।

অনুজীব কি জীবিত?
হ্যাঁ, তারা জীবিত।

অনুজীবের শরীরের গঠন কেমন?
সাধারণত এককোষী।

অনুজীবের আকার কেমন?
অতি ক্ষুদ্র, মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখা যায় না।

অনুজীবের পরিবেশ কী ধরনের?
মাটিতে, পানিতে, বাতাসে এবং শরীরে থাকে।

ব্যাকটেরিয়া কী?
এক ধরনের এককোষী অনুজীব।

ভাইরাস কী?
ছোট ক্ষুদ্র জীবাণু যা জীবন্ত ও অজীবের মাঝামাঝি।

ছাঁচ কী?
এক ধরনের ফাঙ্গাস, যেটি গাঁজন ও পচন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়।

ইস্ট কী?
এক ধরনের এককোষী ফাঙ্গাস, গাঁজনে ব্যবহৃত হয়।

অনুজীব কীভাবে প্রজনন করে?
বিভাজন, স্পোর উৎপাদন বা যৌন প্রজননের মাধ্যমে।

অনুজীবের খাদ্য কী?
অণুজীব বিভিন্ন ধরনের হতে পারে; কেউ নিজে খাদ্য তৈরি করে, কেউ অজৈব পদার্থ থেকে।

অনুজীবের ব্যবহার কী?
দুধ গাঁজন, ওষুধ তৈরি, বর্জ্য পচন, পরিবেশ পরিষ্কার।

অনুজীবের সাহায্যে কোন খাবার তৈরি হয়?
দই, পনির, মিষ্টি, আচার, পাউরুটি।

অনুজীবের সাহায্যে কোন ওষুধ তৈরি হয়?
অ্যান্টিবায়োটিক যেমন পেনিসিলিন।

অনুজীবের সাহায্যে কী পরিবেশ সুরক্ষিত হয়?
বায়োরেমিডিয়েশন বা দূষণ কমানো।

অনুজীব দ্বারা কোন রোগ হয়?
টিবি, হেপাটাইটিস, কোলেরা, স্যালমোনেলা।

ভাইরাসের আকার কতটুকু?
ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে ছোট।

অনুজীব কীভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে?
শ্বাস, পানি, খাদ্য ও সংস্পর্শে।

অনুজীব কি সবসময় চোখে দৃশ্যমান?
না, মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখা যায় না।

অনুজীব কীভাবে মাটি উর্বর করে?
পচন প্রক্রিয়া করে পুষ্টি সরবরাহ করে।

নাইট্রোজেন স্থিরকরণে কোন অনুজীব কাজ করে?
রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া।

অনুজীবের প্রজনন দ্রুত কেন?
তাদের সেল ডিভিশন খুব দ্রুত হয়।

অনুজীব কী ধরণের জীব?
এককোষী ও অনেক ক্ষেত্রে প্রোক্যারিওটিক।

অনুজীবের কি কোষকাঠামো থাকে?
হ্যাঁ, কোষ থাকে কিন্তু অতি সরল।

অনুজীবের মধ্যে কাকে ভাইরাস বলা হয়?
যারা নিজে জীবিত নয়, অন্য কোষের ভিতর প্রবেশ করে বংশবিস্তর করে।

অনুজীবের মাধ্যমে কী কী বর্জ্য পচে?
মৃত উদ্ভিদ, প্রাণীর মৃত অঙ্গ।

অনুজীবের সাহায্যে কীভাবে খাদ্য সংরক্ষণ হয়?
আচার ও দইয়ের মাধ্যমে।

অনুজীব কীভাবে পানি পরিশোধন করে?
জীবাণু ধ্বংস করে ও অবশিষ্ট পদার্থ অপসারণ করে।

অনুজীবের সাহায্যে কী ধরনের প্রযুক্তি হয়?
জীবপ্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি।

অনুজীবের উদ্ভব কবে?
অনুমান করা হয় প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে।

অনুজীবের শক্তি উৎস কী?
সূর্যের আলো বা রাসায়নিক পদার্থ।

অনুজীবের সংক্রমণ কীভাবে রোধ করা যায়?
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও টিকা গ্রহণ করে।

অনুজীবের মাধ্যমে কী ধরনের খাবার তৈরি হয়?
খামিরজাত খাবার যেমন রুটি, কেক।

অনুজীবের সাহায্যে কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়?
ছাঁচ থেকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়।

অনুজীব কি শুধু ক্ষতিকর নয়?
না, অনেক অনুজীব উপকারী।

অনুজীবের প্রজনন সময় কত?
সাধারণত ২০ মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা।

অনুজীব কোন পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে?
উষ্ণ, ঠাণ্ডা, জৈবিক ও অজৈব পরিবেশ।

অনুজীবের কিছু উদাহরণ দিন।
ইকোলাই, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, স্যালমোনেলা।

অনুজীবের সাহায্যে কীভাবে ওষুধ তৈরি হয়?
জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে।

অনুজীবের প্রকারভেদ কীভাবে নির্ণয় হয়?
আকৃতি, গঠন ও প্রজনন পদ্ধতি দ্বারা।

অনুজীবের মধ্যে ভাইরাস কীভাবে কাজ করে?
অন্য কোষে ঢুকে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করে।

অনুজীব কি সারা পৃথিবীতে থাকে?
হ্যাঁ, সর্বত্রই।

অনুজীবের সাহায্যে কীভাবে বর্জ্য নষ্ট হয়?
জৈবপদার্থ পচিয়ে।

অনুজীব কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করে?
পাচনতন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যা হজমে সাহায্য করে।

অনুজীবের সাথে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়?
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url