কক্সবাজার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | প্রশ্নোত্তর ও MCQ
কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি তার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্যটন কেন্দ্রের জন্য বিশ্বখ্যাত। কক্সবাজারকে “বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত” হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয়। জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অংশ এবং দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কক্সবাজারের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
কক্সবাজার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
প্রশ্ন: কক্সবাজার কোন বিভাগের অংশ?
উত্তর: চট্টগ্রাম বিভাগ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার জেলা সদর শহরের নাম কী?
উত্তর: কক্সবাজার শহর।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের খ্যাতির প্রধান কারণ কী?
উত্তর: দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: প্রায় ১২০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার সীমান্ত ভাগ করে কোন দেশের সঙ্গে?
উত্তর: মিয়ানমার।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা কত উপজেলা নিয়ে গঠিত?
উত্তর: ৮ উপজেলা।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: আধুনিক জেলা ১৮৬৯ সালে।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস কী?
উত্তর: পর্যটন, মাছ ও সামুদ্রিক সম্পদ, চা বাগান।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রধান নদী কোনটি?
উত্তর: রামু নদী ও কক্সবাজার নদী।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চল কোন উপজেলায় বেশি?
উত্তর: উখিয়া ও মহেশখালী উপজেলায়।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা বিখ্যাত হস্তশিল্পের জন্য পরিচিত?
উত্তর: বেত ও বাঁশের হস্তশিল্প।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কোনটি?
উত্তর: ইনানি বিচ, হিমছড়ি, মহেশখালী দ্বীপ।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত কেন পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়?
উত্তর: স্বচ্ছ পানি, সুন্দর বালুকাবেলা, সূর্যাস্তের দৃশ্য এবং পর্যটন সুবিধা।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের পাহাড়ি বনভূমি কোন উপজেলায় বেশি দেখা যায়?
উত্তর: টেকনাফ, উখিয়া ও মহেশখালী।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তর: কক্সবাজার সরকারি কলেজ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রধান খাদ্যপণ্য কী?
উত্তর: সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী সমুদ্রজাত খাদ্য।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার বিখ্যাত দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: মহেশখালী দ্বীপ।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের প্রখ্যাত ঝরনা কোনটি?
উত্তর: হিমছড়ি ঝরনা।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার জনসংখ্যা কত?
উত্তর: প্রায় ২০ লাখের বেশি।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে?
উত্তর: দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক অঞ্চলের অংশ কোনটি?
উত্তর: রামু–টেকনাফ বনাঞ্চল ও সমুদ্র উপকূল।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের কোন খ্যাতনামা পর্যটন শহর হিসেবে পরিচিত?
উত্তর: সমুদ্র পর্যটন শহর।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি বনাঞ্চল, নদী ও ঝরনা।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রধান উৎসব কোনটি?
উত্তর: পর্যটন উৎসব ও চা বাগানের ছুটি।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রধান চা বাগান কোনটি?
উত্তর: টেকনাফ চা বাগান।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের প্রাচীন ইতিহাসের নিদর্শন কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: মহেশখালী মঠ ও হিমছড়ি পাহাড়ে।
প্রশ্ন: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত হিসেবে কেন পরিচিত?
উত্তর: কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবে বাঁধা হয়নি এবং তার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ কিমি।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রখ্যাত হোটেল ও রিসোর্ট কোনগুলো?
উত্তর: ইনানি বিচ রিসোর্ট, সৈকত রিসোর্ট, হিমছড়ি রিসোর্ট।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রধান কৃষিপণ্য কী?
উত্তর: ধান, সবজি এবং চা।
প্রশ্ন: কক্সবাজারে সমুদ্র পর্যটনের জন্য প্রধান সময় কোনটি?
উত্তর: অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ মেলা কোনটি?
উত্তর: সমুদ্র সৈকত পর্যটন মেলা।
প্রশ্ন: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে স্থানীয়ভাবে কি বলা হয়?
উত্তর: “সোনালী বেলাভূমি”।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত বিশ্বের কোন অঞ্চলের সাথে তুলনা করা হয়?
উত্তর: থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপের সৈকতের সাথে।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার কতটি বড় দ্বীপ আছে?
উত্তর: ৭টি বড় দ্বীপ।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের সবচেয়ে পরিচিত দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: মহেশখালী দ্বীপ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা পর্যটনের জন্য কোন সুবিধা প্রদান করে?
উত্তর: হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, সমুদ্রবন্দর এবং ট্রেকিং পথ।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের পাহাড়ি বনাঞ্চলের প্রধান প্রজাতি কোনটি?
উত্তর: শেওলা, বেত, বাঁশ ও আড়ু গাছ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা কোন সমুদ্র উপকূলের পাশে অবস্থিত?
উত্তর: বঙ্গোপসাগর।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের প্রধান দর্শনীয় স্থান কোনটি?
উত্তর: ইনানি বিচ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সংক্রান্ত স্থান কোনটি?
উত্তর: মহেশখালী মঠ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রাকৃতিক ঝরনা কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয়?
উত্তর: হিমছড়ি ঝরনা।
প্রশ্ন: কক্সবাজারে পর্যটকরা কী ধরনের খেলা ও কার্যক্রম উপভোগ করতে পারে?
উত্তর: সাঁতার, সমুদ্রসৈকতে হাঁটা, সানবাথিং, সমুদ্রজাত ক্রীড়া ও ক্যাম্পিং।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের জন্য সবচেয়ে ভালো ভ্রমণের সময় কোনটি?
উত্তর: অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রধান মৎস্যজাত খাদ্য কী?
উত্তর: চিংড়ি, ইলিশ ও সমুদ্র মাছ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের কোন জনপ্রিয় পর্যটন শহরের অংশ?
উত্তর: সমুদ্র পর্যটন শহর।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি কবে পেয়েছে?
উত্তর: ২০১৪ সালে।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের প্রধান ধর্মীয় দর্শনীয় স্থান কোনটি?
উত্তর: মহেশখালী মঠ ও মসজিদ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের কোন উপজেলা সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে?
উত্তর: উখিয়া ও টেকনাফ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা পর্যটকদের জন্য কত হোটেল ও রিসোর্ট আছে প্রায়?
উত্তর: প্রায় ৩০০–৩৫০টি।
প্রশ্ন: কক্সবাজারে ট্রাফিক বা যাতায়াতের জন্য প্রধান রাস্তা কোনটি?
উত্তর: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের বন্যপ্রাণীর মধ্যে কোনটি বেশি দেখা যায়?
উত্তর: বানর, লামা, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও সামুদ্রিক প্রাণী।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলার প্রাকৃতিক বনাঞ্চল কত একর জমির?
উত্তর: প্রায় ১৫,০০০–২০,০০০ একর।
প্রশ্ন: কক্সবাজারে কোন উপজেলা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের জন্য পরিচিত?
উত্তর: উখিয়া ও টেকনাফ।
প্রশ্ন: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে পরিচিতি দেওয়া হয় কবে থেকে?
উত্তর: ১৯৮০-এর দশক থেকে।
প্রশ্ন: কক্সবাজারে পাহাড় ও সমুদ্র মিলিত দৃশ্যের জন্য কোন স্থান বিখ্যাত?
উত্তর: ইনানি বিচ ও হিমছড়ি।
প্রশ্ন: কক্সবাজারের প্রধান বনাঞ্চলের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: পাহাড়ি বন, নদী, ঝরনা এবং বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের কোন দেশের সাথে সীমান্ত ভাগ করে?
উত্তর: মিয়ানমার।
প্রশ্ন: কক্সবাজার জেলা কতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত?
উত্তর: ৮টি উপজেলা।
প্রশ্ন: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে “সোনালী বেলাভূমি” বলা হয় কেন?
উত্তর: কারণ তার বালুকাবেলা ও সূর্যের আলো প্রাকৃতিকভাবে সোনালী দেখায়।
কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের পর্যটন, শিক্ষা, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কেন্দ্র। দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি বন, নদী, ঝরনা এবং হস্তশিল্প কক্সবাজারকে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে পরিচিত করেছে। পর্যটন, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জেলার গুরুত্ব অপরিসীম।
.jpeg)