রেখা কি । রেখা কাকে বলে | কত প্রকার ও কি কি
গণিত আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর বিভিন্ন শাখার মধ্যে জ্যামিতি এক অনন্য শাখা, যেখানে আমরা বিভিন্ন আকৃতি, স্থান এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করি। জ্যামিতির একটি মৌলিক উপাদান হলো “রেখা”। রেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক ধারণা যা দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়। এই প্রবন্ধে আমরা জানতে চেষ্টা করবো রেখা কী, রেখার প্রকারভেদ, এবং এটি কীভাবে জ্যামিতিতে ব্যবহৃত হয়।
রেখা কি । রেখা কাকে বলে
রেখা হলো জ্যামিতির একটি মৌলিক উপাদান যা বিন্দুর মাধ্যমে গঠিত হয়। দুটি বা ততোধিক বিন্দুকে সরলভাবে সংযুক্ত করলে যে চিহ্ন বা গঠনটি তৈরি হয়, তাকে রেখা বলা হয়। রেখার কোনও প্রস্থ বা পুরুত্ব থাকে না, এটি শুধুমাত্র দৈর্ঘ্য দ্বারা নির্ধারিত হয়।
রেখা সাধারণত দুইভাবে হতে পারে সীমিত এবং অসীম। দুটি নির্দিষ্ট বিন্দুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে তাকে রেখাংশ বলে, আর যদি দুইদিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, তবে তাকে সরলরেখা বলা হয়। এছাড়াও, যদি রেখার একটি প্রান্ত নির্দিষ্ট থাকে এবং অন্য প্রান্ত অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, তাকে রশ্মি বলে।
জ্যামিতিতে রেখার প্রকারভেদ গুরুত্বপূর্ণ, যেমন সমান্তরাল রেখা, ছেদকারী রেখা, লম্ব রেখা ইত্যাদি। রেখা একটি তলের মধ্যে যে কোনো আকৃতির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং এটি দিয়ে কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজসহ নানা জ্যামিতিক আকৃতি গঠন করা হয়।
দ্রাঘিমা রেখা কাকে বলে
দ্রাঘিমা রেখা হলো কল্পিত উল্লম্ব রেখা যা পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। এগুলো পৃথিবীকে পূর্ব এবং পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করে। প্রধান দ্রাঘিমা রেখা বা Prime Meridian গ্রিনিচ (Greenwich), লন্ডন থেকে অতিক্রম করেছে এবং এটিকে ০° দ্রাঘিমা ধরা হয়।
প্রধান দ্রাঘিমার পূর্বে ১° থেকে ১৮০° পূর্ব দ্রাঘিমা এবং পশ্চিমে ১° থেকে ১৮০° পশ্চিম দ্রাঘিমা নির্ধারণ করা হয়। পৃথিবীতে মোট ৩৬০টি দ্রাঘিমা রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এই রেখাগুলো পৃথিবীর ঘূর্ণনের ভিত্তিতে সময় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দ্রাঘিমা রেখা ও অক্ষাংশ রেখা মিলেই পৃথিবীর অবস্থান বা স্থান নির্ধারণ করা যায়। যেমন: ২৩° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমা মানে বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট স্থান।
সুতরাং, দ্রাঘিমা রেখা হলো পৃথিবীর ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয়, সময় গণনা এবং মানচিত্র অঙ্কনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
দিগন্ত রেখা কাকে বলে
দিগন্ত রেখা হলো সেই কাল্পনিক সরলরেখা, যেখানে মনে হয় আকাশ ও পৃথিবী একত্রে মিলিত হয়েছে। বাস্তবে আকাশ ও ভূমি কখনো একসাথে মিশে না, কিন্তু চোখে মনে হয় তারা একটি রেখায় গিয়ে মিলেছেএই দৃশ্যমান রেখাকেই দিগন্ত রেখা বলে। এটি সাধারণত সমুদ্রতট, মাঠ বা খোলা প্রান্তরে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
দিগন্ত রেখা পৃথিবীর গোলাকৃতি আকৃতির কারণে সৃষ্টি হয়। মানুষ যখন সমতল ভূমিতে দাঁড়ায়, তখন তার দৃষ্টিসীমা অনুযায়ী আকাশ ও ভূমির মিলনস্থল একটি রেখা হিসেবে ধরা পড়ে। দিগন্ত রেখা স্থির নয়; উচ্চতা বাড়ালে দিগন্ত আরও দূরে চলে যায়, যেমন পাহাড়ে বা উঁচু ভবনে উঠে তাকালে দিগন্ত আরও বিস্তৃত মনে হয়।
ভূগোল, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও শিল্পকর্মে দিগন্ত রেখার ধারণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি দৃষ্টিপথ ও দূরত্ব নির্ধারণে সহায়তা করে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অনন্য উপাদান হিসেবেও বিবেচিত।
সমচাপ রেখা কাকে বলে
সমচাপ রেখা হলো মানচিত্রে এক ধরনের কাল্পনিক রেখা, যা পৃথিবীর উপর একই বায়ুচাপযুক্ত স্থানের বিন্দুগুলোকে সংযুক্ত করে। এই রেখাগুলোকে ইংরেজিতে Isobar বলা হয়। সমচাপ রেখার মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের বায়ুচাপের পার্থক্য নির্ণয় করা যায়, যা আবহাওয়া বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যখন মানচিত্রে ঘন ঘন সমচাপ রেখা দেখা যায়, তখন বোঝা যায় ওই অঞ্চলে বায়ুচাপের পরিবর্তন তীব্র এবং সম্ভবত বাতাসের গতি বেশি। অন্যদিকে, রেখাগুলোর মধ্যে ব্যবধান বেশি হলে বোঝা যায় বাতাস শান্ত এবং চাপের পরিবর্তন কম।
সমচাপ রেখার মাধ্যমে নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ অঞ্চল নির্ধারণ করা যায়, যা ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি অথবা শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে। আবহাওয়াবিদরা এই রেখাগুলোর বিশ্লেষণ করে ঝড়-বৃষ্টি ও বায়ুর গতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে থাকেন। তাই সমচাপ রেখা আবহাওয়া বিজ্ঞানে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
কর্কটক্রান্তি রেখা কাকে বলে
কর্কটক্রান্তি রেখা (Tropic of Cancer) পৃথিবীর একটি কল্পিত রেখা যা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশে বিভক্ত করে। এটি পৃথিবীর সমতলের ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত। কর্কটক্রান্তি রেখাটি পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে, যেখান থেকে সূর্যের আলো সরাসরি পরিণত হয় গ্রীষ্মকালীন সূর্যাস্তের সময়।
এটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের কেন্দ্রের সাথে ২৩.৫° কোণে অবস্থান করে, এবং এটি পৃথিবীর আবর্তনচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কর্কটক্রান্তি রেখা সূর্যের সোজা রশ্মি প্রাপ্ত এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে এখানে দিনের দীর্ঘতা বেশী থাকে। এটি গ্রীষ্মকালীন অক্ষাংশে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন, কারণ পৃথিবীর যে কোন স্থান সূর্যের উজ্জ্বলতার সর্বোচ্চ অবস্থানটি এখানে পৌঁছে।
কর্কটক্রান্তি রেখা পৃথিবীর অন্যতম একটি ভূগোলিক সীমারেখা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যার কারণে এটি বিশেষ গুরুত্ব রাখে।
সমোষ্ণ রেখা কাকে বলে
সমোষ্ণ রেখা হলো এমন একটি রেখা, যা দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী পথের ওপর দিয়ে চলে এবং তা কোনও নির্দিষ্ট দিক থেকে বাঁকা বা বেঁকে থাকে। এটি সরল রেখা থেকে আলাদা, কারণ সরল রেখা একটি সোজা পথে চলে। সমোষ্ণ রেখা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অভ্যন্তরীণ বাঁক বা ঢাল থাকে, যা এর বৈশিষ্ট্য। এই রেখা কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে শুরু হয়ে একাধিক বাঁক নিয়ে চলতে থাকে এবং শেষ হয়।
এ ধরনের রেখা বাস্তব জীবনে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, যেমন নদীর গতিপথ, পাহাড়ি রাস্তায় চলা পথ ইত্যাদি। সমোষ্ণ রেখা কখনো সরল এবং কখনো বাঁকা হতে পারে। জ্যামিতিতে এই ধরনের রেখা গঠন বিভিন্ন জ্যামিতিক কনসেপ্টের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়। এটি সাধারণত দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী বিভিন্ন পথের মধ্যে থেকে একটি বাঁকা পথ হিসেবে পরিচিত।
সমোন্নতি রেখা কাকে বলে
সমোন্নতি রেখা হলো দুটি বা ততোধিক রেখার এমন একটি অবস্থা, যেখানে সমস্ত রেখা একে অপরকে সমান্তরাল থাকে এবং কখনও পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ বা ছেদ করে না। এই রেখাগুলি একই দিকের দিকে চলে এবং তাদের মধ্যে একই দূরত্ব বজায় থাকে।
যেমন, দুটি সমান্তরাল রেখার মধ্যে কখনোই কোনো কোণ তৈরি হয় না এবং তারা অদৃশ্যভাবে একে অপরকে অনুসরণ করে। প্রকৃত জ্যামিতিতে, সমোন্নতি রেখাগুলি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা গণনার নির্দিষ্ট নিয়ম ও বিশেষত নির্দিষ্ট ধরনের আকৃতি তৈরি করার জন্য উপকারী।
যদি দুটি সমোন্নতি রেখা কোন তলে থাকে, তবে তাদের মধ্যে এমন একটা অবস্থান থাকে যেখানে যদি একটি রেখা কোনো নির্দিষ্ট গতি বা তলবিশেষে চলে, তাহলে তা অন্য রেখার সাথে কখনোই মিলবে না। উদাহরণস্বরূপ, রাস্তার দুই পাশের পাথরগুলি সমোন্নতি রেখার মতো কাজ করে।
মেরু রেখা কাকে বলে
মেরু রেখা হলো একটি জ্যামিতিক ধারণা, যা বিশেষভাবে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (GPS) বা মহাকাশবিদ্যায় ব্যবহৃত হয়। এটি পৃথিবীর মেরু অঞ্চলকে অন্য স্থান বা জ্যামিতিক অবস্থানের সঙ্গে সংযোগ করে। মেরু রেখা সাধারণত পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহের অক্ষীয় রেখার সাথে সম্পর্কিত।
পৃথিবীকে যদি একটি গোলক হিসেবে ভাবা হয়, তবে মেরু রেখা সেই রেখা, যা পৃথিবীর উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুকে একে অপরের সাথে যুক্ত করে। এটি পৃথিবীর অক্ষের মাধ্যমে গঠিত। মেরু রেখার মাধ্যমে পৃথিবীর অক্ষীয় গতি এবং পৃথিবীর কোণ পরিমাপ করা হয়।
এছাড়া, মেরু রেখা ভৌগলিক নকশা, দিকনির্দেশ ও ভৌগলিক প্যারালাল হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেরু রেখা অন্যান্য রেখার সঙ্গে সন্নিবেশিত হয়ে বিভিন্ন ভূ-গণনায় সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সমান্তরাল রেখা কাকে বলে
সমান্তরাল রেখা হলো দুটি বা ততোধিক রেখা যা একে অপরকে কখনো ছেদ করে না এবং নির্দিষ্ট এক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে থাকে। এই রেখাগুলির মধ্যে কোন মিলন বা ছেদ নেই, অর্থাৎ একে অপরের সাথে কখনো সংযোগিত হয় না। সমান্তরাল রেখাগুলির দিক এবং ঢাল (slope) একরকম থাকে, অর্থাৎ তারা সমান দৃষ্টিতে চলে।
উদাহরণ হিসেবে, যদি দুটি রেখা একে অপরের পাশ দিয়ে চলতে থাকে এবং তারা কখনো একে অপরকে ছেদ না করে, তবে তারা সমান্তরাল রেখা। সমান্তরাল রেখার একটি সহজ উদাহরণ হলো রাস্তার দুই পাশে থাকা পাথর বা রেলপথের দুটি লাইন।
জ্যামিতিতে, সমান্তরাল রেখার বৈশিষ্ট্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত যখন সমান্তরালতা প্রমাণ বা সমীকরণ ব্যবহার করা হয়। সমান্তরাল রেখার সম্পর্ক এবং তাদের প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন জ্যামিতিক তত্ত্ব গঠন করা হয়।
বিষুব রেখা কাকে বলে
বিষুব রেখা পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এটি পৃথিবীকে দুই সমান ভাগে বিভক্ত করে, অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ গোলার্ধে। বিষুব রেখাটি পৃথিবীর মেরু থেকে সরাসরি সমান্তরালভাবে অবস্থিত এবং এটি পৃথিবীর কক্ষপথের প্রকৃতির একটি অংশ। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘুরে চলার সময় বিষুব রেখা পৃথিবীকে দুটি সমান অংশে ভাগ করে দেয়—একটি উত্তর গোলার্ধ এবং একটি দক্ষিণ গোলার্ধ।
বিষুব রেখা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে সমান্তরালভাবে স্থিত থাকে এবং এর আয়তন প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীকে একটি সমতল রেখা হিসেবে ভাগ করার সাথে সাথে গ্রীষ্ম এবং শীতের মৌসুমের পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখে। বিষুব রেখা পৃথিবীর জলবায়ু ও ঋতু পরিবর্তনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে, এবং এটি মহাকর্ষীয় বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
রেখা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
রেখা কী?
রেখা হলো জ্যামিতির একটি মৌলিক উপাদান যা একে অপরকে সংযুক্ত করার জন্য দুটি বিন্দু ব্যবহার করা হয়। এটি কোনও প্রস্থ বা পুরুত্ব রাখে না এবং শুধু দৈর্ঘ্য দ্বারা নির্ধারিত হয়।
সরল রেখা কাকে বলে?
সরল রেখা এমন একটি রেখা যা দুটি নির্দিষ্ট বিন্দু দ্বারা গঠিত এবং দুটি দিকেই অসীমভাবে বিস্তৃত হয়।
রেখাংশ কী?
রেখাংশ হলো একটি রেখা যা দুটি নির্দিষ্ট বিন্দুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং এটি একটি সীমিত দৈর্ঘ্য ধারণ করে।
রশ্মি কাকে বলে?
রশ্মি হলো একটি রেখা যা একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে শুরু হয়ে একটি দিক পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং অন্য দিকে অসীমভাবে চলে।
রেখার প্রকার কী কী?
রেখার প্রকারগুলো হলো সরল রেখা, রেখাংশ, রশ্মি এবং বক্র রেখা।
বক্র রেখা কাকে বলে?
বক্র রেখা এমন একটি রেখা যা একটি নির্দিষ্ট পথে বাঁক নেয় এবং এর কোনো নির্দিষ্ট দিক নেই।
কোণ এবং রেখার সম্পর্ক কী?
একটি কোণ দুটি রেখার সংযোগস্থলে গঠিত হয়, যেখানে তাদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কোণ সৃষ্টি হয়।
বিষুব রেখা কী?
বিষুব রেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে বিভক্ত করে এবং এটি পৃথিবীর অক্ষরেখার সমান্তরাল।
গোলকীয় রেখা কী?
গোলকীয় রেখা এমন একটি রেখা যা গোলকীয় পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত এবং তা নির্দিষ্ট পথে চলে।
সমান্তরাল রেখা কী?
দুটি রেখা যদি একে অপরকে ছেদ না করে এবং একে অপরের সাথে সমান্তরালভাবে চলে, তবে সেগুলিকে সমান্তরাল রেখা বলা হয়।
রেখার গ্রাফিকাল উপস্থাপনা কী?
গ্রাফে রেখা ব্যবহার করা হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ বা মান প্রদর্শন করার জন্য, যেখানে রেখা বিভিন্ন তথ্যের পরিবর্তন বা সম্পর্ক নির্দেশ করে।
লম্ব রেখা কাকে বলে?
লম্ব রেখা হলো এমন একটি রেখা যা অন্য একটি রেখার প্রতি ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে।
বাহ্যিক রেখা কী?
বাহ্যিক রেখা হলো এমন একটি রেখা যা কোনো বক্র রেখাকে স্পর্শ করে কিন্তু তার ভিতরে প্রবেশ করে না।
অভ্যন্তরীণ রেখা কী?
অভ্যন্তরীণ রেখা হলো এমন একটি রেখা যা অন্য একটি বক্র রেখার ভিতরে চলে এবং সেই বক্র রেখার অংশ হিসেবে থাকে।
সোজা রেখা এবং বাঁকা রেখার পার্থক্য কী?
সোজা রেখা একটি সরল পথ ধরে চলে, তবে বাঁকা রেখা কোন এক স্থানে বাঁক নেয় বা ঘুরে চলে।
তির্যক রেখা কাকে বলে?
তির্যক রেখা হলো এমন একটি রেখা যা দুটি কোণকে সংযোগ করে এবং একে অপরের সাথে সমান্তরাল নয়।
রেখা থেকে কোণ কিভাবে তৈরি হয়?
যখন দুটি রেখা একে অপরকে ছেদ করে, তখন তাদের মধ্যে একটি কোণ তৈরি হয়, যা তাদের সংযোগস্থলে গঠিত হয়।
রেখার সাহায্যে আকার কিভাবে গঠন করা হয়?
রেখার সাহায্যে আমরা ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত এবং অন্যান্য আকার গঠন করতে পারি।
রেখার অক্ষের সম্পর্ক কী?
রেখার অক্ষ হলো সেই রেখা যা সোজা রেখার পথ ধরে চলে, এবং এটি রেখার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
পৃথিবীর বিষুব রেখার গুরুত্ব কী?
বিষুব রেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ ঋতু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রেখার সাহায্যে পরিসীমা কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
রেখার মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের পরিসীমা বা সীমারেখা তৈরি করতে পারি, যেমন একটি ত্রিভুজ বা চতুর্ভুজের সীমানা।
রেখার অবস্থান কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
রেখার অবস্থান নির্ধারণ করা হয় তার শুরু এবং শেষ বিন্দু বা কোনো নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে।
প্রান্তিক রেখা কাকে বলে?
প্রান্তিক রেখা হলো সেই রেখা যা কোনো গঠনের সীমা নির্দেশ করে এবং সেই গঠনের বাহিরে থাকে।
রেখা জ্যামিতিতে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রেখা জ্যামিতিতে মৌলিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি বিভিন্ন আকৃতি গঠনে সহায়ক।
রেখার দৈর্ঘ্য কিভাবে পরিমাপ করা হয়?
রেখার দৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে সরল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যেমন মাপযন্ত্র বা সোজা রেখা দিয়ে তার পরিমাপ করা হয়।
ধ্রুব রেখা কাকে বলে?
ধ্রুব রেখা হলো এমন একটি রেখা যা একই স্থানে অবস্থিত এবং এটি কখনও পরিবর্তিত হয় না।
গোলকের রেখা কিভাবে গঠন করা হয়?
গোলকের রেখা হলো একটি রেখা যা গোলকীয় পৃষ্ঠে অবস্থিত এবং তা নির্দিষ্ট পথে চলে।
সীমিত রেখা এবং অসীম রেখার পার্থক্য কী?
সীমিত রেখা দুটি নির্দিষ্ট বিন্দুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে অসীম রেখা দুই দিকেই অসীমভাবে বিস্তৃত হয়।
রেখা এবং আকারের মধ্যে সম্পর্ক কী?
রেখা আকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি বিভিন্ন আকারের সীমানা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
রেখার অবস্থান পরিবর্তন কিভাবে করা হয়?
রেখার অবস্থান পরিবর্তন করতে আমরা তাকে অন্য স্থান বা দিকের সাথে সরিয়ে নিতে পারি, যা জ্যামিতির বিভিন্ন চিত্র গঠন করতে সাহায্য করে।
বক্র রেখার উদাহরণ কী?
যেমন, নদীর পথ, পাহাড়ের রেখা বা একটি বৃত্তের রেখা বক্র রেখার উদাহরণ হতে পারে।
পৃথিবীকে দুটি অংশে ভাগ করা কিভাবে হয়?
বিষুব রেখা পৃথিবীকে দুটি সমান অংশে ভাগ করে, একটি উত্তর গোলার্ধ এবং একটি দক্ষিণ গোলার্ধে।
রেখার মাধ্যমে ঋতু পরিবর্তন কিভাবে ঘটে?
বিষুব রেখার মাধ্যমে পৃথিবীর আঙুলের অক্ষের কাতানোর কারণে ঋতু পরিবর্তন হয় এবং এর ফলে গ্রীষ্ম ও শীতের পরিবর্তন ঘটে।
অবাধ রেখা কাকে বলে?
অবাধ রেখা হলো এমন একটি রেখা যা কোন সীমাবদ্ধতা ছাড়া এক দিক থেকে অন্য দিক পর্যন্ত চলে।
পরিসীমা রেখা কী?
পরিসীমা রেখা হলো সেই রেখা যা একটি নির্দিষ্ট পরিসীমার ভিতর অবস্থান করে এবং সীমানা নির্দেশ করে।
সোজা রেখার ভগ্নাংশ কিভাবে চিহ্নিত করা হয়?
সোজা রেখার ভগ্নাংশ চিহ্নিত করতে আমরা তার কোনো নির্দিষ্ট অংশ বা দিক চিহ্নিত করে সেটা আলাদা করে দেখি।
অপার্জিত রেখা কী?
অপার্জিত রেখা হলো এমন একটি রেখা যা কোনো গঠনের সীমানা পার করে চলে।