চতুর্ভুজ কাকে বলে | চতুর্ভুজের কর্ণ কয়টি | চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফলের সূত্র কি
চতুর্ভুজ, গাণিতিক জ্যামিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ আকার, যা চারটি সোজা রেখার সংযোগে গঠিত হয়। এই আকারটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং প্রতিটি ধরনের নিজস্ব বিশেষত্ব ও গাণিতিক গুণাবলী রয়েছে। চতুর্ভুজের প্রতিটি কোণ, পার্শ্ব এবং ক্ষেত্রফল গণনার মাধ্যমে এর ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা যায়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন স্থানে, যেমন বিল্ডিংয়ের ডিজাইন, রাস্তা নির্মাণ এবং অনেক প্রাকৃতিক কাঠামোতে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন প্রকারের চতুর্ভুজ যেমন, বর্গ, আয়তন, আয়তাকার, ত্রিভুজমূলক এবং বিশেষ ধরনের চতুর্ভুজের গঠন, তার গণনা পদ্ধতি এবং বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করলে, আমরা এর গুরুত্ব এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব। এই আর্টিকেলে, চতুর্ভুজের প্রকারভেদ, এর গঠন, বৈশিষ্ট্য এবং বিভিন্ন প্রয়োগের দিকগুলি বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।
চতুর্ভুজ কাকে বলে
চতুর্ভুজ একটি গাণিতিক আকার যা চারটি সোজা রেখার সংযোগে গঠিত হয়। অর্থাৎ, চারটি সোজা রেখা একে অপরকে যুক্ত করে একটি ক্ষেত্র তৈরি করে, যা চতুর্ভুজ নামে পরিচিত। এই রেখাগুলির প্রতি দুটি রেখা একে অপরের সাথে একটি কোণ তৈরি করে এবং চারটি কোণের মাধ্যমে চতুর্ভুজটি পূর্ণ হয়। চতুর্ভুজের বিভিন্ন প্রকার যেমন বর্গ, আয়তন, ত্রিভুজমূলক এবং অন্যান্য বিশেষ ধরনের চতুর্ভুজ থাকতে পারে, যার প্রতিটি গঠন ও বৈশিষ্ট্য আলাদা।
চতুর্ভুজ কোন সমাস
চতুর্ভুজ একটি যোজী সমাস (Compounded word)। এখানে দুটি শব্দ "চতুর" (চার) এবং "ভুজ" (দিক বা কোণ) একত্রিত হয়ে "চতুর্ভুজ" শব্দটি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ, "চতুর" এবং "ভুজ" শব্দ দুটি মিলিয়ে এটি গঠন হয়েছে, যা চারটি কোণ বা দিকবিশিষ্ট আকার বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
চতুর্ভুজ কত প্রকার ও কি কি
চতুর্ভুজ প্রধানত চারটি প্রকারে ভাগ করা যায়:
-
বর্গ (Square): চারটি সমান পাশ এবং চারটি ৯০° কোণ থাকে।
-
আয়তন (Rectangle): দুইটি বিপরীত পাশে সমান এবং চারটি ৯০° কোণ থাকে।
-
তীক্ষ্ণকোণী চতুর্ভুজ (Rhombus): চারটি সমান পাশ থাকে, তবে কোণগুলো ৯০° না হয়ে তীক্ষ্ণ বা বিস্তৃত হতে পারে।
-
প্রবালকোণী চতুর্ভুজ (Trapezium): এক জোড়া বিপরীত পাঁশ সমান এবং কোণগুলি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
এছাড়াও, কিছু বিশেষ ধরনের চতুর্ভুজও থাকতে পারে, যেমন পারলেলোগ্রাম, যেখানে বিপরীত পাশে সমান এবং বিপরীত কোণও সমান হয়।
একটি চতুর্ভুজের কয়টি কর্ণ থাকে
একটি চতুর্ভুজের দুটি কর্ণ থাকে। কর্ণ হলো সেই রেখাগুলি, যা চতুর্ভুজের বিপরীত কোণগুলোকে সংযুক্ত করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বর্গ বা আয়তনের দুটি কর্ণ থাকে, যেগুলি একে অপরকে কেন্দ্রবিন্দুতে একত্রিত হয়।
চতুর্ভুজের চার কোণের সমষ্টি কত
একটি চতুর্ভুজের চার কোণের সমষ্টি সবসময় ৩৬০° হয়। এটি গাণিতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, যে কোনো চতুর্ভুজের চারটি কোণের যোগফল ৩৬০° হবে।
চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফলের সূত্র কি
চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল নির্ভর করে তার প্রকারের উপর। তবে সাধারণভাবে, কিছু চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফলের সূত্র নিম্নরূপ:
-
আয়তন (Rectangle) এর ক্ষেত্রফল:
-
বর্গ (Square) এর ক্ষেত্রফল:
-
পারলেলোগ্রাম (Parallelogram) এর ক্ষেত্রফল:
-
রহম্বাস (Rhombus) এর ক্ষেত্রফল:
-
ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজ (Trapezium) এর ক্ষেত্রফল:
এই সূত্রগুলো চতুর্ভুজের ধরন অনুযায়ী ক্ষেত্রফল নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
চতুর্ভুজের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র
চতুর্ভুজের পরিসীমা (Perimeter) নির্ণয় করার সূত্র সাধারণভাবে নিচে দেওয়া হয়েছে:
-
আয়তন (Rectangle) এর পরিসীমা:
-
বর্গ (Square) এর পরিসীমা:
-
রহম্বাস (Rhombus) এর পরিসীমা:
-
পারলেলোগ্রাম (Parallelogram) এর পরিসীমা:
-
ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজ (Trapezium) এর পরিসীমা:
এই সূত্রগুলো চতুর্ভুজের প্রতিটি পাশের দৈর্ঘ্য যোগ করে পরিসীমা বের করতে সাহায্য করে।
চতুর্ভুজ সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্ন: চতুর্ভুজ কী?
উত্তর: চতুর্ভুজ একটি জ্যামিতিক আকার, যা চারটি সোজা রেখার সংযোগে তৈরি হয়। এতে চারটি কোণ এবং চারটি পার্শ্ব থাকে।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের প্রকার কয়টি?
উত্তর: চতুর্ভুজ প্রধানত পাঁচটি প্রকারে বিভক্ত: বর্গ, আয়তন, রহম্বাস, পারলেলোগ্রাম, এবং ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজ (Trapezium)।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল তার প্রকারের উপর নির্ভর করে। যেমন:
-
আয়তনের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ।
-
বর্গের ক্ষেত্রফল = পাশ × পাশ।
-
রহম্বাসের ক্ষেত্রফল = ।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের পরিসীমা কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজের পরিসীমা তার প্রতিটি পাশের দৈর্ঘ্য যোগ করে বের করা হয়। যেমন:
-
আয়তনের পরিসীমা = ২ × (দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)।
-
বর্গের পরিসীমা = ৪ × পাশ।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কর্ণ কি?
উত্তর: চতুর্ভুজের কর্ণ হলো সেই রেখা যা চতুর্ভুজের বিপরীত কোণগুলোকে সংযুক্ত করে। একটি চতুর্ভুজে দুটি কর্ণ থাকে।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোণগুলি কীভাবে থাকে?
উত্তর: চতুর্ভুজের মোট চারটি কোণ থাকে, এবং তাদের যোগফল সর্বদা ৩৬০° হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের আয়তন ও বর্গের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: আয়তন হলো চারটি সোজা রেখার সমান্তরাল আকার, যেখানে বিপরীত দিকগুলি সমান থাকে। বর্গ হলো বিশেষ ধরনের আয়তন, যেখানে সব পাশ সমান হয় এবং কোণগুলি ৯০° থাকে।
প্রশ্ন: রহম্বাস কি?
উত্তর: রহম্বাস হলো একটি চতুর্ভুজ যার সব পাশ সমান থাকে, তবে কোণগুলো ৯০° না হয়ে তীক্ষ্ণ বা বিস্তৃত হতে পারে।
প্রশ্ন: পারলেলোগ্রাম কী?
উত্তর: পারলেলোগ্রাম হলো একটি চতুর্ভুজ যেখানে বিপরীত পাশে সমান এবং বিপরীত কোণগুলি সমান থাকে।
প্রশ্ন: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজ কী?
উত্তর: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজ (Trapezium) হলো একটি চতুর্ভুজ যার এক জোড়া বিপরীত পাশ সমান থাকে এবং অন্য জোড়ার দৈর্ঘ্য আলাদা।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য কোন সূত্র ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি চতুর্ভুজের নিজস্ব সূত্র রয়েছে, যেমন আয়তন = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ, বর্গ = পাশ², রহম্বাস = ।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের পরিসীমা কত?
উত্তর: চতুর্ভুজের পরিসীমা তার প্রতিটি পাশের যোগফল হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোণগুলি কত?
উত্তর: চতুর্ভুজের কোণগুলি সর্বদা ৩৬০° হয়।
প্রশ্ন: আয়তনের চারটি পাশের দৈর্ঘ্য কি সমান হয়?
উত্তর: না, আয়তনের বিপরীত দুইটি পাশ সমান হয়, কিন্তু একে অপরের সমান হয় না।
প্রশ্ন: বর্গের ক্ষেত্রফল কিভাবে বের করা হয়?
উত্তর: বর্গের ক্ষেত্রফল = পাশ × পাশ।
প্রশ্ন: একটি চতুর্ভুজের কর্ণ দুটি কি সমান হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, সাধারণত আয়তন ও বর্গের কর্ণ দুটি সমান হয়, কিন্তু অন্য ধরনের চতুর্ভুজে কর্ণ সমান নাও হতে পারে।
প্রশ্ন: পারলেলোগ্রামের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র কী?
উত্তর: পারলেলোগ্রামের ক্ষেত্রফল = আধার × উচ্চতা।
প্রশ্ন: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল কিভাবে বের হয়?
উত্তর: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল = ।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোণগুলি কীভাবে গণনা করা হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজের কোণগুলি সবসময় ৩৬০° যোগফল হয়, এবং প্রতিটি কোণ আলাদা হতে পারে।
প্রশ্ন: আয়তন ও বর্গের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: আয়তন হলো চতুর্ভুজ যার বিপরীত দুইটি পাশ সমান থাকে, তবে বর্গের সব পাশ সমান হয়।
প্রশ্ন: রহম্বাস ও পারলেলোগ্রাম কিভাবে আলাদা?
উত্তর: রহম্বাসের সব পাশ সমান হয়, কিন্তু পারলেলোগ্রামে বিপরীত পাশ সমান হয়।
প্রশ্ন: একটি চতুর্ভুজের সব পাশ কি সমান হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, যদি চতুর্ভুজটি রহম্বাস বা বর্গ হয়, তবে তার সব পাশ সমান হতে পারে।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের ভেতর কোণগুলি কি সবসময় ৯০° হয়?
উত্তর: না, চতুর্ভুজের কোণগুলি ৯০° হতে হবে না, শুধু বর্গ ও আয়তনে তা ৯০° হয়।
প্রশ্ন: পারলেলোগ্রামের এক কোণের মান কত?
উত্তর: পারলেলোগ্রামে বিপরীত কোণ সমান হয়, এবং তাদের যোগফল ১৮০° হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের ডায়াগোনাল কী?
উত্তর: চতুর্ভুজের ডায়াগোনাল হলো সেই রেখা যা বিপরীত কোণগুলোকে সংযুক্ত করে।
প্রশ্ন: আয়তন ও বর্গের ক্ষেত্রে কোণ কী হয়?
উত্তর: আয়তন ও বর্গের কোণ সবসময় ৯০° হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোন ধরনের প্রয়োগ রয়েছে?
উত্তর: চতুর্ভুজের ব্যবহার বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ, ডিজাইন, স্থাপত্য এবং প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের গঠন কেমন হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজ গঠিত হয় চারটি সোজা রেখার সংযোগে এবং চারটি কোণ থাকে।
প্রশ্ন: রহম্বাস ও রেকটেঙ্গলের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: রহম্বাসে সব পাশ সমান থাকে, কিন্তু রেকটেঙ্গলে বিপরীত পাশ সমান হয়।
প্রশ্ন: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের উচ্চতা কিভাবে মাপা হয়?
উত্তর: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের উচ্চতা হলো দুইটি বেসের মধ্যে সোজা লম্ব টানানো দূরত্ব।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের আকার কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজের আকার নির্ভর করে তার পাস, কোণ এবং কর্ণের ওপর।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোন প্রকারে ৪টি সমান কোণ থাকে?
উত্তর: বর্গে ৪টি সমান কোণ থাকে, প্রতিটি কোণ ৯০° হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের ব্যবহারের প্রধান স্থান কী?
উত্তর: চতুর্ভুজ বিভিন্ন স্থাপত্য, ডিজাইন এবং প্রকৌশল কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন: আয়তন বা বর্গের ক্ষেত্রে কোণ কেমন থাকে?
উত্তর: আয়তন বা বর্গের কোণ সবসময় ৯০° হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোণসমূহের যোগফল কত?
উত্তর: চতুর্ভুজের কোণসমূহের যোগফল সর্বদা ৩৬০° হয়।
প্রশ্ন: কোন চতুর্ভুজের সব পাশ সমান হয়?
উত্তর: রহম্বাস ও বর্গের সব পাশ সমান হয়।
প্রশ্ন: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের কি কোনো নির্দিষ্ট কোণ থাকে?
উত্তর: না, ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের কোণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
নিচে চতুর্ভুজ সম্পর্কিত আরও কিছু সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর দেওয়া হলো:
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কর্ণ দুটি কখন সমান হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজের কর্ণ দুটি তখন সমান হয় যখন চতুর্ভুজটি আয়তন বা বর্গ হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোণ কত ধরনের হতে পারে?
উত্তর: চতুর্ভুজের কোণ তীক্ষ্ণ (90° এর কম), তীক্ষ্ণ (90° এর বেশি), বা সমকোণ হতে পারে, তবে কোণের যোগফল সবসময় ৩৬০°।
প্রশ্ন: একটি চতুর্ভুজের যদি এক কোণ ৯০° হয়, তাহলে বাকী কোণগুলি কীভাবে নির্ণয় করা হবে?
উত্তর: বাকী কোণগুলি ২৭০° হবে, যেহেতু চতুর্ভুজের কোণগুলোর যোগফল সর্বদা ৩৬০° হয়।
প্রশ্ন: রহম্বাসের ক্ষেত্রফল কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর: রহম্বাসের ক্ষেত্রফল = এক পাশ × উচ্চতা (উল্লম্ব দূরত্ব)।
প্রশ্ন: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের কোণগুলো কেমন হতে পারে?
উত্তর: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের কোণগুলো ভিন্ন হতে পারে, তবে একটি কোণ ৯০° হতে পারে।
প্রশ্ন: একটি চতুর্ভুজের বিপরীত পাশ সমান হলে সেটা কোন প্রকারের চতুর্ভুজ?
উত্তর: যদি একটি চতুর্ভুজের বিপরীত পাশ সমান হয়, তাহলে সেটি পারলেলোগ্রাম।
প্রশ্ন: বর্গের সঠিক কোণ কত?
উত্তর: বর্গের প্রতিটি কোণ ৯০° হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের গঠন কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজের গঠন নির্ভর করে তার পাস এবং কোণের উপর। যেমন বর্গে সব পাশ সমান এবং কোণ ৯০°।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের পারসেন্টেজ ক্ষেত্রফল কিভাবে বের হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল নির্ভর করে তার প্রকারের উপর, প্রতিটি প্রকারের জন্য আলাদা আলাদা সূত্র রয়েছে।
প্রশ্ন: একে অপরকে সমান্তরাল দুটি পাশ থাকলে তা কী চতুর্ভুজ?
উত্তর: একে অপরকে সমান্তরাল দুটি পাশ থাকলে সেটি পারলেলোগ্রাম।
প্রশ্ন: আয়তনের কোন দুটি পাশ সমান হয়?
উত্তর: আয়তনের বিপরীত পাশ সমান হয়।
প্রশ্ন: বর্গের ক্ষেত্রফল কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর: বর্গের ক্ষেত্রফল = পাশ × পাশ।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য কোনো সাধারণ সূত্র আছে কি?
উত্তর: না, চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য আলাদা আলাদা সূত্র থাকে, যেমন আয়তন = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ, বর্গ = পাশ², রহম্বাস = ।
প্রশ্ন: আয়তন ও বর্গের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: আয়তন হলো চতুর্ভুজ যার বিপরীত পাশ সমান থাকে, তবে বর্গের সব পাশ সমান হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোন ধরনের প্রয়োগ রয়েছে?
উত্তর: চতুর্ভুজের ব্যবহার বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ, ডিজাইন, স্থাপত্য এবং প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: বর্গের কোণ কত?
উত্তর: বর্গের প্রতিটি কোণ ৯০° হয়।
প্রশ্ন: পারলেলোগ্রামের ক্ষেত্রফল কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর: পারলেলোগ্রামের ক্ষেত্রফল = আধার × উচ্চতা।
প্রশ্ন: একটি চতুর্ভুজের পাস কত হতে পারে?
উত্তর: চতুর্ভুজের পাস হতে পারে বিভিন্ন আকারের, এবং একে অপরের সমান নাও হতে পারে।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কর্ণ কি সবসময় সমান হয়?
উত্তর: না, চতুর্ভুজের কর্ণ সবসময় সমান হয় না, তবে আয়তন ও বর্গে কর্ণ সমান হয়।
প্রশ্ন: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের উচ্চতা কীভাবে মাপা হয়?
উত্তর: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের উচ্চতা হলো দুইটি বেসের মধ্যে সোজা লম্ব টানানো দূরত্ব।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের আকার কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
উত্তর: চতুর্ভুজের আকার নির্ভর করে তার পাস, কোণ এবং কর্ণের ওপর।
প্রশ্ন: আয়তন বা বর্গের ক্ষেত্রে কোণ কী হয়?
উত্তর: আয়তন বা বর্গের কোণ সবসময় ৯০° হয়।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের কোণসমূহের যোগফল কত?
উত্তর: চতুর্ভুজের কোণসমূহের যোগফল সর্বদা ৩৬০° হয়।
প্রশ্ন: কোন চতুর্ভুজের সব পাশ সমান হয়?
উত্তর: রহম্বাস ও বর্গের সব পাশ সমান হয়।
প্রশ্ন: ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের কি কোনো নির্দিষ্ট কোণ থাকে?
উত্তর: না, ত্র্যভুজমূলক চতুর্ভুজের কোণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের ব্যবহার কোথায় বেশি?
উত্তর: চতুর্ভুজের ব্যবহার নির্মাণ, স্থাপত্য, এবং ডিজাইন কাজে সবচেয়ে বেশি হয়।
প্রশ্ন: আয়তনের পারসেন্টেজ ক্ষেত্রফল কত?
উত্তর: আয়তনের ক্ষেত্রফল হিসাব করতে হবে দৈর্ঘ্য × প্রস্থ দিয়ে।
প্রশ্ন: আয়তন ও বর্গের পার্থক্য কী?
উত্তর: আয়তন হলো চারটি সমান্তরাল পার্শ্ব বিশিষ্ট চতুর্ভুজ, যেখানে বর্গ হলো এক ধরনের আয়তন যেখানে সব পাশ সমান এবং কোণ ৯০°।
প্রশ্ন: চতুর্ভুজের পারলেলোগ্রাম এবং রহম্বাসের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: পারলেলোগ্রামে বিপরীত পাশ সমান থাকে, কিন্তু রহম্বাসে সব পাশ সমান হয়।
প্রশ্ন: পারলেলোগ্রামে কোন দুটি কোণ সমান থাকে?
উত্তর: পারলেলোগ্রামে বিপরীত কোণসমূহ সমান থাকে।
প্রশ্ন: রহম্বাসের উচ্চতা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর: রহম্বাসের উচ্চতা হলো উল্লম্বভাবে টানা একটি রেখা যা পৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে উঠে থাকে।
প্রশ্ন: একটি চতুর্ভুজের এক পাশ যদি ১০ সেমি, অন্য পাশ ১২ সেমি এবং বিপরীত পাশ ১০ সেমি হয়, তবে তার পরিসীমা কত?
উত্তর: পরিসীমা হবে ১০ + ১২ + ১০ + ১২ = ৪৪ সেমি।
প্রশ্ন: একটি বর্গের এক পাশ ৮ সেমি হলে, তার ক্ষেত্রফল কত হবে?
উত্তর: ক্ষেত্রফল = ৮ × ৮ = ৬৪ বর্গ সেমি।