full scren ads

অ্যারিস্টটলের জীবনী | অ্যারিস্টটল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর

অ্যারিস্টটল ছিলেন প্রাচীন গ্রীসের এক মহান দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ, যিনি মানবজীবনের যুক্তি, নৈতিকতা ও বাস্তবতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অসাধারণভাবে। তিনি ছিলেন প্লেটোর ছাত্র ও আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের শিক্ষক। দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, সাহিত্যসহ প্রায় সব বিষয়ে তাঁর অবদান অমর হয়ে আছে। তাঁর রচিত Politics, Ethics, Poetics ও Metaphysics আজও জ্ঞানচর্চার দিশারী। এই আর্টিকেলে আমরা অ্যারিস্টটলের জীবনীসহ তাঁর দর্শন, শিক্ষা, অবদান এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

অ্যারিস্টটল সম্পর্কে ৫০+ গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর

অ্যারিস্টটল কে ছিলেন?
অ্যারিস্টটল ছিলেন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।

অ্যারিস্টটল কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
তিনি খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪ সালে গ্রীসের স্টাগিরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

অ্যারিস্টটলের পিতার নাম কী ছিল?
অ্যারিস্টটলের পিতার নাম ছিল নিকোম্যাকাস।

অ্যারিস্টটলের মাতার নাম কী ছিল?
তাঁর মাতার নাম ছিল ফাইস্টিস।

অ্যারিস্টটলের শিক্ষক কে ছিলেন?
তাঁর শিক্ষক ছিলেন মহান দার্শনিক প্লেটো।

অ্যারিস্টটল কোন দার্শনিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন?
তিনি প্লেটোর একাডেমির ছাত্র ছিলেন।

অ্যারিস্টটল কোন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন?
তিনি লাইসিয়াম (Lyceum) নামক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

অ্যারিস্টটল কার শিক্ষক ছিলেন?
তিনি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের শিক্ষক ছিলেন।

অ্যারিস্টটল কাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন?
তিনি মেসিডোনিয়ার রাজপুত্র আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটকে শিক্ষা দিয়েছিলেন।

অ্যারিস্টটলের জন্ম সাল কত?
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪ সাল।

অ্যারিস্টটলের জন্মস্থান কোথায়?
স্টাগিরা, মেসিডোনিয়া, গ্রীস।

অ্যারিস্টটল কোথায় পড়াশোনা করেন?
তিনি এথেন্সে প্লেটোর একাডেমিতে পড়াশোনা করেন।

অ্যারিস্টটল কোন দর্শনের প্রবক্তা ছিলেন?
তিনি বাস্তববাদী দর্শনের প্রবক্তা ছিলেন।

অ্যারিস্টটলকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
তাঁকে “বিজ্ঞান ও যুক্তির জনক” বলা হয়।

অ্যারিস্টটলের বিখ্যাত গ্রন্থের নাম কী?
Politics, Poetics, Ethics, Metaphysics, Rhetoric প্রভৃতি।

অ্যারিস্টটলের নৈতিকতার গ্রন্থের নাম কী?
Nicomachean Ethics।

অ্যারিস্টটলের রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
Politics।

অ্যারিস্টটলের সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
Poetics।

অ্যারিস্টটল কোন ভাষায় লিখতেন?
তিনি প্রাচীন গ্রিক ভাষায় লিখতেন।

অ্যারিস্টটলের মতে মানুষ কেমন প্রাণী?
অ্যারিস্টটল বলেছেন, “মানুষ সামাজিক প্রাণী।”

অ্যারিস্টটলের মৃত্যুর সাল কত?
খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২ সাল।

অ্যারিস্টটল কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
তিনি ইউবোয়া নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন।

অ্যারিস্টটল কত বছর বেঁচে ছিলেন?
তিনি প্রায় ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

অ্যারিস্টটলের দর্শনের মূল বিষয় কী?
অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তির সমন্বয়।

অ্যারিস্টটল কোন যুগের দার্শনিক ছিলেন?
তিনি প্রাচীন গ্রীক যুগের দার্শনিক ছিলেন।

অ্যারিস্টটল কীভাবে জ্ঞান অর্জন করতেন?
তিনি পর্যবেক্ষণ ও বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতেন।

অ্যারিস্টটলের মতে দর্শনের উদ্দেশ্য কী?
মানুষের জীবনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ও নৈতিকতার ব্যাখ্যা দেওয়া।

অ্যারিস্টটল জীববিজ্ঞানের কোন দিকটি উন্নত করেন?
তিনি প্রাণী ও উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাসের ধারণা দেন।

অ্যারিস্টটল পদার্থবিদ্যা সম্পর্কে কী বলেন?
তিনি প্রাকৃতিক উপাদান ও গতির কারণ নিয়ে বিশ্লেষণ করেন।

অ্যারিস্টটল রাজনীতিকে কীভাবে দেখেছেন?
তিনি রাজনীতিকে সমাজের নৈতিক শৃঙ্খলার অংশ হিসেবে দেখেছেন।

অ্যারিস্টটল যুক্তিবিদ্যার কোন অংশটি উদ্ভাবন করেন?
তিনি “সিলোজিজম” (Syllogism) বা যুক্তির তিন ধাপ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন।

অ্যারিস্টটল নৈতিকতার কোন ধারণা দেন?
তিনি মধ্যপন্থা বা “Golden Mean” তত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন।

অ্যারিস্টটল কেন প্লেটোর সঙ্গে মতবিরোধে জড়ান?
কারণ অ্যারিস্টটল বাস্তব অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেন, প্লেটো ছিলেন ভাববাদী।

অ্যারিস্টটল কোন রাজাকে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন?
তিনি আলেকজান্ডারের পিতা রাজা ফিলিপের উপদেষ্টা ছিলেন।

অ্যারিস্টটল কোন বিষয়ের জনক?
তিনি যুক্তিবিদ্যা ও জীববিজ্ঞানের জনক।

অ্যারিস্টটলের মতে শিক্ষার উদ্দেশ্য কী?
মানুষকে নৈতিক ও যুক্তিবান করা।

অ্যারিস্টটলের মতে নৈতিকতা কীভাবে অর্জিত হয়?
অভ্যাস ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে।

অ্যারিস্টটল কোথায় তাঁর বিদ্যালয় স্থাপন করেন?
এথেন্সে।

অ্যারিস্টটল কত বছর প্লেটোর অধীনে শিক্ষা নেন?
প্রায় ২০ বছর।

অ্যারিস্টটলের ছাত্রদের বলা হতো কী?
Peripatetics (যারা হাঁটতে হাঁটতে আলোচনা করতেন)।

অ্যারিস্টটল কোন চিন্তাধারার সূচনা করেন?
বাস্তববাদী ও প্রায়োগিক চিন্তাধারা।

অ্যারিস্টটল কোন দার্শনিকের চিন্তাধারার সমালোচনা করেন?
প্লেটোর চিন্তাধারার।

অ্যারিস্টটল কাকে নৈতিক জীবনের আদর্শ মনে করেন?
যিনি জ্ঞান ও বুদ্ধির সমন্বয়ে কাজ করেন।

অ্যারিস্টটলের মতে সুখের উৎস কী?
নৈতিকতা ও জ্ঞানের সমন্বিত জীবনযাপন।

অ্যারিস্টটলের লেখা “Poetics” কোন বিষয়ের উপর?
সাহিত্য ও নাট্যকলা বিষয়ে।

অ্যারিস্টটল “Metaphysics” গ্রন্থে কী নিয়ে আলোচনা করেছেন?
অস্তিত্ব, সত্তা ও বাস্তবতার প্রকৃতি নিয়ে।

অ্যারিস্টটলের মতে রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য কী?
মানুষকে নৈতিক ও পূর্ণাঙ্গ জীবন যাপন করতে সহায়তা করা।

অ্যারিস্টটল কার মৃত্যুর পর এথেন্স ত্যাগ করেন?
প্লেটোর মৃত্যুর পর।

অ্যারিস্টটলের মৃত্যুর কারণ কী ছিল?
তিনি অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

অ্যারিস্টটলকে আধুনিক বিজ্ঞানে কী নামে ডাকা হয়?
Father of Logic and Biology।

অ্যারিস্টটলের ভাবধারা কোথায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে?
পাশ্চাত্য দর্শন, রাজনীতি ও বিজ্ঞানে।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url