full scren ads

অভিশংসন কি | অভিশংসন কাকে বলে | অভিশংসন বলতে কি বুঝায়

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা এবং শাসকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য যে কটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া রয়েছে, তার মধ্যে অভিশংসন একটি অনন্য ও কার্যকর ব্যবস্থা। অভিশংসন বলতে বোঝানো হয় রাষ্ট্রের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি, যেমন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি বা অন্য কোনো সাংবিধানিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবিধান বা আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ আনা এবং নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিচার ও অপসারণের প্রচেষ্টা। এটি কোনো একটি দেশের জন্য নয়, বরং বহু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই প্রচলিত একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।

বিশ্ব ইতিহাসে বহুবার অভিশংসন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। কখনও এটি হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক টানাপড়েনের প্রতিচ্ছবি, আবার কখনও এটি প্রতিফলিত করেছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, পাকিস্তান বা ভারতের মতো দেশে অভিশংসনের দৃষ্টান্ত রয়েছে, যা এসব দেশের সংবিধানিক কাঠামোর শক্তি ও ন্যায়বিচারের প্রয়োগকে সামনে এনেছে।

অভিশংসনের ধারণাটি সাধারণত সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে এবং এটি একটি নির্দিষ্ট ও পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এতে জড়িত থাকে আইনসভা, বিচার বিভাগ এবং কখনো কখনো জনগণের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মতামত। অভিশংসন শুধুমাত্র ক্ষমতা অপব্যবহার বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নয়, বরং এটি গণতন্ত্রের ভিত্তিমূল সুদৃঢ় করার একটি হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করে।

এই প্রবন্ধে আমরা অভিশংসনের সংজ্ঞা, ইতিহাস, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশের মতো দেশের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যাতে বিষয়টি পাঠকের কাছে সুস্পষ্ট হয় এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি গভীর ধারণা গড়ে ওঠে।

অভিশংসন অর্থ কি

অভিশংসন" (ইংরেজি: Impeachment) হলো একটি সাংবিধানিক বা আইনগত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ, যেমন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি বা বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপন করা হয় এবং বিচার করে তাকে পদ থেকে অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

সহজ ভাষায়, অভিশংসন মানে হলো কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা এবং সেই অভিযোগের বিচার করে তাকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করা।

এই প্রক্রিয়া সাধারণত সংসদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং এটি গণতন্ত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

সাক্ষীর অভিশংসন কি

সাক্ষীর অভিশংসন (Witness Impeachment) হলো এমন একটি আইনগত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আদালতে কোনো সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা (credibility) চ্যালেঞ্জ বা প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়।

অর্থাৎ, যদি কোনো পক্ষ মনে করে যে একজন সাক্ষী মিথ্যা বলছেন, পক্ষপাতদুষ্ট, বা আগের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু বলছেন—তাহলে সেই পক্ষ সাক্ষীকে “অভিশংসিত” করতে পারে।

সাক্ষীর অভিশংসনের মাধ্যমে কী বোঝানো হয়:
এটি মূলত আদালতে প্রমাণ করার চেষ্টা যে ওই সাক্ষীর কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়, এবং তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যেতে পারে—

  • আগের বিপরীত বক্তব্য

  • মিথ্যা বলার প্রমাণ

  • পক্ষপাতের ইঙ্গিত

  • চরিত্রগত দুর্বলতা

এই ধরনের অভিশংসন ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় মামলায় গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মামলার ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে।

রাষ্ট্রপতির অভিশংসন কি

রাষ্ট্রপতির অভিশংসন হলো একটি সাংবিধানিক ও আইনগত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত এই অভিযোগ হয় সংবিধান লঙ্ঘন, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে অবহেলা, বিশ্বাসভঙ্গ বা গুরুতর অসদাচরণের ভিত্তিতে। অভিশংসনের মাধ্যমে বোঝানো হয় যে—even রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব এবং আইন সবার জন্য সমান।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, সংবিধানের ৫২ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের বিধান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি রাষ্ট্রপতি সংবিধান লঙ্ঘন বা গুরুতর অসদাচরণে দোষী প্রমাণিত হন, তবে তাঁকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করা যাবে।

  1. অভিযোগ উত্থাপন:
    জাতীয় সংসদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এই প্রস্তাবে তাঁরা উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি কীভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বা গুরুতর অসদাচরণ করেছেন।

  2. প্রস্তাব গৃহীত হওয়া:
    উত্থাপনের পর সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রস্তাবটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হতে হয়। এটি একটি কঠোর শর্ত, কারণ রাষ্ট্রপতির অপসারণ যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত না হয়, তা নিশ্চিত করাই এই নিয়মের উদ্দেশ্য।

  3. আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ:
    রাষ্ট্রপতিকে যথাযথভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি তাঁর বক্তব্য পেশ করতে পারেন এবং আইনি সহায়তা নিতে পারেন। এটি ন্যায়বিচারের মূল ভিত্তি।

  4. চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও অপসারণ:
    সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর যদি সংসদীয় ভোটে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন, তবে রাষ্ট্রপতি পদচ্যুত হন এবং তিনি আর দায়িত্বে থাকেন না।

রাষ্ট্রপতির অভিশংসন কোনো প্রতিহিংসার মাধ্যম নয় বরং এটি একটি গণতান্ত্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। এটি নিশ্চিত করে যে, রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তিও যদি আইন ভঙ্গ করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। এতে শাসনব্যবস্থায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সংবিধান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল ইত্যাদিতে রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের নজির রয়েছে। এতে প্রমাণ হয় এমন পদক্ষেপ কেবল তাত্ত্বিক নয়, বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য ও কার্যকর।

অভিশংসন বলতে কী বুঝায়

অভিশংসন বলতে বোঝায় রাষ্ট্রের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যেমন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি বা অন্য সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি, যদি সংবিধান বা আইন লঙ্ঘন করেন বা গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন এবং বিচার করে তাকে পদচ্যুত করার সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে অভিশংসন বলা হয়।

এটি একটি আইনত নির্ধারিত ব্যবস্থা, যার উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করা, শাসকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং সংবিধানের শাসন রক্ষা করা।

অভিশংসন প্রক্রিয়া সাধারণত আইনসভা বা সংসদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং এতে নির্দিষ্ট ধাপে তদন্ত, বিতর্ক ও ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বলয় হিসেবে বিবেচিত।

রাষ্ট্রপতির অভিশংসন পদ্ধতি

রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধান হলেও তিনি সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন। যদি তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেন বা কোনো গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হন, তাহলে তাঁকে পদ থেকে সরানোর জন্য “অভিশংসন” নামে একটি বিশেষ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্ব ও গাম্ভীর্যপূর্ণ একটি ব্যবস্থা, যাতে অনেক ধাপ এবং কঠোর শর্ত থাকে।

১. অভিযোগ উত্থাপন (Initiation of Charge):

অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু হয় অভিযোগ উত্থাপনের মাধ্যমে।
জাতীয় সংসদের মোট সদস্যদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ (১/৩) লিখিতভাবে অভিযোগ আনতে পারেন যে রাষ্ট্রপতি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বা গুরুতর অসদাচরণ করেছেন।
এই অভিযোগ অবশ্যই সুসংহত, যুক্তিসম্মত ও প্রমাণ-সহযোগে উপস্থাপন করতে হয়।

২. প্রস্তাবের নোটিশ ও সময়সীমা:

অভিযোগ উত্থাপনের ন্যূনতম ১৪ দিন আগে জাতীয় সংসদের স্পিকারের (স্পিকার) নিকট অভিযোগের লিখিত নোটিশ দিতে হয়।
এই সময়টি সংসদ সদস্যদের অভিযোগটি গভীরভাবে পর্যালোচনা ও বিবেচনার সুযোগ দেয়।

৩. আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ (Right to Defend)

রাষ্ট্রপতিকে এই প্রক্রিয়ার আওতায় আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হয়।
তিনি চাইলে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে পারেন, আইনজীবীর মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন এবং যুক্তি বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন।
এটি ন্যায়বিচারের মৌলিক শর্ত।

৪. ভোটাভুটি ও সিদ্ধান্ত (Voting and Verdict):

সবকিছু পর্যালোচনা করার পর অভিশংসনের প্রস্তাব সংসদে তোলা হয়।
এই প্রস্তাব পাস হওয়ার জন্য সংসদের মোট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ (⅔) সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।
যদি এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জিত হয়, তাহলে প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং রাষ্ট্রপতি তাঁর পদ থেকে অপসারিত হন।

৫. অপসারণ ও পদ শূন্য ঘোষণা:

অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয়ে যায়।
তিনি আর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে পারেন না এবং সংবিধান অনুযায়ী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

৬. সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যম:

এই অভিশংসন প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটি নিশ্চিত করে যে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদেও জবাবদিহিতা রয়েছে।
সংবিধান ও আইনের শাসনের কাছে সবাই সমান এটাই এই ব্যবস্থার মূল শিক্ষা।

অভিশংসন কি mcq | প্রশ্ন উত্তর

  1. প্রশ্ন: অভিশংসন শব্দটির অর্থ কী?
    ক) প্রশংসা করা
    খ) অভিযোগ আনা
    গ) পুরস্কৃত করা
    ঘ) দায়িত্ব দেওয়া
    ✔️ সঠিক উত্তর: খ) অভিযোগ আনা

  2. প্রশ্ন: রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিশংসন আনার ক্ষমতা কার?
    ক) প্রধানমন্ত্রী
    খ) সুপ্রিম কোর্ট
    গ) জাতীয় সংসদ
    ঘ) নির্বাচন কমিশন
    ✔️ সঠিক উত্তর: গ) জাতীয় সংসদ

  3. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের বিধান আছে কোন অনুচ্ছেদে?
    ক) ৫০
    খ) ৫১
    গ) ৫২
    ঘ) ৫৩
    ✔️ সঠিক উত্তর: গ) ৫২

  4. প্রশ্ন: রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের জন্য কত শতাংশ সংসদ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন?
    ক) এক-চতুর্থাংশ
    খ) অর্ধেক
    গ) দুই-তৃতীয়াংশ
    ঘ) এক-তৃতীয়াংশ
    ✔️ সঠিক উত্তর: গ) দুই-তৃতীয়াংশ

  5. প্রশ্ন: অভিশংসন মূলত কোন দেশের শাসনতন্ত্র থেকে আগত একটি ধারণা?
    ক) চীন
    খ) যুক্তরাষ্ট্র
    গ) ফ্রান্স
    ঘ) ভারত
    ✔️ সঠিক উত্তর: খ) যুক্তরাষ্ট্র

  6. প্রশ্ন: সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করাকে কী বলা হয়?
    ক) অভিযোগ
    খ) পর্যালোচনা
    গ) অভিশংসন
    ঘ) আপিল
    ✔️ সঠিক উত্তর: গ) অভিশংসন

  7. প্রশ্ন: অভিশংসন প্রস্তাবের ন্যূনতম কতদিন আগে সংসদে নোটিশ দিতে হয়?
    ক) ৭ দিন
    খ) ১০ দিন
    গ) ১৪ দিন
    ঘ) ২১ দিন
    ✔️ সঠিক উত্তর: গ) ১৪ দিন

  8. প্রশ্ন: বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রপতির অভিশংসন হয়েছে কি?
    ক) হ্যাঁ
    খ) না
    ✔️ সঠিক উত্তর: খ) না

  9. প্রশ্ন: “Impeachment” শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
    ক) লাতিন
    খ) ফরাসি
    গ) ইংরেজি
    ঘ) গ্রিক
    ✔️ সঠিক উত্তর: গ) ইংরেজি

  10. প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের প্রক্রিয়া কোথায় বর্ণিত?
    ক) অনুচ্ছেদ ৬১
    খ) অনুচ্ছেদ ৫২
    গ) অনুচ্ছেদ ৭২
    ঘ) অনুচ্ছেদ ৫১
    ✔️ সঠিক উত্তর: ক) অনুচ্ছেদ ৬১


1. অভিশংসন শব্দের অর্থ কী?

✔️ উত্তর: অভিযোগ আনা

2. রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিশংসনের ক্ষমতা কার?
✔️ উত্তর: জাতীয় সংসদ

3. বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের বিধান কোন অনুচ্ছেদে?
✔️ উত্তর: ৫২

4. রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের জন্য সংসদের কত অংশ সদস্যের ভোট প্রয়োজন?
✔️ উত্তর: দুই-তৃতীয়াংশ

5. “Impeachment” ধারণাটি মূলত কোন দেশের আইন থেকে উদ্ভূত?
✔️ উত্তর: যুক্তরাষ্ট্র

6. সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা চ্যালেঞ্জ করাকে কী বলা হয়?
✔️ উত্তর: অভিশংসন

7. অভিশংসনের প্রস্তাব সংসদে আনার কত দিন আগে নোটিশ দিতে হয়?
✔️ উত্তর: ১৪ দিন

8. বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রপতির অভিশংসন হয়েছে কি?
✔️ উত্তর: না

9. "Impeachment" শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
✔️ উত্তর: ইংরেজি

10. ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের বিধান কোন অনুচ্ছেদে আছে?
✔️ উত্তর: ৬১

11. অভিশংসন একটি কী ধরনের প্রক্রিয়া?
✔️ উত্তর: সাংবিধানিক প্রক্রিয়া

12. অভিশংসনের মাধ্যমে কী হয়?
✔️ উত্তর: পদচ্যুতি ঘটানো হয়

13. রাষ্ট্রপতি কোন অবস্থায় অভিশংসিত হতে পারেন?
✔️ উত্তর: সংবিধান লঙ্ঘন বা গুরুতর অসদাচরণে

14. সাক্ষীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা কোন অভিশংসনের অংশ?
✔️ উত্তর: সাক্ষী অভিশংসন

15. রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের জন্য অভিযোগ আনেন কারা?
✔️ উত্তর: সংসদ সদস্যগণ

16. অভিশংসনের বিচার কোথায় হয়?
✔️ উত্তর: জাতীয় সংসদে

17. অভিশংসনের সময় রাষ্ট্রপতিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয় কি?
✔️ উত্তর: হ্যাঁ

18. অভিশংসনের চূড়ান্ত রায় প্রদান করে কে?
✔️ উত্তর: জাতীয় সংসদ

19. নিচের কোনটি অভিশংসনের কারণ হতে পারে না?
✔️ উত্তর: জনপ্রিয়তা হ্রাস

20. রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের পর পদটি কী হয়?
✔️ উত্তর: শূন্য

21. রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ আনতে সংসদের কত শতাংশ সদস্য প্রয়োজন?
✔️ উত্তর: এক-তৃতীয়াংশ

22. অভিশংসন কি শুধুই রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
✔️ উত্তর: না (অন্যান্য সাংবিধানিক পদেও)

23. একজন সাক্ষী অভিশংসনের সময় কী ব্যবহার করা হয়?
✔️ উত্তর: আগের বিপরীত বক্তব্য

24. রাষ্ট্রপতি নিজেকে কীভাবে রক্ষা করতে পারেন?
✔️ উত্তর: আত্মপক্ষ সমর্থন ও আইনজীবীর মাধ্যমে

25. জাতীয় সংসদে অভিশংসনের প্রস্তাব গৃহীত না হলে কী হয়?
✔️ উত্তর: রাষ্ট্রপতি বহাল থাকেন

26. যুক্তরাষ্ট্রে অভিশংসনের চূড়ান্ত বিচার কোথায় হয়?
✔️ উত্তর: সিনেটে

27. বাংলাদেশে অভিশংসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় কে?
✔️ উত্তর: জাতীয় সংসদ

28. সাক্ষীর অভিশংসনে কোনটি অপরিহার্য?
✔️ উত্তর: বিশ্বাসযোগ্যতা চ্যালেঞ্জ

29. অভিশংসনের মাধ্যমে সংবিধানের কোন নীতি বাস্তবায়িত হয়?
✔️ উত্তর: জবাবদিহিতা

30. নিম্নোক্ত কোনটি অভিশংসনের অংশ নয়?
✔️ উত্তর: সাধারণ নির্বাচন

31. রাষ্ট্রপতির অভিশংসনে সংসদের অধিবেশনের প্রয়োজন হয় কি?
✔️ উত্তর: হ্যাঁ

32. রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের ফলে দেশে কেমন পরিস্থিতি হয়?
✔️ উত্তর: সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে

33. অভিশংসনের মাধ্যমে কোন বিষয়টি রক্ষা হয়?
✔️ উত্তর: সংবিধানের মর্যাদা

34. নিচের কোনটি অভিশংসনের উদাহরণ?
✔️ উত্তর: প্রেসিডেন্টকে দুর্নীতির কারণে অপসারণ

35. সাক্ষীর অভিশংসনের উদ্দেশ্য কী?
✔️ উত্তর: সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা কমানো

36. কোনো সাক্ষীর অতীত অপরাধের কথা তুলে ধরা কোন অভিশংসন?
✔️ উত্তর: চরিত্রগত অভিশংসন

37. একটি অভিশংসন প্রস্তাব ব্যর্থ হলে তা আবার আনা যাবে কি?
✔️ উত্তর: নির্দিষ্ট সময় পরে, হ্যাঁ

38. রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের সময় জনগণের ভূমিকা কী?
✔️ উত্তর: পরোক্ষ

39. যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের উদাহরণ:
✔️ উত্তর: ডোনাল্ড ট্রাম্প

40. অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের কোন নীতি বাস্তব হয়?
✔️ উত্তর: ক্ষমতার ভারসাম্য

41. বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষী অভিশংসনের প্রমাণ কে উপস্থাপন করে?
✔️ উত্তর: সংশ্লিষ্ট পক্ষ

42. বাংলাদেশের কোন আদালত অভিশংসনের বিচার করে না?
✔️ উত্তর: সুপ্রিম কোর্ট

43. রাষ্ট্রপতির অভিশংসনে আইনজীবী নিয়োগ করা যায় কি?
✔️ উত্তর: হ্যাঁ

44. অভিশংসন কেবল দণ্ডমূলক প্রক্রিয়া কি?
✔️ উত্তর: না

45. সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণ হলে ফলাফল কী?
✔️ উত্তর: রাষ্ট্রপতি পদচ্যুত হন

46. অভিশংসনের মাধ্যমে কোন রাষ্ট্রীয় আদর্শ প্রতিফলিত হয়?
✔️ উত্তর: শাসনের জবাবদিহিতা

47. কারা সাক্ষী অভিশংসন করতে পারে?
✔️ উত্তর: প্রতিপক্ষ আইনজীবী

48. রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হলে কী হয়?
✔️ উত্তর: তিনি দায়িত্বে বহাল থাকেন

49. অভিশংসন কখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার হতে পারে?
✔️ উত্তর: সংসদে পক্ষপাত থাকলে

50. অভিশংসন ব্যবস্থার অন্যতম উদ্দেশ্য কী?
✔️ উত্তর: রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষা করা



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url