অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি লাগে | অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমান বিশ্বে পড়াশোনা, কাজ কিংবা ভ্রমণের জন্য অস্ট্রেলিয়া একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। উন্নত জীবনমান, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা ও বৈচিত্র্যময় কর্মসংস্থানের সুযোগের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ অস্ট্রেলিয়া যেতে আগ্রহী হন। তবে অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম, কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। এই আর্টিকেলে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কী কী লাগে, এবং অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে এই সকল বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।

অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি লাগে

অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি লাগে

পাসপোর্ট

অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে সর্বপ্রথম একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে এবং অন্তত দুইটি খালি পৃষ্ঠা থাকা প্রয়োজন। ই-পাসপোর্ট হলে আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়।

ভিসার গুরুত্ব

পাসপোর্টের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অস্ট্রেলিয়ান ভিসা। ভ্রমণের উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে ভিসার ধরন নির্ধারিত হয়।

টুরিস্ট ভিসা

এই ভিসা মূলত ঘুরতে যাওয়া, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করা বা স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত তিন থেকে ছয় মাসের জন্য দেওয়া হয় এবং এই ভিসায় কাজ করার অনুমতি থাকে না।

স্টুডেন্ট ভিসা

যারা অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে চান, তাদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা প্রয়োজন। এই ভিসার জন্য অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার ও CoE (Confirmation of Enrolment) থাকা বাধ্যতামূলক। স্টুডেন্ট ভিসায় সীমিত সময় পার্টটাইম কাজের সুযোগ থাকে।

ওয়ার্ক ভিসা

দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক ভিসা রয়েছে। এর জন্য নির্দিষ্ট স্কিল, কাজের অভিজ্ঞতা, ইংরেজি দক্ষতা ও অনেক ক্ষেত্রে স্পন্সর প্রয়োজন হয়।

মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে

ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ভিসার ধরন ভেদে ডকুমেন্ট ভিন্ন হলেও সাধারণভাবে কিছু কাগজপত্র সবার জন্য প্রযোজ্য। ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ ও সাম্প্রতিক ছবি জমা দিতে হয়। পাশাপাশি আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে শেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়ের উৎসের কাগজপত্র বা স্পন্সরের ডকুমেন্ট দিতে হয়।

চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরির সনদ ও ছুটির অনুমতি, ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন সার্টিফিকেট এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাগত সনদ ও মার্কশিট প্রয়োজন হয়।

ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ

স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক ভিসার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ বাধ্যতামূলক। সাধারণত IELTS, PTE বা TOEFL পরীক্ষার স্কোর গ্রহণযোগ্য। টুরিস্ট ভিসার জন্য সাধারণত এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।

মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমোদিত প্যানেল ডাক্তারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়, যা আবেদনকারীর অপরাধমূলক রেকর্ড নেই এটি প্রমাণ করে।

অনলাইন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে করা হয়। এজন্য ImmiAccount খুলে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হয়। ভিসা ফি অনলাইনে পরিশোধ করার পর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ভিসা ফি ও প্রসেসিং সময়

ভিসার ধরন অনুযায়ী ফি ও সময় ভিন্ন হয়। টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে, আর স্টুডেন্ট ভিসায় এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ওয়ার্ক ভিসার প্রসেসিং সময় আরও বেশি হতে পারে।

ভিসা পাওয়ার পর যা যা লাগবে

ভিসা পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য এয়ার টিকিট, ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স এবং থাকার ঠিকানা নিশ্চিত করা জরুরি। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসার প্রয়োজনে এসব তথ্য যাচাই করতে পারেন।

অস্ট্রেলিয়া যাওয়া সহজ নয়, তবে সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতি থাকলে প্রক্রিয়াটি অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ভিসার ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ, নিয়ম মেনে আবেদন ও ধৈর্য ধরে প্রসেসিং সময় অপেক্ষা করলেই অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারে।

   

অস্ট্রেলিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা, কাজ কিংবা ভ্রমণের জন্য বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা। যদিও অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন আইনে “একটি নির্দিষ্ট বয়স সবার জন্য বাধ্যতামূলক এমন কোনো নিয়ম নেই, তবে ভিসার ধরন অনুযায়ী বয়সসীমা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে বয়সসীমা

টুরিস্ট ভিসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই
শিশু, তরুণ বা বয়স্ক সবাই টুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন।

তবে ১৮ বছরের কম বয়স হলে

  • অভিভাবকের অনুমতি

  • গার্ডিয়ান ডকুমেন্ট
    দরকার হতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বয়স

স্টুডেন্ট ভিসায় বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

  • ন্যূনতম বয়স: সাধারণত ১৮ বছর

  • ১৮ বছরের কম হলে

    • লিগ্যাল গার্ডিয়ান

    • Welfare Arrangement
      প্রয়োজন হয়।

আদর্শ বয়স সীমা (সাধারণ ধারণা)

  • ডিপ্লোমা: ১৮–২৫ বছর

  • ব্যাচেলর: ১৮–৩০ বছর

  • মাস্টার্স: ২১–৩৫ বছর

নোট: বয়স বেশি হলেও স্টাডি গ্যাপ ও প্রোফাইল ভালো হলে ভিসা পাওয়া সম্ভব।

ওয়ার্ক ভিসার ক্ষেত্রে বয়স

ওয়ার্ক ভিসায় বয়স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

  • সর্বোচ্চ বয়সসীমা: সাধারণত ৪৫ বছর

  • কিছু ভিসায় আবেদন করার সময় বয়স ৪৫ বছরের কম হতে হয়।

Skilled Migration (PR পয়েন্ট সিস্টেম)

  • ২৫–৩২ বছর → সর্বোচ্চ পয়েন্ট

  • ৩৩–৩৯ বছর → মাঝারি পয়েন্ট

  • ৪০–৪৪ বছর → কম পয়েন্ট

  • ৪৫+ → সাধারণত অযোগ্য

পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (PR) এর জন্য বয়স

PR-এর ক্ষেত্রে

  • আবেদন করার সময় বয়স ৪৫ বছরের নিচে থাকতে হয়

  • কম বয়স হলে পয়েন্ট বেশি পাওয়া যায়

  • বয়স যত বাড়ে, PR পাওয়া তত কঠিন হয়

ফ্যামিলি বা স্পন্সর ভিসায় বয়স

এই ভিসাগুলোতে নির্দিষ্ট বয়সসীমা তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে মূল বিবেচ্য বিষয় হলো

  • সম্পর্কের প্রমাণ

  • স্পন্সরের যোগ্যতা

সংক্ষেপে বলা যায়

  • টুরিস্ট ভিসা: নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই

  • স্টুডেন্ট ভিসা: সাধারণত ১৮ বছর বা তার বেশি

  • ওয়ার্ক ও PR ভিসা: সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের নিচে

অস্ট্রেলিয়া যেতে IELTS কত পয়েন্ট লাগে

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা, কাজ বা স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এই দক্ষতা প্রমাণের জন্য সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা হলো IELTS (International English Language Testing System)। তবে সব ভিসায় IELTS লাগে না।

টুরিস্ট ভিসায় IELTS লাগে কি

না, টুরিস্ট ভিসার জন্য IELTS লাগে না। আপনি যদি শুধু ঘুরতে, আত্মীয়ের কাছে যেতে বা স্বল্পমেয়াদে ভিজিট করতে চান, তাহলে IELTS স্কোর দেখানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

স্টুডেন্ট ভিসায় IELTS কত লাগে

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে IELTS সাধারণত বাধ্যতামূলক

  • সাধারণ ডিপ্লোমা / সার্টিফিকেট কোর্স
    👉 Overall 5.5 ব্যান্ড (কিছু ক্ষেত্রে 5.0 গ্রহণযোগ্য)

  • ব্যাচেলর ডিগ্রি
    👉 Overall 6.0 ব্যান্ড

  • মাস্টার্স ডিগ্রি
    👉 Overall 6.5 ব্যান্ড

  • কিছু ইউনিভার্সিটি বা কোর্সে
    👉 প্রতিটি মডিউলে (Listening, Reading, Writing, Speaking) ন্যূনতম 6.0 চাওয়া হতে পারে

নোট: IELTS না থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে Pathway / ELICOS কোর্স করে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়।

ওয়ার্ক ভিসায় IELTS কত লাগে

ওয়ার্ক ভিসায় IELTS স্কোর তুলনামূলক বেশি দরকার হয়।

  • Minimum requirement
    👉 Overall 6.0 ব্যান্ড (প্রতিটি মডিউলে কমপক্ষে 6.0)

  • Skilled Migration (PR পয়েন্ট বাড়াতে)

    • 7.0 ব্যান্ড → অতিরিক্ত পয়েন্ট

    • 8.0 ব্যান্ড → আরও বেশি পয়েন্ট

PR (Permanent Residency) এর জন্য IELTS

যারা স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতে চান

  • Competent English: 6.0

  • Proficient English: 7.0

  • Superior English: 8.0

IELTS স্কোর যত বেশি হবে, PR পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বাড়বে।

IELTS ছাড়া কি অস্ট্রেলিয়া যাওয়া সম্ভব

কিছু ক্ষেত্রে সম্ভব

  • যদি আপনি আগে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকেন

  • কিছু ইউনিভার্সিটি Medium of Instruction (MOI) গ্রহণ করে

  • বিকল্প হিসেবে PTE Academic বা TOEFL গ্রহণযোগ্য

অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও আকর্ষণীয় দেশ। উন্নত জীবনমান, উচ্চশিক্ষা, পর্যটন ও চাকরির সুযোগের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ অস্ট্রেলিয়া যেতে আগ্রহী হন। তবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো অস্ট্রেলিয়া যেতে মোট কত টাকা লাগে?
এই আর্টিকেলে ভিসার ধরন অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সম্ভাব্য সব খরচ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ কেন ভিন্ন হয়

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর—

  • ভিসার ধরন (টুরিস্ট, স্টুডেন্ট, কাজের ভিসা)

  • ভ্রমণের সময়কাল

  • বিমান টিকিটের দাম

  • থাকার ব্যবস্থা ও জীবনযাত্রার মান

তাই একেকজনের জন্য মোট খরচ একেকরকম হতে পারে।

টুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে

যারা অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ বা আত্মীয়ের কাছে বেড়াতে যেতে চান, তাদের জন্য টুরিস্ট ভিসা সবচেয়ে সাধারণ।

টুরিস্ট ভিসার খরচ

  • ভিসা ফি: প্রায় ১৫,০০০–২০,০০০ টাকা

  • মেডিকেল ও বায়োমেট্রিক: ৫,০০০–১০,০০০ টাকা

বিমান টিকিট

  • ঢাকা থেকে সিডনি/মেলবোর্ন রিটার্ন টিকিট:
    ৮০,০০০–১,২০,০০০ টাকা

থাকা ও দৈনন্দিন খরচ (৭ দিন)

  • হোটেল/বাসস্থান: ৭০,০০০–১,২০,০০০ টাকা

  • খাবার ও লোকাল ট্রান্সপোর্ট: ৩০,০০০–৫০,০০০ টাকা

মোট আনুমানিক খরচ (টুরিস্ট)

➡️ ১,৩০,০০০ টাকা থেকে ২,৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি

স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা সবচেয়ে জনপ্রিয়।

স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত খরচ

  • স্টুডেন্ট ভিসা ফি: ৫০,০০০–৫৫,০০০ টাকা

  • মেডিকেল পরীক্ষা: ৮,০০০–১২,০০০ টাকা

  • স্বাস্থ্য বীমা (OSHC): ৩৫,০০০–৪৫,০০০ টাকা (বছরভিত্তিক)

  • IELTS/PTE (যদি লাগে): ২০,০০০–২৫,০০০ টাকা

বিমান টিকিট

  • ওয়ানওয়ে টিকিট: ৬০,০০০–৯০,০০০ টাকা

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি

  • বছরে আনুমানিক: ৮–২০ লাখ টাকা (কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে)

প্রাথমিক মোট খরচ (টিউশন বাদে)

➡️ ১,৫০,০০০–২,৫০,০০০ টাকা

কাজ বা স্কিলড ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে

অস্ট্রেলিয়ায় কাজ বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য স্কিলড বা ওয়ার্ক ভিসার খরচ তুলনামূলক বেশি।

সম্ভাব্য খরচ

  • ভিসা ফি: ২–৪ লাখ টাকা বা তার বেশি

  • স্কিল অ্যাসেসমেন্ট: ৫০,০০০–১,০০,০০০ টাকা

  • IELTS/PTE: ২০,০০০–২৫,০০০ টাকা

  • মেডিকেল ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: ১৫,০০০–২০,০০০ টাকা

➡️ মোট খরচ সাধারণত ৩–৬ লাখ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি

ভিসার ধরন অনুযায়ী ডকুমেন্টস ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত যে কাগজপত্রগুলো লাগে

পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস ভ্যালিড)
ভিসা আবেদন ফর্ম
পাসপোর্ট সাইজ ছবি
জাতীয় পরিচয়পত্র
ব্যাংক স্টেটমেন্ট / আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
মেডিকেল রিপোর্ট
ভিসা ফি রসিদ

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে

ফ্লাইটের ধরন অনুযায়ী সময় ভিন্ন হয়

ডাইরেক্ট ফ্লাইট: সাধারণত নেই
১ স্টপ ফ্লাইট: প্রায় ১৫–১৮ ঘণ্টা
২ স্টপ ফ্লাইট: প্রায় ১৮–২২ ঘণ্টা

ঢাকা থেকে সিডনি / মেলবোর্ন যেতে গড়ে ১৬–২০ ঘণ্টা সময় লাগে।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে

এয়ারলাইন্স ও সময় অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে

ইকোনমি ক্লাস (ওয়ান ওয়ে): প্রায় ৯০,০০০ – ১,৫০,০০০ টাকা
রিটার্ন টিকিট: প্রায় ১,৫০,০০০ – ২,৫০,০০০ টাকা

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url